দেশের বাজারে বিদ্যামান চালের মধ্যে সবচেয়ে কম, ৬ পিপিএম জিংক মিলেছে মিনিকেট চালে। তাই শরীরের জন্য দরকারী পুষ্টি উপাদান জিংক ঘাটতিতে ভুগছে দেশের ৭৩ ভাগ নারীও ৪১ ভাগ শিশু। হারভেষ্ট প্লাস নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, দেশের বিভিন্ন জাতের মোটা চালকে বার বার ছাটাঁই করে বানানো হয় মিনিকেট। আর ছাটাইয়ের সাথে সাথে কমতে থাকে জিংকের পরিমানও।
মিনিকেট চালের একছটাকও বাণিজ্যিক চাষ নেই দেশে। অথচ চিকন এই চালেই আগ্রহ বেশিরভাগ ভোক্তার। তাই জোগান ঠিক রাখতে ব্যবসায়ীদের ভরসা স্বয়ংক্রিয় চালকলে। যেখানে বিভিন্ন জাতের মোটা চাল ২০ ভাগ পর্যন্ত ছেঁটে বাজারে ছাড়া হয় মিনিকেট নামে। এতে নষ্ট হয় খনিজ উপাদান জিংক। স্মৃতিশক্তি কমা, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের কারণ জিংকের ঘাটতি। গবেষণার তথ্য বলছে, পুষ্টিচাহিদা পূরণে, প্রতিকেজি চালে কমপক্ষে ১২পিপিএম জিংক থাকার কথা হলেও, মিনিকেটে আছে মাত্র ৬ দশমিক ৩৬ পিপিএম। সবচেয়ে বেশি ১২ দশমিক ৯২ রয়েছে নাজিরশাইলে। কাটারিভোগে ১১ দশমিক ৩৯, ২৮ চালে ৯ দশমিক ৬৮, স্বর্ণায় ৮ দশমিক ৯, বাংলামতিতে ৭ দশমিক ৬২ আর অন্যান্য চালে জিংক রয়েছে গড়ে ১০ পিপিএম।
সরকারি তথ্য বলছে, দেশের পাঁচ বছর বয়সী ৪১ শতাংশ শিশু আর বিভিন্ন বয়সী ৭৩ শতাংশ নারী এখনো ভুগছে জিংক স্বল্পতায়। এ ঘাটতি মেটাতে চাষ হচ্ছে উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ধান। কিন্তু সচেতনতার অভাবে প্রতিদিনের খাবার টেবিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জিংক। তাই চাল ছাঁটাইয়ে নীতিমালা চান সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মতে, একজন মানুষের দৈনিক ৮ পিপিএম জিংক দরকার। তাই কেবল চালের ওপর নির্ভর না করে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিজ্ঞানীদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন