বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এই মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে কী দিতে পারে

ইনকিলাব পর্যবেক্ষণ | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চারবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড করেছেন। নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে শুরু হওয়া বিস্ময় এখনো চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে-বিপক্ষের সব নাগরিক যেমন নির্বাচনের ভ‚মিধস ফলাফল দেখে হতবিহ্বল ও বাকরুদ্ধ হয়েছিল; মন্ত্রিসভার ‘চমক’ দেখে দেশবাসী তো বটেই, দলের নবীন-প্রবীণ নেতা, এমপি-মন্ত্রী ও কোটি কর্মী-সমর্থক সবাই তেমনই হতভম্ব। মন্দ লাগেনি, কারণ মানসিকতায় যারা ধরে নেন যে যত কিছুই হোক আমি তো মন্ত্রিসভায় থাকবই। এমন মন্ত্রীদের কর্মতৎপরতায় বড় কিছু আশা করা যায় না।
একবার ভারতের এক ধনকুবের কর্পোরেট দৈনিক পত্রিকার স্বনামধন্য সম্পাদকের চাকরি চলে যায়। শুধু এ জন্য যে, তিনি নিজেকে এ পদের জন্য অপরিহার্য মনে করে নিয়েছিলেন। আর সম্পাদকিয়তা তার পেশা ও কাজে না থেকে বরং তার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। তার জায়গায় তখন লেখক সম্পাদক ও রাজনীতিক খুশবন্ত সিংকে সম্পাদক নিয়োগ করা হয়। এবারের মন্ত্রিসভা থেকে আগের ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও দুইজন উপমন্ত্রী বাদ পড়ার পেছনে এমন কোনো কারণও থাকতে পারে। আরো অনেক কারণ থাকবে হয়তো, যা আমাদের অজানা। ৩ জানুয়ারি ইন্তেকাল করার কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও নেই। তবে, প্রধানমন্ত্রী যদি তার শাসনের মধ্য সময়ে মধ্য গগনের সূর্যের মতো জ্বলে উঠতে চান, তাহলে তার কেবিনেট তার পছন্দ মতোই হওয়া উচিত।
ঐতিহ্য, চক্ষুলজ্জা, লোকভাবনা ও প্রতিষ্ঠিত থিংক ফ্রেম না মেনে তিনি অভিজ্ঞতা, সুনির্দিষ্ট ধারণা ও মনের মতো টিম তৈরি করবেন, এটিই যুক্তিযুক্ত এবং উত্তম। আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদের মতো ব্যাপার আরকি। যিনি তার ৩০ বছরের সংগ্রামের সাথী পাঁচজন লোককে উপদেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করেছেন সমমনা সমচিন্তার পরীক্ষিত সহকর্মী রূপে। ড. মাহাথির ‘ক’ বলার আগেই তারা (উপদেষ্টা) পুরো কাজটি বোঝে ফেলেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে ড. মাহাথির এমন একজনকে বেছে নিয়েছেন, নানা কারণে যাকে তিনি নিজেই পাঁচবার কারাগারে পাঠিয়ে ছিলেন।
এর ব্যাখ্যায় ড. মাহাথির বলেন, মানুষ সংশোধন হতে পারে। বারবার ভুল করেও সে নিজেকে পুনরায় শোধরাতে পারে। কিন্তু দক্ষ, বিশ্বস্ত ও প্রকৃতই কাজের লোক হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় না। তাদের প্রতি আমি দুর্বল। কেননা অদক্ষ, অযোগ্য মানুষ দিয়ে বিপ্লবী স্বপ্ন পূরণ করা যায় না। দোষে-গুণে মানুষ। কিন্তু কাজের মানুষ দুনিয়াতে খুবই কম। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ দ্রুতগামী ভালো জাতের উটের মতো। এদের সংখ্যা কম। শতশত উটের মধ্যে যেমন সওয়ারী করার মতো পছন্দসই দু’য়েকটি উট পাওয়া মুশকিল, হাজারো লোকের ভিড়ে কাজের লোক পাওয়াও তেমনই মুশকিল’ (আল হাদিস)।
জীবনের প্রথম পার্লামেন্টে এসেই পাঁচজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী হয়েছেন। কেউ শুধু আগে এমপি ছিলেন এবার মন্ত্রী হয়েছেন। আবার কেউ গত সংসদেও ছিলেন না, তারও আগেরবার ছিলেন। এবার এমপি মন্ত্রী দু’টোই হয়েছেন। মাত্র চারজন এক টার্ম আগে মন্ত্রী ছিলেন। মাঝখানে পাঁচবছর মন্ত্রিসভায় ছিলেন না। এবার আবার এসেছেন। শরিক দলের কেউ মন্ত্রী হচ্ছেন এ কথা এখনো শোনা যায়নি। হয়তো হবেন। মহিলা কোটায় যারা এমপি হবেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতেও পারেন। সিনিয়রদের কেউ কেউ হয়তো আগামীতে নতুন মন্ত্রিসভায় শামিল হবেন। এসবই নেত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। আগে মন্ত্রীর মর্যাদায় কিছু উপদেষ্টা ছিলেন। একজন রাজনৈতিক, একজন পররাষ্ট্র বিষয়ক, একজন অর্থবিষয়ক।
এর আগের সরকারে একজন ছিলেন শিক্ষা সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক। এসবই বহাল থাকবে না পরিবর্তন হবে তা পরে বোঝা যাবে। তবে, বেসরকারি খাত বিষয়ক নতুন একজন উপদেষ্টা পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় সম্ভবত আসছেন। দেশের পথিকৃত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সালমান এফ রহমান এবারই প্রথম যিনি ঢাকা-১ আসন থেকে সংসদে এসেছেন। আগেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। এবার হবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
সবচেয়ে লাগসই মনে হয়েছে অর্থ দফতরের মন্ত্রী নিয়োগকে। পরিকল্পনা মন্ত্রাণলায়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পর তিনি যেন অর্থবিভাগ নিজ যোগ্যতা বলেই লাভ করলেন। পরিকল্পনায় এসেছেন সাবেক দক্ষ অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। সকল মত ও পথের ধর্মীয় অঙ্গনে হোমওয়ার্ক করা নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছিলেন বহুদিনের কাক্সিক্ষত। বঙ্গবন্ধুর নিকটাত্মীয় ও সম ধর্মভাবনার প্রতিনিধি তিনি। ইসলামী মূলধারার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবেন এ প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট অঙ্গনের সকলের।
এদিকে সংস্কৃতিতে কে এম খালিদ খাঁটি বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সমন্বিত ধারক। এলজিআরডির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে তাজুল ইসলাম নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবন। নতুন রক্ত সঞ্চালনে বোঝা যায় তিনি সম্ভবত তার বয়সের মধ্যসময়টিতে বিপ্লবের কোনো ছক তৈরি করেই এগোচ্ছেন। পুরোনোদের মধ্যে পার্টির সাধারণ সম্পাদক আগের মন্ত্রণালয়েই আছেন।
স্বরাষ্ট্র দফতরে আছেন পরীক্ষিত আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সমাজের সব শ্রেণীর সাথে দুয়ার খোলা সম্পর্কে তিনি অনেকদূর এগিয়ে। নিপাট ভদ্রলোক মিতভাষী মানুষটি স্বরাষ্ট্র বিভাগের ব্যাপারে জনগণের পারসেপশন বদলে দিতে পেরেছেন। দুর্নীতির মহামারী যুগেও তাকে পরিচ্ছন্ন বলা চলে। ৪৭ জনের মন্ত্রিসভা ২৭ জন একেবারেই নতুন। প্রথমবার যারা এসেছেন তাদের মধ্যে পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, খাদ্য বিভাগে নতুনরা কীভাবে সবকিছু সামাল দেবেন, তা হয়তো নেত্রী ভেবে রেখেছেন। দক্ষতা ও ধৈর্য শ্রম ও কর্মসংস্থান পাইয়ে দিয়েছে মন্নুজান সুফিয়ানকে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষিতে অভিজ্ঞ, তবে তার অতি প্রগতিবাদিতা যেন মানুষকে হয়রান না করে এদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব তারই। ড. হাসান মাহমুদ লেগে থাকার লোক। ধৈর্য ও পরিশুদ্ধি তাকে ভালো জায়গায় এনেছে। নেত্রীর এ আস্থা তিনি ধরে রাখতে পারবেন। তথ্য সামাল দেবেন বুদ্ধিমত্তার সাথে। কথা আরো সংযত ও মিষ্ট হলে ভালো। বিরোধী চিন্তা ও দর্শনের মানুষের সাথে সহনশীল অ্যাটিচুড তাকে সঙ্কট মোকাবেলায় দক্ষতা দিয়েছে। প্রচারের দায়িত্বে সফল ছিলেন। তথ্য সংশ্লিষ্টরা খুশি।
রয়ে গেল শিক্ষার কথা। বিশাল এ অঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে ব্যাপক ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হয়ে গেলেও অন্য পাল্লাটিকে হালকা বানাতে পারেনি। কোটি কোটি বই বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার চিত্র মানুষ ভুলবে না। শিক্ষাঙ্গনে সাধারণ, পাবলিক, প্রাইভেট, ইসলামী, আলীয়া, কওমি সব ধারার সাথে সুসম্পর্ক রেখে অগ্রগতির সোপান পাড়ি দেয়া প্রিয় লোকটি বাদ পড়তে পারেন চিন্তায় ছিল না। তবে তার স্থলাভিষিক্ত হতে হবে তারচেয়ে বেশি দক্ষ কেউ।
ডা. দীপু মনিকে তার জায়গায় কাজ করতে অনেক অসুবিধা পোহাতে হবে। কওমি ওলামা-মাশায়েখ, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, আলীয়া শিক্ষা, দেশের প্রসিদ্ধ সিলসিলা, খানাকাহ, দরবার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ড. দীপু মনির চলাচল অবাধ ও মসৃন হওয়া মুশকিল। তাকে গুরুত্বপূর্ণ অন্য দফতর দিয়ে শিক্ষাবিভাগে জুতসই কাউকে দেয়া মানুষের প্রত্যাশা।
হিসেবে করে দেখা যায় দেশের ৩৬ জেলা থেকে নতুন মন্ত্রিসভায় লোক নেয়া হয়েছে। ১৩ জন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। শরিকদের কিংবা সিনিয়রদের নেবেন কি না, তা নেহায়াতই প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। স্বাধীনতার পর থেকে কিশোরগঞ্জ কখনোই মন্ত্রীশূন্য ছিল না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসনে এমপি কে হবেন, এর পাশাপাশি মন্ত্রিত্বের ঐতিহ্য কাকে দিয়ে ধরে রাখা হবে, সবই নেত্রীর ওপর নির্ভরশীল। তবে, জেলাওয়ারি ঢালাও হিসাব-নিকাশ বা অভ্যাসগত মন্ত্রিত্ব পাওয়া এবার যে হয়নি তা বেশ আন্দাজ করা যায়।
তা ছাড়া ভাবতে কষ্ট হয় যে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে বা বয়স হওয়ার কারণেই যদি মন্ত্রী করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতের দল আর থাকবে না। এক জায়গায় আটকা পড়বে। নেত্রী নিজেই সব কাজ করেছেন। মন্ত্রী কেবল চেয়ারের শোভাবর্ধন করেছেন এমন নজির ১০ বছর জাতি কম দেখেনি। জাঁদরেল যেসব নেতা মন্ত্রী বাদ পড়লেন, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তারা কি তেমন কিছু জীবনে করতে পেরেছেন? যে জন্য মানুষ তাদের মনে রাখবে? তারা যে মন্ত্রিসভায় নেই অভ্যাসগত শূন্যতা ছাড়া মানুষের কাছে তো এটা আর কিছুই মনে হচ্ছে না। বহু মানুষের ত্যাগ তিতিক্ষা ও সংগ্রাম অবশ্যই আছে।
আওয়ামী লীগকে ১৯৭৫-এর পর থেকে আজকের এ অবস্থায় আনার পেছনে বলতে গেলে অবদান এককভাবে শুধুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হতে পারবেন যারা এমন চিন্তা কল্পনাও করতে পারেননি; তেমন বহুলোক আবার এমপি হয়েছেন। আগের নির্বাচনে দু’চারশ ভোট পেয়েছিলেন, নেত্রীর কল্যাণে এমপি হয়েছেন। কোথাও ইউপি মেম্বার বা কমিশনার হওয়ার জো ছিল না; কিন্তু নেত্রীর আশীর্বাদে শুধু এমপি নন একাধিকবার এমপি এমনকি মন্ত্রীও হয়েছেন।
এমন মানুষজন নেত্রীকে তার ভবিষ্যত পথ চলায় কীভাবে কতটুকু সহায়তা দেন, এখন এটি বড় প্রশ্ন। তারা যা পেয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞ থেকে কী পান নি সে চিন্তা বাদ দিয়ে যদি কাজকর্মে ভালো ভূমিকা রাখেন, তাহলে নেত্রীর চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ হবে। বড় মন্ত্রীদের কিছুটা জিরোতে দেয়াই ভালো। নেত্রী নিজে যেসব দফতর রেখেছেন, খুব ভেবে চিন্তে তার মিশনের সহযোগী যোগ্য দক্ষ দু’য়েকজনকে তার কিছু কিছু দিতে পারেন। আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব পর্যায়ের লিগ্যাসি বহন করে এমন তারুণ্যের অংশগ্রহণও ভালো লক্ষণ। চট্টগ্রাম থেকে তথ্য, ভূমি, শিক্ষা দফতরে পূর্ণ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নেয়া চৌকসত্বের লক্ষণ। আরো কিছু পরিবর্তন তো হতেই পারে।
ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের পেশাগত দক্ষ ব্যক্তিটিকে উপদেষ্টা বা মন্ত্রী করার নিয়ম রয়েছে। অনেক সংখ্যক প্রতিনিধির ভেতর থেকে মৌলিক চিন্তাশীল, দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিধারী মতামত দিতে সক্ষম এবং উদ্ভুত যে কোনো সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম ব্যক্তিকে উপদেষ্টা ও মন্ত্রী করার নীতি রয়েছে। ত্যাগ, অঞ্চল, নাম-ডাক, দলীয় পরিচয় ইত্যাদি ইসলামে বিবেচ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমান বাছাইয়ের সাথে কিছু যোগ বিয়োগও করতে পারেন।
তবে নৈতিক স্খলন, দুর্নীতি ও অপকর্মে যুক্ত কিংবা খ্যাত কাউকে কেবিনেটে না রাখা বা না আনাই ভালো। তার দুঃসময়ে নিঃস্বার্থভাবে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়েছেন, জো হুজুরিপনা না করে দরকারী স্পষ্ট কথাটি বলেন এমন যারা তার জীবনে পরীক্ষিত তাদের মধ্য থেকেও তিনি মন্ত্রী, উপদেষ্টা কিংবা টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী ইত্যাদি নিতে পারেন। হাদিস শরিফে আছে, ‘মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যে শাসকের মঙ্গল চান, তাকে ভালো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা পাইয়ে দেন। আর যার অমঙ্গল চান, তাকে খারাপ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা বাছাই করতে দেন’ (আল হাদিস)।
প্রধানমন্ত্রীর জীবন নজিরবিহীন বর্ণাঢ্য। প্রাপ্তি ও বিসর্জনে পরিপূর্ণ। শোক তাপ দহনে জ্বলে পুড়ে দগ্ধ। স্বাভাবিক হায়াত, ক্ষমতা ও সময়কাল সবদিক দিয়েই তিনি এখন পড়ন্ত বেলার দিকে। সব ভালো যার শেষ ভালো। স্বতসিদ্ধ এ নীতির আলোয় তার আগামী দিনগুলো ভালোয় ভালোয় পূর্ণ থাকাই জনগণের কাম্য। তিনি দুর্নীতি ও মাদক নির্মূল করে যদি প্রকৃত দেশপ্রেমের আইকন থেকে যান। যদি দেশ ও জাতি গঠনে নিজেকে ইতিহাসে স্থান করে দেয়ার অভিযাত্রায় আন্তরিক হন, তাহলে এমন মন্ত্রিসভা আদর্শ। বরং মন্ত্রী এমন হওয়া দরকার, যারা নেত্রীর অভিব্যক্তি কেবল নয়, তার অভিপ্রায় পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আন্দাজ করতে সক্ষম।
আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়। আর যখন আল্লাহ কোনো জাতির জন্য মন্দের ফায়সালা করে ফেলে তখন কেবল তিনি ছাড়া (অর্থাৎ, তার দিকে প্রত্যাবর্তন, তওবা ও সাহায্য প্রার্থনা ছাড়া) এ জাতির আর কোনো অভিভাবক থাকে না (আল কুরআন)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (21)
Md julhas uddin ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৬ এএম says : 0
ভালো-মন্দ! সময়ের জন্য অপেক্ষা বিহীন বলা মুশকিল!
Total Reply(0)
AMZAD ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
শাহজাহান খান যে চাকরি হারাবেন তা আগেই বুঝতে পারছি। Good luck. Let's hope for the best.
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
I think they will be successful, Corruption elimination will be the prime goal,others will be well side by side.
Total Reply(0)
Qamrul Islam ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
মন্ত্রীসভা কেমন হলো সেটা পরের কথা।৩০ তারিখের পর প্রত্যেকটা সাধারন মানুষের মনের আসন হতে তারা জায়গা হারিয়েছে।মন্ত্রীর আসনে বসে লাভ কি?
Total Reply(0)
SHAMEEM ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৭ এএম says : 0
আশা করি, শেখ হাসিনা সফল হবেন
Total Reply(0)
Mohammad Alamgir ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম says : 0
most of them are not seasoned politicians. we hope backgrounds a bit clean. hasina might do something new with some honesty. hasina wants to start with a clean slate. let us see how much she can achieve with them. we hope and expect a good result from them.
Total Reply(0)
Azizul Hoque ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম says : 0
উনারা গায়ে মানে না আপনি মোড়ল । নিজে নিজেই সাংসদ, নিজেই নিজেদের মন্ত্রী। জনগন উনাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন নাই। উনারা কার জন্য মন্ত্রী ?
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম says : 0
কারচুপির নির্বাচন বা সুবর্নচরের ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে কি তাদের কোন বক্তব্য থাকবে না?
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
এই মন্ত্রীরা বলতে পারবে যে এরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ভাই আমি জানতে চাই।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
এই মন্ত্রীরা বলতে পারবে যে এরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে ভাই আমি জানতে চাই।
Total Reply(0)
Sengupta ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
নবীন-প্রবীণের সংমিশ্রণে নতুন যে মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। তবে যারা নতুন এসেছেন, তাদের অবশ্যই মনিটরিংয়ে রাখতে হবে। সমস্যা দেখা দিলে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
Total Reply(0)
Zulfiqar Ahmed ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৯ এএম says : 0
নতুন মন্ত্রীসভার সকলকে রাইতের ভোটে বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন!!
Total Reply(0)
Mojib Rahman ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪০ এএম says : 0
অপেক্ষায় থাকুন,
Total Reply(0)
Md Mahmudar Nobi Babu ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
ভোট চুরি করে নয় -- সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে দল সরকার গঠন করে, সে সরকারই জনগণের সরকার।
Total Reply(0)
Farzana Rimi ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
চোরদের আবার কিসের মন্ত্রীসভা? ওরা জাস্ট চোর, ডাকাত।ভোটই হয়নি কিসের মন্ত্রীসভা!!
Total Reply(0)
Md Iqbal Hossain ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
জোর করে থাকার মধ্যে অমরত্ব নাই।
Total Reply(0)
Zia Uddin Ahmed ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
মন্ত্রীসভা কেমন হল তা নিয়ে আলোচনা করার আগে যে নির্বাচনের মাধ্যমে মন্ত্রীসভাটি গঠিত হল সেটি নিয়ে আলোচনা দরকার তাহলেই বুঝা যাবে কেমন হয়েছে মন্ত্রীসভা!
Total Reply(0)
Md Sumon Reza ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
নতুন মন্ত্রী সভা অনেক সুন্দর এবং চমকপ্রদ হয়েছে। দেশ গঠনে ক্লিন ইমেজের নতুন দের স্থান দিয়েছে ,যা কিনা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়েছে। তাছাড়া পুরাতন দের কে একদিন যেতে হবেই ,সে হিসেবেও নতুনদের স্থান দিতেই হবে। আশা করি এই নতুন মন্ত্রী সভা তরূণ প্রজন্মের চাহিদা মতো কাজ করে দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবেন।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৭ এএম says : 0
ওরা সকল প্রতারকের দলের। পাতারণা জঘ্ণ্য অপরাধ। একদিন ওরাই হইবে বাংলদেশে জঘন্য ঘৃণিত, এবং বিশ্বে দিককৃত। ওদের না আছে হায়া না আছে ওদের শরম ওদের উপর হইবে আল্লাহ তা'আলার মহা গজব। ইনশাআল্লাহ। চুরিত পুরিত নাই। চুরের ছেয়ে প্রতারক বেশী জঘন্য ওদেরকে আরবীতে মোনফেক বলা হয়।
Total Reply(0)
jack ali ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:০২ পিএম says : 0
They will present the whole nation and their wealth--so that our country will be like Jannat
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৫ এএম says : 0
Those became as a parliament members by vote rigging deprived the citizens right to cast a vote,How come we can expect these corrupt minded Mp or minister's will serve to the people with honestly?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন