মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মাশরাফি আগুনে চূর কুমিল্লা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

১৮ রানে নেই ৫ উইকেট; যার চারটিই মাশরাফি বিন মর্তুজার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিপিএল) ইতিহাসে সর্বনি¤œ রানের লজ্জায় পড়ার শঙ্কা। কিন্তু পাক অল রাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির বদৌলতে সেই লেজ্জা এড়ান গেলেও নিজেদের সর্বনি¤œ ইনিংসের লজ্জা এড়াতে পারেনি স্টিভেন স্মিথের দল। ৬৩ রানে গুটিয়ে রংপুর রাইডার্সের কাছে তারা ম্যাচও হেরেছে ৯ উইকেট।
এবারের আসরে রংপুরের শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে হার দিয়ে আসর শুরু হয় চ্যাম্পিয়নদের। সেই ক্ষোভ মেটানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েই যেন মঙ্গোলবার মাঠে নামে মাশরাফি বাহিনী। আর তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক নিজে। ক্যারিয়ার সেরা ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ১১ রানের এক স্পেলে তুলে নেন ৪ উইকেট। ১৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি কুমিল্লা। ৩৯ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাইফউদ্দিনকে হারিয়ে বিপিএলের রেকর্ড সর্বনি¤œ ৪৪ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা। কিন্তু আফ্রিদির ১৮ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় করা ২৫ রানের সুবাদে তা আর হয়নি। দলীয় ৫৫ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আফ্রিদি। এরপর দেখার ছিল নিজেদের আগের সর্বনি¤œ ৬৭ পেরুতে পারে কিনা কুমিল্লা। পারেনি। এরপর আর ৮ রান যোগ করতে পারে তারা। কুমিল্লার পুরো ইনিংসে একমাত্র দুই অঙ্কের স্কোর আফ্রিদির।
কুমিল্লার আসা-যাওয়ার শুরুটা হয় তামিম ইকবালের মাধ্যমে। মাশরাফিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডঅনে ফরহাদ রেজাকে ক্যাচ দেন তামিম। একই জায়গা থেকে মাশরাফির বলে স্মিথের ক্যাচটিও নেন ফরহাদ। তার আগে ইমরুল কায়েসকে রবি বোপারার হতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ও লং অফে ইভিন লুইসকে নাজমুল ইসলাম অপুর ক্যাচে পরিনত করেন মাশরাফি। কার্যকারী ছিলেন অন্য বোলাররাও। ২০ রানে ৩ উইকেট নেন নাজমুল, দুটি নেন শফিউল ইসলাম, একটি ফরহাদ রেজা। ১৬.২ বলে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।
মামুলি লক্ষ্যটা কত বল ও উইকেট হাতে রেখে রংপুর জেতে সেটাই ছিল দেখার। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ক্রিস গেইলের উইকেটটি হারিয়ে ৪৮ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পূরণ করেন মেহেদী মারুফ (৩৯ বলে ৩৬) ও রাইলি রুশো (২৮ বলে ২০)। দলীয় ১৪ রানে আবু হায়দারের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ভক্তদের হতাশ করেন গেইল (৫ বলে ১)।
তিন ম্যাচে রংপুরের এটি দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে সিলেট সিক্সার্সকে উড়িয়ে আসর শুরু করা কুমিল্লা দ্বিতীয় ম্যাচেই খেলো বড় ধরনের হোঁচট। স্বভাবতই পরাজয়ের কারণ হিসেবে ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করেন স্মিথ, ‘শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যান এক অঙ্কে আউট হলে আপনি জয়ের আশা করতে পারেন না।’ এরপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার তারকা ইতিবাচকই থাকছেন, ‘রাতটা আমাদের ছিল না এবং আমরা বাজে খেলেছি। সামনের দিকে তাকানোর কিছু রসদ আমরা পেয়েছি, টুর্নামেন্টে এখনো অনেক পথ বাকি।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৬.২ ওভারে ৬৩ (তামিম ৪, লুইস ৬, ইমরুল ২, স্মিথ ০, শোয়েব ০, এনামুল ২, আফ্রিদি ২৫, সাইফ ৭, মেহেদি ৬, আবু হায়দার ৫, শহিদ ০*; মাশরাফি ৪-১-১১-৪, সোহাগ ২-০-৭-০, শফিউল ২-১-৮-২, অপু ৩.২-১-২০-৩, রেজা ২-০-১১-১,
হাওয়েল ৩-০-৬-০)।
রংপুর রাইডার্স : ১২ ওভারে ৬৭/১ (গেইল ১, মারুফ ৩৬*, রুশো ২০*; আবু হায়দার ৩-০-১১-১, মেহেদি ৩-০-২২-০, শহীদ ২-০-১০-০, আফ্রিদি ২-০-১৬-০, সাইফ ১-০-৩-০,
স্মিথ ১-০-৪-০)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : মাশরাফি বিন মর্তুজা

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন