বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এই সংসার আসা-যাওয়ার রঙ্গমঞ্চ

দুই হেভিওয়েটের মন্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

‘আমার কাছে মন্ত্রী নয়, এমপিই বড়’ এই অভিমত ব্যক্ত করে সদ্যবিদায়ী বাণিজ্যমন্ত্রী প্রখ্যাত রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই সংসার (মন্ত্রিসভা) আসা-যাওয়ার রঙ্গমঞ্চ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা একটি পরিবারের মতো ছিলাম। নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। নতুনদের নিয়ে যে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়েছে সেটা চমৎকার। আমরা তো এমপি হিসেবে সংসদে থাকবোই। এই সরকারের সফলতা কামনা করি।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগসহ মহাজোট বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি বিশ্ববিখ্যাত, জননন্দিত, আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এটি স্বাভাবিক যে নতুনদের জায়গা দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সেই কাজটিই করেছেন।
অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২৮ বছর বয়সে প্রথম প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের পলিটিক্যাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে ‘৭২ থেকে ‘৭৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ সহকারী ছিলাম। এর ২১ বছর পর ‘৯৬ সালের ২৩ জুলাই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ২৪ জুলাই সচিবালয়ে এসেছি। ৯ বছর আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, এখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা একটি পরিবারের মতো ছিলাম। আমার কাছে মন্ত্রী নয়, এমপিই বড়। আমি পাঁচবার ডব্লিউটিও’র (ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন) কনফারেন্সে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আগামী ৫ বছর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বিজয় অর্জিত হবে, যা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা জমজমাটভাবে উদযাপন করবো। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৬তম অর্থনৈতিক দেশ।
সৈয়দ আশরাফের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের এই শুভক্ষণে সৈয়দ আশরাফ নেই, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। সৈয়দ আশরাফের জায়গা অন্য কাউকে দিয়ে পূরণ করা সম্ভব নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন