সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় স্কোর গড়েও হেরেছে সিলেট সিক্সার্স। বিপিএলের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুঃসময়ের বলয় ছিঁড়ে ৫১ বলে ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। শেষ দিকে ঝড় তুললেন নিকোলাস পুরান, খেলেন অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস। সিলেট ২০ ওভারে তোলে ১৯৪ রান। তখনও পর্যন্ত যা এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় রান। পরের ইনিংসেই সেই রান পেরিয়ে যায় রংপুর। সিলেটের বাজে ক্যাচিং আর নিজেদের দারুণ রান তাড়া মিলিয়ে রংপুর জিতে যায় দুই বল বাকি রেখে।
এই তো এক ম্যাচ আগের কথা। শেষ ওভারে টানা চারটি বল ব্যাটে না লাগাতে পেরে ফরহাদ রেজা ছিলেন খলনায়ক। সপ্তাহ না ঘুরতেই সেই দুঃস্বপ্ন মাটি চাপা দিয়ে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হয়ে উঠলেন দলের দারুণ জয়ে শেষের নায়ক।
দ্বিতীয় বলেই শূণ্য রানে গেইলের বিদায়ে বিশাল রান তাড়ায় ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসে রংপুরকে যে পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন রাইলি রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স জয়ের তরীতে পালে হাওয়া দেয়ার কাজটি করলেন ৩৪ রানে, সেই পথ ধরেই ফরহাদ দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের ঠিকানায়। তার মাত্র ৬ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রানে ৩ বল হাতে রেখেই রংপুর নোঙ্গর ভেড়ায় কাক্সিক্ষত বন্দরে। এক চারে ৩ বল খেলা মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৫ রান নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট সিক্সার্স : ২০ ওভারে ১৯৪/৪ (লিটন ১১, সাব্বির ৮৫, আফিফ ১৯, ওয়ার্নার ১৯, পুরান ৪৭*, জাকের ৫*; নাজমুল ২-০-১৮-০, মাশরাফি ৪-০-৩১-২, শফিউল ৪-০-৪৩-১ ফরহাদ ৩-০-৩৫-০, নাহিদুল ২-০-১৬-০, গাজী ২-০-১৬-০, গেইল ৩-০-৩৪-০)।
রংপুর রাইডার্স : ১৯.৪ ওভারে ১৯৫/৬ (গেইল ০, হেলস ৩৩, রুশো ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৩৪, মিঠুন ১৪, নাহিদুল ১৯, মাশরাফি ৫*, ফরহাদ ১৮*; ইরফান ৪-০-৩৪-১, তাসকিন ৪-০-৪২-৪, লামিচানে ৪-০-২১-০, রানা ৪-০-৫৭-০, অলক ৩.৪-০-৩৪-১)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা : রাইলি রুশো (রংপুর)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন