বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ভারত শেখ হাসিনার উৎসাহী সমর্থক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নতুন বছরের পূর্বলগ্নে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে আরো পাঁচ বছরের জন্য ভোট দিয়েছে। বিরোধী পক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোটের উদ্যোগ বা তাদের প্রতি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর সমর্থনকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। ভারত শেখ হাসিনার এক উৎসাহী সমর্থক এবং আগামী পাঁচ বছরে তারা আরো সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারত মংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করেছে। ফলে আরো বন্দর , সড়ক সংযুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ পথ ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল হবে। উভয় দেশের জন্য এ বন্দরগুলোর অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে ভারতের প্রভাব বলয় বিস্তারের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ চীনকে দুটি সাবমেরিন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে যা নয়াদিল্লীর কোনো কোনো মহল ভালো চোখে দেখছে না। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে ভারত এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব পুরোপুরি বিলীন করতে পারবে না। মোটের উপর বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি হলে তাতে ভারতের স্বার্থেও রক্ষা হবে।
শেখ হাসিনা কিছু সময়ের জন্য তা বুঝতে পেরেছেন এবং তার স্বার্থে এটি কাজে লাগিয়েছেন। ভারতের ধারাবাহিক সরকারগুলো খুশি হয়ে তাকে সাহায্য করেছে। তিনি নিরাপত্তা সমস্যার ক্ষেত্রে ভারতকে সহযোগিতা করেছেন এবং ভারত তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা করেছে। স্থল ও সমুদ্রসীমা নিশ্চিত হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্ক প্রভূত পরিমাণে সহজ হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক বিরোধীদল প্রয়োজন। শেখ হাসিনা আগামী বছরগুলোতেও যদি কন্ঠরোধ অব্যাহত রাখেন তাহলে জামায়াত ও আইএসআই মোকাবেলা ইস্যু সত্তে¡ও তিনি পাল্টা সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন। বাংলাদেশের সাথে আলোচনার বিষয় হিসেবে এটা ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি ভাগাভাগির সমাধান হয়নি। তিস্তা ছাড়া অন্যান্য নদী থেকে পানি নেয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জির দেয়া সমাধান অত্যন্ত বাস্তব সম্মত (ওয়াকেবহাল যে কেউই বলবেন যে তিস্তায় এত পলি জমেছে যে সেখানে পানি খুব কমই আছে)। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে ভারতের অবহিত রাখা উচিত। ভারত অধিকতর যৌক্তিক পদক্ষেপ নেয়ায় ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্যুত বাণিজ্য উন্মুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে যার প্রভাব রয়েছে এ অঞ্চলের সকলের উপর। জার্মানির অ্যাঞ্জেলা মারকেলের মত শেখ হাসিনা বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দৃষ্টিগোচর হওয়া ছাড়াই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেন। এখন তার জন্য কঠিন কাজ হচ্ছে তাদের ফেরত পাঠানো। শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন যে চীন বা ভারত কেউই এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে চাপ দেবে না। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Mizanur Rahman Sumon ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
সেটি তো‌ নির্বাচনের দিন ২টার সময় ভারত সার্টিফিকেট দিয়ে দিলো কোনরকম বিচার বিবেচনা না করেই সুষ্ঠু হয়েছে। এটি হলো তাঁবেদারি ফলাফল। অথচ অনেক প্রভাবশালী কান্ট্রি এখন ও ওয়েল কাম জানায় নি এই ভোট হাইজ্যাকের সরকার কে।
Total Reply(0)
Delwar Hosen ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
ভারত কখনই বাংলাদেশের উন্নত চাইবে না!! আমরা প্রবাসী এখানে ভারতীরা আমাদের কে কি ভাবে দেখে তা আমরাই জানি,যদি এই হয় ভারতের জনগণের অবস্থা! তাহলে উচ্চ পর্যায় কেমন হবে তা পাগলেও বুঝে, যদিও আওয়ামী এবং পাগলের মাঝে কোন তফাৎ নেই
Total Reply(0)
Jihadul Islam ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
আওয়ামী কে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত করতে চায় ভারত।
Total Reply(0)
Lutful Hasan Shohagh ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সকল সমস্যার নাটেরগুরু হচ্ছে ভারত। তাই ভারতীয় পণ্য বর্জন ও ভারত ভ্রমন করা থেকে বিরত থাকা আমাদের সকলের জন্য আবশ্যক।
Total Reply(0)
Mokbul Hossain Swapan ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
৩০ তারিখের নির্বাচন ছিল ভারতের কালো থাবা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তির নির্বাচন। কিন্তু মুক্তি মেলেনি...
Total Reply(0)
Sayem Ahmed ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট কখনো হওয়ার যোগ্যতা নেই
Total Reply(0)
Dedar Miah ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
India toh chay jay amra seikim er mohtoh hoye jai
Total Reply(0)
Abul Kalam ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
আমাদের এক নম্বর শত্রু ভারত
Total Reply(0)
Mithu Rahaman ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
পাকিস্তান আমাদের শোষণ করেছে ভারত আমাদের চুষে খাবে
Total Reply(0)
Alamgir Noor ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
আওয়ামীগ আর ভারত যোগসাজোসে ইতিমধ্যই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে
Total Reply(0)
Alamgir Noor ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
আওয়ামীগ আর ভারত যোগসাজোসে ইতিমধ্যই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে
Total Reply(0)
Sumon ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৬ পিএম says : 0
We should maintain good relation with India in terms of common interest. But, every time national interest should be given priority. Govt must not do any thing, that may not be profitable for our country, with India. India is a country, it's not our God. Bangladeshi leaders should remember this.
Total Reply(0)
Abdur Razzak Mreedha ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩৬ পিএম says : 0
দেশের স্বাধীনতা আগে না গণতন্ত্র আগে? বাংলাদেশ তিরিশ লক্ষ লোকের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করলেও মাত্র সারে তিন বছরের মাথায় আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতা দখল করে। জিয়াউর রহমান, শাহ আজিজ ও গোলাম আজমের মাধ্যমে পরাজিত পাকিস্তান আবার বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে আসীন হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ হাস্যাস্পদে পরিনত হয়, মুক্তিযুদ্ধের গর্বিতরা ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এ ধরণের ঘটনা পৃথিবীর কোথাও নেই। তবুও একশ্রেণির মিডিয়া,বুদ্ধিজীবি,শিক্ষকরা সামরিক বিভাগে কর্মরত পাকিস্তানপন্থীদের সহায়তায় প্রচার চালানো হয় বহু বছর ধরে এটাই গণতন্র, এটা মানতে হবে। বলা হয় আগে গণতন্র, পরে স্বাধীনতা। গায়ের জোরে শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বানানো হয় বন্ধু রাষ্ট্র,স্বাধীনতার বন্ধু রাষ্ট্র ভারতকে বানানে হয় শত্রু রাষ্ট্র। কি সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ! এখন অনেকেই বুঝতে শুরু করেছেন, আগে দেশের স্বাধীনতায় আস্থা, তারপর গণতন্র চর্চা। আমি বাংলাদেশ চাইনা, কিন্তু নির্বাচন করার অধিকার চাই। এটিই হল দেশে সবচেয়ে বে-আইনী দাবী।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন