শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

গোপালগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত ১৪ জাতের ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বিনা ১৪ জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জাতটি উদ্ভবনের পর এ বছরই প্রথম গোপালগঞ্জে উপযোগিতা যাচাইয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়। প্রথম বছরেই এ জাতের ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতি হেক্টরে এ জাতের ধান ৭ টন উৎপাদিত হয়েছে। বিনা ১৪ ধানকে লেট বোরো বলা হয়। সরিষা, আলু, মসুর, সবজি ক্ষেত থেকে তোলার পর এ ধান আবাদ করা যায়। আবার ব্রিধান ২৯-এর সাথে কাটা যায়। ধানটি বালাই সহনশীল। ছত্রাক ও বালাইনাশক দিতে হয় না। জীবন কাল স্বল্প তাই সেচ কম লাগে। ধান উৎপাদনে খরচ কমে যায়। বিনা ১৪ ধানের চাল সরু। এ কারণে কৃষক এ ধান আবাদ করে লাভবান হবেন। বছরে একই জমিতে ৩ থেকে ৪টি ফসলের জন্য এ ধান উপযোগী। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুজ্জামান বিশ্বাসের জমিতে উৎপাদিত বিনা ১৪ জাতের ধানের মাঠ দিবস থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এ সব তথ্য জানিয়েছেন। গত সোমবার পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিনার গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বিনা ধান ১৪ জাতের উদ্ভাবক ড.মো. আবুল কালাম আজাদ, বিনার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএফএম ফিরোজ হাসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু, বিনা গোপালগঞ্জ উপ-কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শেফাউর রহমান, কৃষক মো. শফিকুজ্জামান বিশ্বাস সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। বিনা গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শেফাউর রহমান জানান, এ বছর গোপালগঞ্জে ১০ একর জমিতে বিনা ১৪ জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। প্রতিটি প্লটেই এ জাতীয় ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে। হেক্টর প্রতি বিনা ১৪ জাতের ধান ৭ টন উৎপাদিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামের কৃষক মো. শফিকুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, শীত মৌসুমের একটি ফসল ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করার পর বিনা ১৪ ধানের আবাদ করেছি। ড্রম সিডার দিয়ে ধান রোপণ করায় ৪ হাজার টাকা রোপণ খরচ বাঁচে। বালাইনাশক দিতে হয়নি। সেচ খরচ কমেছে। মাত্র ৯০ দিনের মাথায় ধান পেকে গেছে। আমার জমির পাশের জমিতে ব্রি ২৯ জাতের ধান আবাদ করা হয় ১৬০ দিন আগে। ২৯ ধানের সাথেই আমি বিনা ১৪ ধান কাটতে পারছি। এতে আমি লাভবান হয়েছি। আমার দেখা দেখি আগামীতে আমাদের এলাকায় এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। এ জাতের উদ্ভাবক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিনা ১৪ ধানের জীবনকাল ১১০ থেকে ১২০ দিন। কৃষক ক্ষেত থেকে সরিষা, আলু, মসুর, সবজি সংগ্রহ করার পর জমিতে স্বাভাবিকভাবেই লেট বোরো বিনা ১৪ ধান আবাদ করতে পারেন। ব্রিধান ২৮ ও ২৯ জাতের সাথেই এ ধান কাটা যায়। যেসব এলাকার কৃষক বছরে একই জমিতে ৩ থেকে ৪টি ফসল করতে চান তাদের জন্য বিনা ১৪ ধানের জাত উপযোগি। এ ধান বালাই সহনশীল। তাই ছত্রাক ও বালাইনাশক দিতে হয় না। সেচ কম লাগে। এ কারণে কৃষক লাভবান হন। বিনার গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি। কৃষির উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষকের আত্ম সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন বীজ উদ্ভাবন করছেন। আমরা কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ, সার ও প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। আমাদের কাছ থেকে কৃষক চাষাবাদের উন্নত প্রযুক্তি রপ্ত করে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
firoz ১১ মে, ২০১৬, ৪:২১ পিএম says : 0
এটা খুব উেদ্দাক আমার অনুেরাধ গেবষকেদর িনকট এই ধান আেরা ভাল উৎপাদন হেব মাদািরপুর েজলার কালিকিন থানাধীন িশকার মংগল এলাকায়। সরজিমেন িগয়া েদখার অনেরাধ রইেলা
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন