বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আরেকটা ভালো নির্বাচন দিতে সরকারকে বোঝাতে বলল ঐক্যফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আরেকটা ভাল নির্বাচন দিতে সরকারকে বোঝাতে কূটনীতিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল (রোববার) বিকেলে গুলশানে হোটেল আমারিতে কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এসব কথা জানান। এর আগে বিকেল ৪টা থেকে দেড় ঘন্টাব্যাপী কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদ‚ত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি বেশি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ডা. কামাল হোসেন বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। ভোটের দিন যা ঘটলো সেটা আমরা তুলে ধরেছি। তারাও (কূটনীতিকরা) স্বচক্ষে দেখেছেন। অর্থাৎ এটা নিয়ে কোনো বির্তক হয়নি। ওনারা শুনলেন আমরা কি বললাম। আমি বলেছি, তোমরা সরকারকে বুঝাও যে, এর সমাধান করতে হলে আরেকটা ভালো নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, তারা বলেছে যে, তোমরা কী চাও? আমরা বলেছি, এটা কোন নির্বাচন হয়নি, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আরেকটা ভালো নির্বাচন দিলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিতে পারে- এটা হলে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্য আমরা সবাই মিলে গড়ব।
কূটনীতিকরা আপনাদের কথা শুনে কী বললেন জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের কথা হলো, ঠিক আছে যা হয়েছে হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দেয়া হোক। আমরা বলেছি সবাই গঠনমূলক একটা ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা কারো বিপক্ষে নই। সরকারকে আমরা বলব যে, আমরা মনে করি, সকলের শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটা নির্বাচন হলে তার ফলাফল যা হয় তার ভিত্তিতে একটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে। সেই সরকারই মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কূটনীতিকদের সাথে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে ড. কামাল হোসেন একাদশ নির্বাচনের ভোট পরিস্থিতি ও নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাবলী তুলে ধরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও পাওয়া পয়েন্টও উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখানো হয় কিভাবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সরকার দলীয় লোকজন বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেয়, যাদের ওপর হামলা করা হয় তাদের হামলা পরবর্তী চিত্রও তুলে ধরা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভোটের আগের রাতে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারা, ভোটের দিনে সকাল থেকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া, ব্যালট না থাকা, ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়া ইত্যাদি অনিয়মের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কূটনীতিকদের তথ্য প্রমাণাদিসহ কাগজপত্র সরবারহ করা হয়।
বৈঠকে নির্বাচনের প্রচারনায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় হামলার শিকার ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর রায়, আফরোজা আব্বাস, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা, জেবা খানও উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, সুইডেন, স্পেন, জার্মানী, নরওয়ে, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালী, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকার কূটনীতিকরাও ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, গোলাম মওলা রনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে- জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Nur Hossain ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২২ এএম says : 0
বুঝানোর কিছু নাই।
Total Reply(0)
Mithila mim ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
বিএনপির জন্যে এটা নতুন কিছুই না! জনগণ কে আপনাদের ভালো মানুষিকতা দেখানোর কোন মানেই হয় না! আপনারা কেমন সেটা সবাই জানে তাই এখন আর নিজেদেরকে হাজী বানানোর দরকার নেই।।আপনাদের এই কাজের জন্য তারা এরপর আমাদের দেশ কে নিয়ে আর ভালো কিছু চিন্তা করবে না
Total Reply(0)
Sha Moen Shohag ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
কাজ হবেনা নিজের মাজায় জোর না থাকলে,হুইলচেয়ার এ হিমালয় ওঠা যায়না।
Total Reply(0)
Jahangir Alam ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
nisadagha arop kara hok
Total Reply(0)
Nur Miah Nur Miah ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
দেশের জনগন , ভোটের অধিকার পিরে পাবে তো, -?
Total Reply(0)
Askander Hayet Khan ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
একটা সময় ছিল যখন কুঠনিতীক দের কথা বললে মানুষ অনেক আশ্বস্ত হত এখন আর সেই সময় নায়। মানুষ ও পুরোনো কথাগুলি ও পুরোনো। নতুন কিছু লাগবে- এই সমস্ত পাড়া জুড়াল বর্গী এলো দেশে বলে পাড় পাওয়া যাবে না।
Total Reply(0)
Abu Zafor ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
কি আশ্বাস? সব দেশ নিজের স্বার্থে কাজ করে তাই খুব কিছু আশা করা কতঠুকু বিশ্বাসযোগ্য!
Total Reply(0)
Khandaker Murshed E Alam ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
২০১৪ সনে এমনই হয়েছিল।
Total Reply(0)
Rakib Khan ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
নির্বাচনে অনিয়মের চিত্র কূটনীতিকদের তুলে ধরেন তাতে কোনো লাভ হবে না ।
Total Reply(0)
Nahid hasan ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ পিএম says : 0
নিজেদের মোরদ নাথাকলে এটাইতো বলবেন*আপনারা কিভাবে বুঝলেন আপনারা আরেকটা নির্বাচন চাইলে আওয়ামিলীগ আরেকটা নির্বাচন দেবে খেয়ে আর কাম নাই
Total Reply(0)
Nahid hasan ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:১৮ পিএম says : 0
বিএনপি আসলে নিজস্বার্থ প্রেয়সি দল কারণ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আগে নিজ সার্থ্য খোজে যেমন এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির প্রথম মহাসচিব তার প্রমাণ*আসলে ভাবতে খুব কষ্ট লাগে গ্রাম গন্জের তৃণমূল কর্মীদের আজ যে অবস্থা তা দেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটু বোঝা উচিৎ নির্বাচন পরবর্তি সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দাবি আদায় করার জন্য কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া উচিৎ সেটি হবে একমাত্র বাচাঁর উপায় তাছাড়া বিএনপি নামক দলটি চিরতরে বিলিন হয়ে যাবে*অযথা কারো কাছে নালিশ করে লাভ নেই*আল্লাহ্ তুমি সহায় হও
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন