বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পুলিশের সঙ্গে সরকার দলীয়দের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৬ এএম | আপডেট : ১১:৩৩ এএম, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সরকারদলীয় লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছে। নিহত আশিকুর রহমান (২৫) মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্ট শ্রমিক। সে মদনপুরের চাঁনপুর এলাকার শহীদুলের বাড়ীতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ও প্রচুর ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ১২ জানুয়ারী শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের দাবী, আশিকুর বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর রাত সাড়ে ৭টায় বাজার করতে গেলে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে প্রাণ হারায়।
বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় আমির হোসেন ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত ১৮ নভেম্বরও দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে।
১২ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নূর নবী ও রিফাত নামের দুইজন যুবককে পুলিশ আটক করে। তারা খলিল মেম্বারের অনুসারী। এ খবর স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়লে খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে ঘিরে ফেলে। তারা আটক দুইজনকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের উপর হামলা শুরু করে খলিল মেম্বারের লোকজন। এ সুযোগে আমির হোসেনের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৭টায় মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজনও পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ টিয়ার সেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।
সংঘর্ষে পুলিশের এস আই মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, মোহন সহ ৪জন আহত হয়। এছাড়া স্থানীয় অন্তত আরো ৪০ থেকে থেকে ৪৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বাবু নামের এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে রাত ৯টায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। আশিকুরের মারা যাবার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে মিডিয়া কর্মীদের জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন