বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মুসলমানদের ধর্মচর্চায় নতুন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইসলামকে ‘চীনা ঘরানার সমাজতন্ত্রের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলতে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করেছে বেইজিং। সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তারা ‘আটটি ইসলামী সংস্থা’র সঙ্গে বৈঠকের পর নতুন আইন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে চীনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তবে এসব ‘ইসলামী সংস্থা’র পরিচয় জানা যায়নি। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, বৈঠকে উভয় পক্ষই ‘ইসলামকে সমাজতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত করা এবং চীনা ঘরানা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে একমত হয়েছে’। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশটাতে ‘বিভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠী’র ওপর চাপ বাড়ছে। বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। দেশটির কিছু স্থানে ইসলামের চর্চা নিষিদ্ধ। নামাজ-রোজার পাশাপাশি দাড়ি রাখা বা হিজাব পরার মতো কারণেও ধরপাকড়ের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে। বিভিন্ন মসজিদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গম্বুজ ও চাঁদ-তারার প্রতিকৃতি। মাদ্রাসা ও আরবি শিক্ষার ক্লাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শিশুদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল-জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের এ পদক্ষেপ মুসলমানদের ধর্ম চর্চায় নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক রেখে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বলপূর্বক তাদের কমিউনিস্ট পার্টির মতাদর্শে বিশ্বাস স্থাপন করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নিজ ধর্মের সমালোচনা করতে তাদের ওপর জবরদস্তি করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে নাস্তিক ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আনুগত্যের শপথ করতে হচ্ছে তাদের। এসবের ধারাবাহিকতায় সরকার ইসলামের সমাজতান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। আগে থেকেই চীনের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞের অভিযোগ রয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। গত আগস্টে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বিশ্ববাসী চীনে মুসলিমবিরোধী ক্যাম্পেইন এড়িয়ে যেতে পারে না। তবে চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি, তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্ম ও সংস্কৃতির সুরক্ষা দিচ্ছে। সরকারিভাবে এমন দাবি করলেও শুধু গত সপ্তাহেই মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ইউনান প্রদেশে তিনটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চীনের সংখ্যালঘু হুই জাতিগোষ্ঠীর মুসলমানরা মসজিদগুলোর নির্মাণ করেছিল। আল-জাজিরা, গ্লোবাল টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
saif ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:৫১ এএম says : 0
যে ধর্মের রক্ষক স্বয়ং আল্লাহ্‌, যে উম্মতের রক্ষক স্বয়ং আল্লাহ্‌, মুসলমান যদি নিজেদের ঈমান ঠিক করে এবং আল্লাহ্‌র উপর ধৈর্য ও পূর্ন বিশ্বাস রাখে তবে যাই হবে সেটা উম্মতের জন্যে সর্বা অবস্থায় মঙ্গল।
Total Reply(0)
Abdullah ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:৪০ পিএম says : 0
নিঃসন্দেহে যতই বাধা আসুক না কেন ইসলাম চলবে তার নিজস্ব গতিতে।যেহেতু তার নিয়ন্ত্রক মহান আল্লাহু
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন