শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সুলশারের আসল পরীক্ষা আজ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আপৎকালীন কোচ হিসেবে ওলে গানার সুলশারের শুরুটা হয়েছে দারুণ। ৫ ম্যাচে ১৬ গোল, প্রত্যোক ম্যাচেই জয়। হোসে মরিনহোর অধীনে নিজেদের হারিয়ে ফেলা রেড ডেভিল খ্যাত দলটি যেন পথ খুঁজে পেয়েছে সুলশারের হাত ধরে। তবে সুলশারের আসল পরীক্ষা হবে আজ। প্রিমিয়ার লিগে তাদের সামনে তালিকার তিন নম্বর দল টটেনহাম হটস্পার।
মরিনহোর অধীনে আক্রমণে স্বাধীণতা ছিল না পল পগবা এবং মার্কাস রাশফোর্ডের। সুলশারের অধীনে সেই বাধা নেই। দজনে খেলছেনও দারুণ। এর ফল ভোগ করছে দল। অবশ্য এখন পর্যন্ত বলার মত তেমন কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে পড়তে হয়নি তাদের। সুলশার নিজেও সেটা জানেন। তাই ওয়েম্বলির ম্যাচকে বিশেষভাবে নিচ্ছেন তিনি, ‘যখন আপনি ভালো একটা দলের বিপক্ষে খেলবেন তখন আপনাকে বিশ্বস্থ থাকতে হবে এবং ফুটবলে জয় পাওয়ার অধিকার অর্জন করতে হবে।’ নিজের ট্যাকটিকস থেকে পিছপা হবেন না জানিয়ে সাবেক ম্যান ইউ স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমরা সেখানে যাওয়ার জন্যে যাচ্ছি না এবং সাধারণভাবেই যাব। তবে আপনারা ম্যান ইউনাইটেডের যে অ্যাটাকিং ফুটবলের কথা বলেন আমরা সেখানে সেই জন্যেই যাব এবং আক্রমণ করব।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা সেখানে তিন পয়েন্টের জন্যে যাব।’ ম্যাচটি দারুণ উপভোগ্য হবে বলেও মনে করেন সুলশার, ‘আমি নিশ্চিত এটা দারুণ একটা ম্যাচ হতে যাচ্ছে, দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে।’
আসল সত্যটা শেষে ঠিকই স্বীকার করেছেন সুলশার। সফরকারীদের সহজে ছেড়ে দেবে না মাউরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে পাল্টে যাওয়া টটেনহাম। লিগের চিত্রও কিন্তু সেই কথাই বলে। লিভারপুল-ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে রয়েছেন শিরেপার দৌড়ে। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে যেখানে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ৬, সেখানে ম্যান ইউ ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে তালিকার ছয়ে। ২১ ম্যাচের ১৬টিতেই জয় টটেনহামের। শেষ ১১ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে স্পার্সরা। অন্যদিকে লিগে ইউনাইটেডের ১১ জয়ের শেষ তিনটি এসেছে সুলশারের অধীনে।
ওদিকে সুলশার ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলে যোগ হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে সমান তালে উচ্চারিত হচ্ছে পচেত্তিনোর নাম। সেটা মৌসুম শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ডের স্থায়ী কোচ হিসেবে পচেত্তিনোর যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে। এ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলছেন না আর্জেন্টাইন কোচ। তবে ইউনাইটেডের যে তিনি মস্ত বড় ভক্ত সে কথা অকপটে স্বীকার করতে গিয়ে স্মৃতিকারতর হয়ে গেলেন পচেত্তিনো। সেখানে চলে আসলো সুলশারের নামও, ‘আমি তখন আমার গোলকিপার কোচ টনি জিমেনেজের সঙ্গে, ১৯৯৯ সালে ন্যু ক্যাম্পে আমি সেদিন ছিলাম। তার (ওলে গানার সুলশার) কথা আমার মনে আছে, যখন সে ইনজুরি সময়ে দ্বিতীয় গোলটা করল সেদিন আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্যে গলা ফাটিয়েছিলাম। এটা ছিল অবিশ্বাস্য, কারণ আমরা ছিলাম নিরপেক্ষ দর্শক যারা দারুণ একটি ম্যাচ দেখছিল।’
পচেত্তিনো হলেন বাস্তববাদী মানুষ। গুঞ্জনে কান দেন না জানিয়ে বলেন, ‘যখন আপনি কোন কোচ বা ম্যানেজার তখন অপনি কোন গুজবে কান দিতে পারেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো নিজের কাজটা মনোযোগ সহকারে করা।’ প্রতিপক্ষ ম্যান ইউ সম্পর্কেও সচেতন ৪৬ বছর বয়সী, ‘অবশ্যই ম্যান ইউ এখানে জয়ের জন্য আসবে এবং এটা তার (সুলশার) জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অথবা চ্যালেঞ্জিং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ম্যানেজ করা।’ তবে পাল্টা হুমকিটাও দিয়ে রেখেছেন পচেত্তিনো, ‘আমরাও হাল ছাড়ি না, আমরা এমন যারা জিতেতে ভালোবাসে ও পরাজয়কে ঘৃণা করে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন