বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সচিবালয়ে অন্যরকম দৃশ্য

নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রথম কর্মদিবস

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ৯ জানুয়ারি, ২০১৯

এ যেন এক অন্যরকম সচিবালয়। নতুন মন্ত্রীদের প্রথম কার্যদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় যেন হয়ে পড়ে ফুলের রাজ্য। নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের বরণ করে নিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ইউনিয়ন নেতা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেয় মন্ত্রীদের দফতর। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানানো এবং আগামীতে সুযোগ-সুবিধার চিন্তায় তাদের সঙ্গে পরিচিত হতে হুমরি খেয়ে পড়েন অসংখ্য পরিচিত মুখ। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা যেমন ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেন মন্ত্রীকে; তেমনি ‘আমি তোমারি লোক’ প্রমাণের প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন। সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের লক্ষ্যে নতুন মন্ত্রীদের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের চেয়ে কর্মচারী ও দলীয় লোকদের উপস্থিতি দেখা যায় বেশি। মন্ত্রীদের নিজ মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি, ফুল গ্রহণ এবং প্রথম কার্যদিবসে সুচিন্তিতভাবে মন্ত্রণালয় পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন। দুর্নীতি ও মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ বেং সুদৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসনের কর্মযজ্ঞ গতিশীল করার ইংগিত দেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের অধিকাংশই দুপুরের পর মন্ত্রণালয়ে আসেন। কিন্তু সকাল থেকেই তাদের বরণ করে নেয়ার জন্য ফুল নিয়ে অপেক্ষা করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পেশাগত কারণে যারা নিত্যদিন সচিবালয় যান তেমন সাংবাদিকরা জানান, গতকাল যেন সচিবালয়ে ছিল ‘ফুল দিবস’। সচিবালয়ে এতো ফুলের ছড়াছড়ি অতীতে কখনো দেখা যায়নি। এমনকি আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ও ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পরও মন্ত্রীদের বরণ নিতে এতো ফুলের সমারোহ চোখে পড়েনি। কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘মন্ত্রী বরণের’ এতো এলাহী আয়োজন দেখা যায়নি। গতকাল সচিবালয়ে ফুল নিয়ে যে মহাসমারোহের দৃশ্য দেখা গেছে তা শুধু ২১ শে ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন ও পশ্চিমাদের সৃষ্ট ১৪ ফেব্রুয়ারী তথাকথিত ‘ভালবাসা দিবসে’ দেখা যায়। ফুল ব্যবসায়ীরা বিপুল অর্থের ব্যবসা করেন একদিনেই।
মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পরদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে সচিবালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছেন। তবে পুরানো মন্ত্রীদের মধ্যে একজন মন্ত্রীকে অফিসে এসে নতুন মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। পুরনো অন্য মন্ত্রীদের দেখা না গেলেও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হানাসুল হক ইনু হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীর বহরের সঙ্গে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা চারটি বাসে করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। সেখানথেকে আবার বাসে করে ফিরে দুপুরে সচিবালয়ে আসেন। পরে নিজ দফতরে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এক দিকে মন্ত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন অন্যদিকে তোষামোদী করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তার সাথে বাদ নেই দলীয় নেতা কর্মীরা। আবার সচিবালয়ের বাহিরে থাকা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুরুর দিনে বাইকে অফিসে করেছেন। তবে তার মাথায় হেলমেট ছিল না। এদিকে সকাল থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন গেটে ফুল নিয়ে দাড়িয়েছিলেন মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া সচিবালয়ে গাড়ি রাখার জায়গা ছিল না। দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারনা।
জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, মাদক নির্মুলে একটা সমন্বিত ভাবে কাজ করা এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উৎপাটনও চ্যালেঞ্জিং একটা সমন্বিত কাজ বলে জানিয়েনে মন্ত্রীরা। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
সোমবার বঙ্গভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে শপথ নেন তার নতুন সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে বেশিরভাগ পুরনো নেতাদের বাদ দিয়ে এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অতিরিক্ত সচিব ইনকিলাবকে জানান, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে। তখন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নতুন মন্ত্রীদের তেল মারতে থাকে। কারণ আগামী ৫ বছর লুটপাট করতে হবে। সেই বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কাজ করে থাকে। এটা কোন নতুন বিষয় নয়। যে কর্মকর্তা বেশি তেল দিবেন সে বেশি দুনীতি করেন। তবে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রিরা।
মন্ত্রিসভার শপথের পরদিন মঙ্গলবার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চলবে, যে অভিযান শুরু হয়েছে এটা আরো জোরদার হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতির মামলায় কিন্তু আমাদের অনেক এমপি কারাগারে। যে জন্য আমরা বদিকে নমিনেশন দেইনি। তার ওয়াইফকে আমরা নমিনেশন দিয়েছি টেকনাফ অঞ্চলে। তিনি বলেন, বিশেষ করে মাদক সুনামির মতো সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এখনই জিরো টলারেন্স যদি আমরা প্রদর্শন করতে না পারি তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য এটা অশনি সংকেত হয়ে যাবে। কাজেই মাদকের ব্যাপারটা ফাস্ট প্রায়োরিটি, মাদকের সঙ্গে করাপশনও আছে। আর একটা বিষয় হলো আমরা এবার সুশাসনের বিষয়ে অধিকতর মনোযোগ দেবো সুশাসনের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আগে বঙ্গবন্ধুর সরকার মাত্র সাড়ে তিন বছর ছিল। তারপর আবার আমরা এলাম। চ্যালেঞ্জ তো এখানে আছে। ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন হবে না, এটা আশা করে লাভ নেই। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যারা আমরা যারা দেশ চালাই এখানে সমস্যা আছে। করাপশন ইটস অ্য ওয়ে অব লাইভ। সারা পৃথিবীর ইস্যু, বাংলাদেশ তো ব্যতিক্রম কিছু নয়। দুর্নীতি, মাদক এবং এ বিষয়টাও (জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতা) সময় লাগবে। তবে সরকার খুবই আন্তরিক, প্রাইম মিনিস্টার নিজেই সিরিয়াস। যে কারণে তিনি তার নতুন মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজিয়েছেন, সবকিছু মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভার কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক দায়িত্ব নিয়েই প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বধ্যপরিকর। আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান নিয়ামক হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা, আমরা এর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যে ভিশন নিয়েছি। শেখা হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কৃষিকে লাভজনক করা,নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে খোরপোষের কৃষি বাণিজ্যিক কৃষি হয়েছে,খাদ্য ঘটতির দেশ একন খাদ্য রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বিশ্বের রোল মডেল। কৃষিকে বাজারজাত,পক্রিয়াজাত ও সঠিক মুল্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করতে সবাইকে অংশগ্রহন করতে হবে। পরে মন্ত্রী মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাথে পরিচিত হন। পরিচিতি অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
অনেক ভুয়া অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন নতুন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেক ভুয়া অনলাইন কিছু উল্টা-পাল্টা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। অনেকের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে তারা। আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিয়ে এগুলো মোকাবিলা করবো।
সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এই কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। তাছাড়া টেলিভিশন এবং অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে শেখ হাসিনা সময়েই। তিনি বলেন, গতকাল শপথ নেওয়ার পর অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা প্রশ্ন করেছিলেন, অনেকগুলো ভুঁইফোড় অনলাইন সংবাদমাধ্যম তৈরি হয়েছে। তারা অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশন করে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই মেয়াদে তার অগ্রাধিকার হবে জনগণের জন্যে সুবিচার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা।এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নির্ধারণ করে সমাধানের চেষ্টা করা। তিনি বলেন, মানুষের সুবিচার কী হওয়া উচিত তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানেই উল্লেখ আছে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা গত সরকারের সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। সেগুলো আরও জোরদার ও সুদৃঢ় করা হবে। তিনি বলেন, আমি একটি কথা বলতে চাই, গতবার আমার মন্ত্রণালয়ের দুটো বিভাগই আমাকে সহযোগিতা করেছে। যার ফলে অনেক কাজই করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে অসম্পাদিত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই।বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা দায়ী তাদের সনাক্তে আমরা কমিশন গঠনের চেষ্টা করবো।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে আগামী পাঁচ বছর দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে চমক থাকবে। দেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সকল নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে।
সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদারসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করলে দেশ সুষম উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে। বাংলাদেশ এখন অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের বিশাল পরিমান জনসংখ্যা রয়েছে। এ জনসংখ্যাকে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্ত করে জনসম্পদ হিসেবে ব্যবহার করলে ২০৪১ সালের পূর্বেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবো। মন্ত্রী ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জনপদে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। গুণগত কাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা দেশে আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নে চমক দেখাতে চাই। সকল ধরণের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কাজ করবো। মন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নত জীবন-যাপনের পবিত্র দায়িত্ব এ মন্ত্রণালয়ের উপর ন্যাস্ত। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সাথে এ দেশে দুঃখী জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
নতুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সবাইকে নিয়ে তিনি একযোগে কাজ করবেন। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে বসে দীপু মনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আজ শিক্ষামন্ত্রী যখন কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে দেখিয়ে বলেন, তাঁরা দলেও ভালো টিম। এখানেও সবাই মিলে একটি টিম হিসেবে কাজ করবেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন, এটা ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব। আমরা সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করব। এই অঙ্গীকার করব।
নতুন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমি কৃষকের ঘরের সন্তান। ১৯৭৬ সাল থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। তবে আমি খাদ্য ব্যবসায়ী নই। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই মন্ত্রণালয়ের কাজ করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় অনেক বড় একটি মন্ত্রণালয়। এখানে খাদ্যের দাম দুই টাকা বাড়লে কিংবা কমলে দোষ হয়। তাই এখানে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা নিষ্ঠার সঙ্গে করে যেতে চাই। তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সবার সহযোগিতা চাই।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তা অবশ্যই হবে আইনের মধ্যে থেকেই। মন্ত্রী বলেন, আমার টিম লিডার প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি করেন না, পছন্দও করেন না। তার দলের সদস্য হিসেবে এক্ষেত্রে আমার জিরো টলারেন্স অবস্থান থাকবে। দুর্নীতির কোনো অভিযোগের সারবস্তু থাকলে তার সমাধানই শুধু না, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে তা অবশ্যই হবে আইনের মধ্য থেকে। অপ্রিয় হলেও সত্য, এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে গণঅভিযোগ রয়েছে। আমরা কেনো আরো গতিশীল হতে পারলাম না, কেনো আরো স্বচ্ছ হতে পারলাম না, আরো বেশি মানুষের কেনো প্রয়োজন মেটাতে পারলাম না। আমাদের টিম লিডার সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করবো।
নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেছেন, হজের ব্যাপারে (হজযাত্রা) কোনো কথা হোক, তা তিনি চান না এবং এটা তিনি হতে দেবেন না। হজের ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতের সব বছরের চেয়ে ভালো করতেই হবে। তিনি মনে করেন, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে দেওয়াই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার আজ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন। মন্ত্রণালয়ে আসার আগে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যবর্গসহ সকালে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। তারপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বেলা দুইটায় তিনি সচিবালয়ে এসে নিজ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। নিজ দপ্তরে যোগদানের পর তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারিগণের সাথে এক সভায় মিলিত হন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়ে স্বাগত জানান এবং সভার পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল দপ্তর ও অধিদপ্তর প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমানে পরিবেশ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমরা একটি টিম ওয়ার্ক হিসাবে আমাদের ওপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো। পরিবশে, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, সবাই নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে শ্রম মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, খুলনার খালিশপুরে বন্ধ নিউজপ্রিন্ট মিল ও জুট মিলসহ অন্য বন্ধ কলকারখানাগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া আদমজী জুট মিলের অব্যবহৃত জায়গা শিল্প-কারখানার কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, বিমান ও বিমান বন্দর একটি দেশের ড্রয়িং রুম ও গেটওয়ে, তাই এ দুটোকে দৃষ্টিনন্দন ও পরিপাটি করে তুলতে এবং বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় এক কোটি প্রবাসী জাতীয় পতাকাবাহী বিমানে যাতায়ত করতে চায়, বিমান কর্তৃপক্ষকে তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং বিদেশমুখী পর্যটকদের দেশমুখী করতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিমান ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক।
নতুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন দায়িত্ব পাওয়া জাকির হোসেনের বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উনি অনেক অভিজ্ঞ মানুষ। আপনারা যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, নতুন মন্ত্রীকে সেভাবেই সহযোগিতা করবেন, যাতে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদফতর ও সংস্থার প্রধানরা মোস্তাফিজুর রহমানকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিদায় সংবর্ধ্বনা জানান
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আমার মাথার উপর আছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করি তার সহযোগিতায় সবগুলো বিষয়ই আমরা সুন্দরভাবে দেখতে পারব, এখানে কোনো সমস্যা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন, তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তা বাস্তবায়ন করাটাই হচ্ছে আমার কাজ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানন্ত্রী চান এই প্রশাসন অত্যন্ত গতিশীল হবে, অত্যন্ত দক্ষ হবে এবং জনবান্ধব হবে, যাতে গ্রামের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জনপ্রশাসনের সেবাগুলো অত্যন্ত সহজ ও সাবলীলভাবে পেতে পারে। সেজন্য আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা আছে, সেটা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করাই আমাদের কাজ হবে। গণতন্ত্রের ভীতকে মজবুত করতে দুর্নীতি দমনের কোনো বিকল্প নেই। ফরহাদ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে, আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দৃঢ় ভূমিকা নেবে।
সুবিচার নিশ্চিত করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ-আইনমন্ত্রী
দেশে সুবিচার নিশ্চিত করা নতুন সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ মনে করেন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়া আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে সুবিচার নিশ্চিত করা, সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। মানুষের সুবিচার কী হওয়া উচিত তা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সংবিধানে উল্লেখ আছে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করেই মানুষের সুবিচারের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নির্ধারণ করে সমাধানের চেষ্টা করা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা গত সরকারের সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। সেগুলো আরও জোরদার ও সুদৃঢ় করা হবে। আমি একটি কথা বলতে চাই, গতবার আমার মন্ত্রণালয়ের দুটো বিভাগই আমাকে সহযোগিতা করেছে। যার ফলে অনেক কাজই করা সম্ভব হয়েছে। গতবারের অভিজ্ঞতার আলোকে অসম্পাদিত কাজগুলো এগিয়ে নিতে চাই। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয় তবে কঠিন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হওয়ার কারণ আছে। আর সেটা হলো ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে খুনের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে।
দেশেও অনেককে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আপনারা জানেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্টপোষকতা করছে। এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব বিমান বন্দরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ডালিমের স্ত্রীর লাশ রিসিভ করেছেন যোগ করেন আইনমন্ত্রী। সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা দায়ী তাদের সনাক্তে আমরা কমিশন গঠনের চেষ্টা করবো।
বৈদেশিক নীতির লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে চান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে বৈদেশিক নীতির মূল লক্ষ্যগুলো অর্জনে সবার সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব চেয়েছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের সক্রিয় সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব দরকার। আমাদের সবার কাছ থেকে সমর্থন ও সক্রিয় উদ্যোগ দরকার। বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর থেকেও আমাদের সহযোগিতা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাই তারা একটি দল হিসেবে কাজ করতে চান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয়ে স্বাগত জানানো হয়। এসময় সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রেলকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করবেন নতুন মন্ত্রী
নতুন রেলপথমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী রেলকেও দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলভবনে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন নতুন রেলপথ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রেলওয়ের চলমান প্রকল্পগুলো যাতে নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় সে জন্য কাজ করব। এছাড়া অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আলাদা উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টায় এগিয়ে চলেছি। আমরা এখন উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগোচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, রেলকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মোঃ রফিকুল আলম, মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
নীতি গ্রহণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, আগামী দিনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কর্মকান্ডে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানের প্রতিফলন ঘটবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে কোনো অবস্থায় দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত সভায় বক্তৃতাকালে এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বক্তব্য রাখেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। এ সময় বিগত দশ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয় অর্জিত সাফল্য, মন্ত্রণালয়ের চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা এবং ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সাফল্য উপস্থাপনকালে জানানো হয়, গত দশ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানাগুলোর পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এর ফলে জাতীয় আয়ে শিল্পখাতের অবদান জোরদার হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে শিল্পখাতে ২৫ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। দেশিয় শিল্প কারখানায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি ‘শিল্প বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করবে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিগত দশ বছরে মন্ত্রণালয় সূচিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি বিদায়ী শিল্পমন্ত্রীর মূল্যবান পরামর্শ কামনা করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর শিল্প দর্শনের আলোকে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং বিদায়ী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ক্লিন ইমেজ নিয়েই কাজ
করতে চাই : প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী
দীর্ঘ ৩২ বছর ক্লিন ইমেজ নিয়েই রাজনীতি করেছি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনেও ক্লিন ইমেজ নিয়ে কাজ করতে চাই। অতীতে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে কি হয়েছে তা’আমার বিষয় না। দুর্নাম-বদনাম থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ে কমিয়ে আনার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নবনিযুক্ত প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি একথা বলেন।
প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রবাসী কর্মীরাই রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছেন। অথচ দেশে ফেরার পথে বিমান বন্দরেই প্রবাসী কর্মীরা বেশি লাঞ্ছিত হয়। বিমান বন্দরে প্রবাসী কর্মীদের ভোগান্তি লাঘবে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। বিমান বন্দর কল্যাণ ডেক্সকে আরো গতিশীল করা হবে।
মালয়েশিয়ায় দশ সিন্ডিকেট এর কারণে অভিবাসন ব্যয় জনপ্রতি চার লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে অভিবাসন বেড়ে যায়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো সিন্ডিকেটেরই পক্ষে না। এসব বিষয় অবগত হয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে টার্গেট নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী সকলের সহযোগিতা নিয়ে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাকে প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পুরো টীমের সহযোগিতা ছাড়া এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী সচিব রৌনক জাহান, বিএমইটি’র মহাপরিচালক মো: সেলিম রেজা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, বোয়েসল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বেগম শামছুন নাহার।

কাজের মাধ্যমেই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়ন করা হবে
------ শিল্প প্রতিমন্ত্রী
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, নিজে কাজে বিশ্বাসী এবং কাজের মাধ্যমেই শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে শ্রমিক নেতারা বেশি কাজ করে থাকেন। সে বিবেচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার সিবিএ নেতাদের কর্মকান্ডেও পরিবর্তন আনতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা লাভজনক করতে শ্রমিক নেতাদের বেশি করে কাজ করার উদাহরণ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী গতকাল প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় তিনি বিগত দশ বছরে শিল্প মন্ত্রণালয় অর্জিত সাফল্যের পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তুলে ধরেন।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারের বিরাট অংশ বাস্তবায়ন সম্ভব। এ লক্ষ্যে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিল্পায়নের চলমান প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এর আগে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (14)
Mohsin Reza ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 1
‘গায়ের জোরের এই সংসদ ও এই মন্ত্রিসভা নিয়ে আমাদের কোনো কৌতূহল নেই, জনগণেরও কোনো আগ্রহ নেই। জনগণের কাছে না আছে এই সংসদের গ্রহণযোগ্যতা, না আছে এই মন্ত্রিসভার গ্রহণযোগ্যতা।’ Correctly said
Total Reply(0)
MD.ABDUR RAHMAN ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 1
আগের মন্ত্রীরা বাদ পড়ায় মানুষ যে পরিমাণ খুশি তাতেই বোঝা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি মানুষের বিরক্তি আর ক্ষোভটা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। যদি দেশে ভোট হতো নিশ্চিত আওয়ামী লীগ ধরার মতো খরকুটাও পেত না।
Total Reply(0)
মনন ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
মন্ত্রীসভা নিয়ে মতামত প্রদানের কিছু নেই।
Total Reply(0)
Morshed Morshed ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
যাদের আদর্শ নাই তাদের কে ঘৃণা করা উত্তম বাংলাদেশের জনগণের সাথে তামাশা
Total Reply(0)
M Mafruhi Sattar ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সব খবরই আছে, নেই শুধু খেটে খাওয়া গরীবের আন্দোলনের খবর। ওদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আমাদের অর্থনীতিকে উপরে তুলেছে। আর ওদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির আন্দোলন আজ গনমাধ্যমে নেই আছে মন্ত্রী হার রেকর্ড করার খবর। এ কেমন গনমাধ্যম?
Total Reply(0)
Hasib ctg ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
ভালোতো ভালো না?
Total Reply(0)
msIqbal ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
বিএনপির ধারণা ছিল আওয়ামী লীগের গত দশ বছরের শাসনামলে ত্যাক্ত, বিরক্ত হয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষেই আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের বিএনপিকে ভোট দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটাররাই হল বিএনপির ''নীরব'' ভোটার! বিএনপির আশা ছিল এই ভোটাররা ''নীরব বিপ্লব'' ঘটাবে। বাস্তবতা হলো সেটি কখনোই ঘটবে না। ঘটা সম্ভবও নয়। কারন আওয়ামী বিরোধীদের ভোট পেতে হলে বিএনপিকে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হলেই হবে না, আওয়ামী লীগের সমকক্ষও হতে হবে। ভোট দিতে গিয়ে শুধুমাত্র দল আর দলের নেতাদের স্বার্থে ধ্বংসাত্বক রাজনীতির মধ্যে নিমজ্জিত জামায়াত পরিবেষ্টিত বিএনপিকে আওয়ামী লীগের তুলনায় এগিয়ে রাখতে না পেরে একজন আওয়ামী লীগ বিরোধী ভোটারের ক্ষোভ, দুঃখ অভিমান ভুলে শেখ হাসিনার 'ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার' আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিকল্প আর কোনো উপায় থাকে না!
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
আ'লীগ উন্নয়ন করছে কিন্তু জনগণের উপর আস্থা নেই যার জন্য এমন একটি নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে দেখতে হল।
Total Reply(0)
Bidyut Fouzder ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
অ‌ভিনন্দন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জন‌নেত্রী শেখ হা‌সিনা‌কে। যে যাই বলুক, দে‌শের উন্নয়ন এবং প্রবৃ‌দ্ধি অর্জ‌নে তাঁর বিকল্প নেই। ত‌বে এবার সুশাসন প্র‌তিষ্ঠা এবং মাদক নির্মূল অ‌ভিযান জরুরী।
Total Reply(0)
Sharif Khan ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
আওয়ামীলীগের বণ্টন নিতি খুবেই চমৎকার,, আগে যারা খেয়েদেয়ে মোটা তাজা হয়েছো,এবার তোমরা বস, এবার নতুনদের খাওয়ার সুযোগ দিতে হবে,,,,আসলেই অসাধারণ বণ্টন সিস্টেম।।
Total Reply(0)
Md Monju ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ দেশকে এতটা দক্ষতার সাথে চালনা করতে পারবে না। আর হ্যাঁ গনতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়ন জরুরী। কারণ গনতন্ত্র দিয়ে পেটে ভাত জুটবে না। সিরিয়া, লিবিয়া ধ্বংস হয়েছে গনতন্ত্রের দাবিতে।
Total Reply(0)
Omar Faruk Miazie ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে বর্তমান মন্ত্রিসভা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে আগে কিছু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় মন্ত্রী হয়েছিল এদের এদের কারণে আওয়ামী লীগের দুর্নাম হয়েছে এদেরকে এবার বাদ দেওয়া হয়েছে এটা সবচেয়ে ভালো হয়েছে
Total Reply(0)
Nannu chowhan ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ৮:৪৫ এএম says : 0
Je mp gon jonogoner vot deowar odhikarke khorbo kore nijeder kormi proshashon dara voter baksho vorti kore mp theke montri hoyesen tader dara konodin shushashon asha kora jaina, apnara birodhi doler otitke nia ghata na kore apnara shodur proshari karjokolap kivabe chalaben ebong atto shmalochona korte cheshta korun shetai hobe desher jonno manusher jonno ottom...
Total Reply(0)
jack ali ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫৭ এএম says : 0
How much money they will spend which is our hard earned money for frivolous activities [Functions] where as we have people whose who homeless/poor people/no-money for treatment---it will go on and on??????????????
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন