বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুষ্টিয়ায় ভাঙাড়ি ব্যবসার আড়ালে চোরাই সিন্ডিকেট

কুষ্টিয়া থেকে এস এম আলী আহসান পান্না | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুষ্টিয়া জেলায় ভাঙাড়ি ব্যবসাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী চোরাই সিন্ডিকেট। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের সদস্য ও দোকানিরা অল্পদামে মাদকসেবী ও ছিচকে চোরদের কাছ থেকে লৌহজাত দ্রব্য কিনে লাভবান হলেও সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এ সব ব্যবসায়ীর উপর প্রশাসনের নজরদারি নেই। প্রতিদিন প্রচুর লোহা পাচার হয়ে ঢুকছে ভাঙাড়ির মোকামগুলোতে। লোহার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলায় গড়ে উঠেছে শতাধিক ভাঙাড়ি মালামাল বেচাকেনার দোকান। দোকানিদের অধিকাংশের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে অনেক চোরাই সিন্ডিকেট। দোকানগুলোতে শ্যালো যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রিক মোটর, দরজা-জানালার গ্রিল, টিউবওয়েলের মাথা, যানবাহনের টুলবক্সসহ বিভিন্ন লোহার সামগ্রী পাওয়া যায়, যার অধিকাংশই চোরাই। চোরাই সিন্ডিকেটের হাতে রাতারাতি বড় শ্যালো মেশিন, রিকশা-ভ্যান, ট্রাকের চ্যাসিস, রেলের পাত পর্যন্ত গায়েব হয়ে যায়। ওই চোরাই ব্যবসায়ীদের সাথে কিছু অসাধু পুলিশের আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে চোরাই দ্রব্য বেচাকেনা চললেও অভিযান চালায় না পুলিশ।

চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্য ছাড়াও টোকাই, মাদকসেবী ও ছিচকে চোর দোকানগুলোতে খুব কম দামে মালামাল সরবরাহ করে। বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে চুরি করা ফ্যান, টিউবওয়েলের মাথাসহ বিভিন্ন সামগ্রী ও মাঠ থেকে শ্যালো মেশিন এবং বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরি করে চোরদল ঝামেলা এড়াতে সিন্ডিকেট সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। পরে সুবিধামত সময়ে সিন্ডিকেট সদস্যরা ওইসব মালামাল রাতে বা খুব ভোরে মোকামগুলোতে পৌঁছে দেয়। অনেকেই এ ব্যবসা করে লাখপতি বনে গেছে। দোকানদাররা এ সব মাল বিভিন্ন ফেরিওয়ালেদের কাছ থেকে কিনে নেন। মালগুলোর বেশির ভাগই চোরাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। ভাঙাড়ি ব্যবসার বড় মোকাম গড়ে উঠেছে রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকাগুলোতে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন