বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : আলেম বা হুজুর বিনে নিজে তাওবা করা যায় কী?

শাকিল খান চৌধুরী
ইমেইল থেকে।

প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১২ এএম

উত্তর : যায়। তওবা অর্থ গোনাহ থেকে ফিরে আসা। ইস্তেগফার অর্থ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। এ কাজ করতে কোনো আলেম বা হুজুরের উপস্থিতি জরুরি নয়। যে কোনো সময়, যে কোনো অবস্থায় নিজেই করা যায়। সমাজে একটি কথা চালু আছে, হুজুর ডেকে তওবা করা বা হুজুর আমাকে তওবা পড়ান। এ ধারণাটি ভুল। এটি মূলত ‘আমি তওবা করতে চাই’ হুজুর বা আলেম আমাকে পরামর্শ দিন। এ পরামর্শ বা জ্ঞান লাভ করার জন্য হুজুর বা আলেমের প্রয়োজন। অন্য কোনো ভাবেও তা হতে পারে। তবে তওবার জন্য কোনো হুজুর বা আলেমের প্রয়োজন আগেও ছিল না, এখনো নেই। এমনকি মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির তওবার ক্ষেত্রেও আলেম বা হুজুরের কোনো প্রয়োজন নেই। এটি একটি রেওয়াজ। যেমন- ফাঁসির আসামিকে শেষ তওবা পড়ানোর জন্য জেলখানার কোনো ইমাম সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এটিও পরামর্শ মাত্র। তওবা কেউ করায় না, এটা নিজেই করতে হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় ঠিক করাও ভুল। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই একজন মুসলমান গোনাহ থেকে ফিরে আসা (তওবা) ও কৃত গোনাহের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা (ইস্তেগফার), কাজ দু’টো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারে। এখানে আনুষ্ঠানিকতার কোনো স্থান নেই। এটি আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার একটি স্থায়ী সম্পর্কের শিরোনাম মাত্র।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন