শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশে আরসা ও আরাকান আর্মির ঘাঁটি থাকার অভিযোগ মিয়ানমারের

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৫:০৭ পিএম | আপডেট : ৫:২৫ পিএম, ৮ জানুয়ারি, ২০১৯

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র ইউ জ হটাই বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কর্মকর্তারা কক্সবাজারের রামুতে বৈঠক করেছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সূত্র থেকে মিয়ানমার সরকার এ বৈঠকের খবর জানতে পেরেছে। সেখানে তারা মিয়ানমারের ভেতরে নিজ নিজ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।-খবর ইরাবতি অনলাইনের।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি- বাংলাদেশের নিকটবর্তী ম্যাইউ পর্বতমালার পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করবে আরসা, আর পূর্বাঞ্চল থাকবে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে বলে দুই গোষ্ঠী একমত হয়েছে।
জ হটাই বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশের অংশে বর্তমানে আরাকান আর্মির দুটি ও আরসার তিনটি ঘাঁটি রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে মিয়ানমার সরকার অভিযোগও করেছে।
বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ মাদক বিক্রিতেই দুটি সংগঠনেরই আগ্রহ রয়েছে। উত্তর রাখাইন থেকে বিভিন্ন সময় বিপুল ইয়াবা ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
আমি মনে করি, জুলাইয়ে ওই বৈঠকের পরবর্তী ফল হচ্ছে সম্প্রতি পুলিশ ফাঁড়িতে আরাকান আর্মির হামলা।
সংগঠনটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার কথাও বলেন জ হটাই।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খিয়াং থুকা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আরসার সঙ্গে তার সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। মাদকপাচারসহ কোনো অবৈধ কর্মকান্ডেও তাদের সংগঠন জড়িত না।

তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব মিশন আছে। আরসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা বলে মিয়ানমার সরকার আমাদের ভাবমর্যাদা নষ্ট করতে চায়। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আমাদের তুলে ধরে তারা নোংরা রাজনীতি করছে।
মিয়ানমারভিত্তিক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বিশেষজ্ঞ ইউ মুয়াং মুয়াং বলেন, আরসার সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পৃক্ততার যে কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহে রয়েছে। আরাকান আর্মি বলেছে, তারা আরাকান রাজ্যের লোকজন ও তাদের রাজ্যকে রক্ষা করতে চায়।
তিনি বলেন, আরসার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হামলা চালানো হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উপায়। কাজেই এ বিষয়ে আমি কোনো সমাধান দিতে পারব না।
কেন্দ্রীয় রাজ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে গত কয়েক বছর ধরে উত্তর রাখাইনে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। গত মাস থেকে সংগঠনটি তাদের সশস্ত্র তৎপরতা জোরদার করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন