শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অবৈধ ইটভাটায় পুড়ছে ফসলি জমি

নড়াইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাহিরপাড়া গ্রামে ইট ভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার মন কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে বিপুল পরিমান ফলজ, ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ। লোকালয়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি বাহিরপাড়া গ্রামের ফসলি জমির বড় একটি অংশের উপর নির্মিত এই ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে পুরোদমে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, ‘নড়াইলে ডিসি স্যারের নিয়ন্ত্রনেই ইটভাটা গুলি পরিচালিত হয় এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় এ সংক্রান্ত লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। যেসব অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল জরিমানা করছেন। এছাড়া লোহাগড়ায় যতগুলি অবৈধ ইটভাটা আছে সবগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেণ বিশ্বাস বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে ইট ভাটা গড়ে ওঠায় বিপুল পরিমান কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। এসব ভাটায় ইট তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমির টপ সয়েল। ফলে একদিকে কৃষক হারাচ্ছে বড় অংশের কৃষি উপযোগি জমি অন্য দিকে ফসল উৎপাদনের লাখ্যমাত্র পুরণে ব্যর্থ হচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর।

সরেজমিনে উপজেলার বাহিরপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় লিমা ব্রিক্স নামের একটি ইট ভাটা বিপুল পরিমান ফসলি জমি নষ্ট করে ইট তৈরি করছে। দুইটি ব্যারেল চিমনি ব্যবহার করে হাজার হাজার মন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সেখানে। বেশ কয়েকটি ট্রাকটর দিয়ে কৃষি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) এনে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ওই এলাকার কৃষকরা বলেন, গত মৌসুমেও এই জমিতে আমরা ফসল উৎপাদন করেছি। এখন সেখানে তৈরি করা হয়েছে ইট ভাটা। এতে শুধু কৃষি চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ভাটায় ব্যবহৃত দুইটি টিনের চিমনি দিয়ে নির্গত ধোয়ায় কয়েকশ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
এসব বিষয়ে ইট ভাটার মালিক আইয়ুব হোসেন মোল্যার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন