বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লায় সরিষা আবাদে কৃষকের মুখে হাসি

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লায় মাঠে মাঠে ষোল উপজেলার এলাকাজুড়ে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। হলুদ ফুলে বর্ণিল হয়ে ওঠেছে জমিগুলো। চারদিকে সবুজের ফাঁকে হলুদের সমাহার। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আকৃষ্ট করছে মৌমাছিদের। সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। এবারে কুমিল্লা জেলায় আট হাজার তিনশো হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করে বেশ খুশিতে আছেন কৃষকরা।

ধান পাট ও চায়ের পর অর্থকরী ফসল হিসেবে সরিষার চাহিদা কোন অংশেই কম নয়। প্রতিবছরেই বাড়ছে সরিষা আবাদে আগ্রহী কৃষকের সংখ্যা। আমনের বাম্পার ফলন শেষে একই জমিতে সরিষার বাম্পার ফলনে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে কুমিল্লার সরিষা চাষীদের মুখে। কুমিল্লার মুরাদনগর, আদর্শ সদর, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং, ব্রাহ্মনপাড়া, বরুড়া, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা, তিতাস, চান্দিনা, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এবারের মৌসুমেও এসব উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ আলোয় জ্বলে উঠেছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে এবারে কুমিল্লা জেলায় ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমের মতো এবারেও মুরাদনগর উপজেলায় ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা ফলনে শীর্ষে রয়েছে। এর পরেই ফলনের দিক থেকে রয়েছে ৭২০ হেক্টর জমিতে হোমনা এবং ৬৩০ হেক্টর জমিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা।

কুমিল্লার বেশ কটি উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে দুলছে সরিষা আর সরিষা। কৃষকরা পরম পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সরিষার মাঠে। মাঘের মাঝামাঝি সময়ে ক্ষেত থেকে সরিষা সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। তারপর এসব সরিষা যাবে তেল তৈরির মিল-কারখানায়। কুমিল্লার মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার কৃষকরা জানান, কম পুঁজিতে সরিষা চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়। এসব এলাকার কৃষক রিপন মিয়া, আবদুস সালাম, ফরিদ মিয়া, রমজান আলী, নাসির মিয়াসহ অনেকে বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে সরিষা আবাদ করে আসছেন। সরিষা আবাদ করে তারা স্বাবলম্বি। আমন তোলার পর খালি মাঠে চলে সরিষা আবাদের কাজ। কৃষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, সরিষা আবাদের বিষয়ে চাষীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলতে পারলে তারা সেরা সরিষা বান্ধব চাষী হয়ে উঠবে। আর এখানকার সরিষা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারি জানান, আমন-বোরোর মাঝখানের সময়টি সরিষা আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী সময়। সরিষা অত্যন্ত লাভজনক পণ্য। আমরা সব সময় কৃষকদের চাষাবাদের ব্যাপারে সবধরণের সহযোগিতা পরামর্শ দিয়ে আসছি। সরিষা আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক অনেক কম লাগে। সরিষা চাষ করে কুষকরা শুধু তেলই তৈরি করে না। সরিষা ভাঙ্গিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভূষি তৈরী হয় যা ভালো গো-খাদ্য এবং ভালো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন