বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মন্ত্রিত্ব পেয়ে বাবা স্বপ্ন পূরণ

উচ্ছসিত ফুলপুর-তারাকান্দাবাসী

মো. শামসুল আলম খান, ময়মনসিংহ থেকে : ‘ | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রয়াত পিতা এম. শামছুল হক ছিলেন পাচঁ বারের সংসদ সদস্য। স্বপ্ন ছিল মন্ত্রী হবেন। কিন্তু সে আশা পূরণ হবার আগেই চলে গেলেন চিরনিদ্রায়। তবে এবার মন্ত্রীত্ব পেয়ে পিতার স্বপ্ন পূরণের পথে হাটঁছেন পুত্র শরীফ আহম্মেদ। এর চেয়ে বড় সফলতা আর কি হতে পারে। আমি আনন্দে আত্মহারা। এর মধ্য দিয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের সকল চাওয়া-পাওয়া পূর্ণতা পেয়েছে। ধন্যবাদ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, ফুলপুরবাসীর প্রাণের স্পন্দন প্রয়াত সাংসদ শামছুল হকের স্বপ্ন পূরনের জন্য।’
ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের সংসদ সদস্য শরীফ আহম্মেদ সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আবেগ-আপ্লুতভাবে এ কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আ: হেকিম মন্ডল।
প্রয়াত শামছুল হকের বিশ্বস্থ সহচর ফুলপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আ. হেকিম মন্ডল আরো বলেন, শরীফ আহম্মেদকে মন্ত্রী করায় উচ্ছাসিত ফুলপুর-তারাকান্দাবাসী। আশা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নগুলো এবার আলোর মুখ দেখবে। উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হবে অবহেলিত ফুলপুর-তারাকান্দা।
জানা যায়, প্রয়াত শামছুল হকের পুত্র শরীফ আহম্মেদ ২০১৪ সালে এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তিনি মহাজোটের মনোনয়নে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্র জানায়, ভাষা সৈনিক শামছুল হক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্থ সহচর। ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারি তারাকান্দা থানার ধলিয়াকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে ১৯৫২ সালে আনন্দ মোহন কলেজে অধ্যয়নকালে ভাষা আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস কারাবরণ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধের রণাঙ্গনে বলিষ্ট সংগঠক ও যোদ্ধা হিসাবে উজ্জল ভ‚মিকা পালন করেন। এবং ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর-তারাকান্দা আসনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও ১৯৮৮ সালে তিনি ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। একই সাথে তিনি ১৯৯৫ এবং ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতিও। ফুলপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: কামাল হোসেন বলেন, শরীফ আহম্মেদ যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান। ইতিমধ্যে তার হাত ধরেই এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত সাংসদ শামছুল হকের বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞের কথা মনে রেখেছেন। শরীফ আহম্মেদকে মন্ত্রীত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে তা প্রমান হয়েছে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে।
তবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন