শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এক বছরেও সম্পন্ন হয়নি ডিজাইন

পদ্মার ভাঙন রোধে প্রকল্প , কাল নড়িয়ায় যাচ্ছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

শরিয়তপুরের নড়িয়া-জাজিরা এলাকায় ইতিহাসের ভয়াবহতম নদী ভাঙন রোধে বছরাধিককাল আগে ১ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ একটি প্রকল্প একনেক-এর চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করলেও এখনো প্রনয়ন সম্পন্ন হয়নি পরিপূর্ণ নকশা। অনুমোদনের ৯ মাস পরে ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রস্তাবনা’টি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন লাভ করে। এরপর এক মাস ২০ দিন পরে নৌ বাহিনীর অধিভূক্ত প্রতিষ্ঠান-খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন চূক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের। ইতোমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড ভাঙন রোধে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরুও করেছে। ভাঙন রোধে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিপুল পরিমান জিও ব্যাগ ডাম্পিং-এর কাজও শুরু হয়েছে।
গত ৯ ডিসেম্বর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব শরিয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে জিও ব্যাগ ফেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ অবস্থাতেই পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আগামীকাল নড়িয়ার ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিরোধ কার্যক্রমের অগ্রগতি তদারক করবেন। এসময় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম-এমপি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি এবং উচ্চ পর্যায়ের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন আশা করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, পদ্মার ভয়াবহ ভয়াবহ ভাঙন প্রতিরোধে বছর দুয়েক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড শরিয়তপুরের ঠাকুর বাজার, বাঁশতলা, কুন্ডের চর সংলগ্ন প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক দিয়ে পদ্মার স্রোত থেকে ভাঙন রোধসহ নদী তীর রক্ষা এবং একই উদ্দেশ্যে আরো পৌনে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের একটি প্রকল্প-প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়। গত বছর ২ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক’এর অনুমোদন লাভ করে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি উন্মুক্ত দরপত্র-ওটিএম’র পরিবর্তে বিভাগীয় দরপ্রস্তাব প্রক্রিয়া-ডিপিএম’এর আওতায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সে আলোকে প্রকল্পটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌ বাহিনী তার অধিভূক্ত খুলনা শিপইয়ার্ডের মাধ্যমে শরিয়তপুরের এ ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘদিনেও ভাঙন প্রতিরোধে বিস্তারিত নকশা প্রনয়ন এবং তা খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে হস্তান্তর করত না পারায় বাস্তবে টেকসই ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নদী গবেষনা ইনস্টিটিউটকে ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রমের পরিপূর্ণ নকশা প্রনয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নকশা সার্কেলের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে পরিপূর্ণ সম্ভাব্যতা সমীক্ষাসহ নকশা প্রনয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট। তবে তা সম্পন্ন করতে আরো অন্তত দু মাস সময় লাগতে পারে।
এ অবস্থাতেই আগামীকাল পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী শরিয়তপুরের ভাঙন কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে তারা সেখানে নিশ্চয়ই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত ও ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন