শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুর্নীতি কালো ব্যাধির মতো ছেয়ে গেছে

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যদি দেশের উন্নয়ন চাই, তাহলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বার এবং মোট চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, মাদক এবং জঙ্গিবাদ উচ্ছেদ করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় দুর্নীতি একটি কালো ব্যাধির মত ছেঁয়ে গেছে। কারণ, যে দেশে সামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে তারা প্রথমে সমাজটাকে ধ্বংস করে দেয়। দুর্নীতিটাকেই তারা নীতি হিসেবে নেয় এবং দুর্নীতির সুযোগও সৃষ্টি করে দেয়। সারাদেশে বিভিন্ন কারণে অনেক মামলার জট রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং একই সাথে তাবলিগ জামায়াতের দু’গ্রুপের মধ্যে দ্ব›দ্ব দ্রুত নিরসনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ঋণ খেলাপি থেকে দুর্নীতিবাজ যাদেরকে আমরা দেখি তাদের সৃষ্টি হয় ’৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তাদের কাছ থেকে। এ সব কালো ব্যাধি থেকে সমাজকে মুক্ত করার লক্ষ্যেই তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে এটি এখন সময়ের প্রয়োজন এবং তার জন্য যা যা করণীয় তার সরকার করে করবে। তিনি বলেন, একটি দেশকে যদি আমরা উন্নত করতে যাই তাহলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি মরণব্যাধির মতো ছেয়ে আছে। সমাজকে এ ব্যাধিমুক্ত করতে হবে। মাদক কারবারিদের খুঁজে বের করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মকর্তাদের বেতন বাড়ানো হয়েছে, করা হয়েছে আবাসনের ব্যবস্থা। তাই কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যানজট নিরসনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ট্রাফিক সমস্যা এখন বড় সমস্যা। দুর্ঘটনার জন্য চালকের পাশাপাশি, পথচারী ও নাগরিকরাও দায়ী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মানুষ কেন অস্বাভাবিক আচরণ করে, তা বুঝি না। যানজট নিরসনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক নিরাপত্তা বজায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ রাখতে হবে। সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রাখতে পুলিশকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সহায়তা ছিল। এসময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংস্থা এবং দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সমাজে অপরাধ প্রবণতার হার কমিয়ে আনার জন্য অপরাধ দমনের পাশাপাশি তাদের অপরাধ সংগঠনের কারণ খুঁজে বের করা এবং তার প্রতিকারের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিলেই যে অপরাধ দমন হয়ে যাবে তা নয় বরং তাদের সমাজে সুস্থ জীবন দিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এসময় জলদস্যু এবং বনদস্যুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করানোর পর তাদের সমজে পুনর্বাসনেও তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, এদের পুনর্বাসন করা না গেলে তারা আবারো ওই পথে ফিরে যেতে পারে। তিনি দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কারা দেশে মাদক নিয়ে আসছে, কারা ব্যবসা করছে এবং কারা সেবন করছে এদের সকলের বিরুদ্ধেই বহুমুখি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মাদক সেবন করে শুধু তাকেই নয়, যারা মাদক আনে, দেয় বা সাপ্লাই দেয়, তৈরি করে এদেরকেও ধরতে হবে। সেইসাথে যারা সুস্থভাবে সমাজে ফিরতে চাইবে তারে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। মাদকাসক্তদের নিরাময়েরও উদ্যোগ নিতে হবে। শেখ হাসিনা এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন এবং মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি বিশাল মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে অতীতে এর পর্যাপ্ত লোকবল না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্যই তার সরকার এই মন্ত্রণালয়কে দুটি ভাগে ভাগ করে দিয়েছে। তার সরকার এখানে কোস্ট গার্ড গঠন করেছে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকেও প্রেরণ করেছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘ মিশনে আমাদের পুরুষ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি নারীরাও প্রশংসার সঙ্গে কাজ করছে, বলেন তিনি।
এ সময় দেশের কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলায় তার সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী কারা অভ্যন্তরে কয়েদিদের জন্য সৃজনশীল জীবিকা সংস্থানে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তারা যেন কিছু পুঁজি নিয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তী জীবনে তাদের যেন সেটা কাজে লাগে। সেজন্য কয়েদিদেরও নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (19)
Md Sumon Ahmad ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
এতে সাপোর্ট দিয়েছে মনে হয় ক্ষমতা সিন নেতারা ওদের ছায়ায় থেকেই দুর্নীতি করা সম্ভব
Total Reply(0)
শহিদুল আলম ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গিবাদ উচ্ছেদে আপনার জিরো টলারেন্স আমাদের দেশটিকে ধীরে ধীরে এইসব অভিশাপ থেকে মুক্ত করবে। এইসব অপকর্মের সাথে যেই জড়িত থাক না কেন, সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
Total Reply(0)
Shakib Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
দেশে বর্তমানে ৭০ লক্ষ মাদকসেবী রয়েছে। যাদের কালো থাবার কারনে ওদের জীবন ধবংশ হয়ে গেছে, তছনছ হয়ে গেছে তাদের কঠোর বিচার চাই। মাদকসেবীদের মাদক নিরাময় কেন্দ্র নিয়ে সুস্থ করে সমাজে পুনর্বাসন করা না গেলে তারা আবার ওই পথে ফিরে যেতে পারে।’ কিন্তু ইয়াবা গড ফাদারদের কোনভাবেই সুযোগ দেয়া উচিৎ হবে না। আত্ন-সমর্পণের সুযোগ দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা উপার্জনকারী ইয়াবা গড ফাদারদের বিচার না করলে এবং তাদের ফুল নেটওয়ার্ক ধ্বংস না করলে এই গড ফাদাররা আবার দুই বছর পর একই কাজে জড়িয়ে পড়বে
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
মাদকের ব্যবসা করে আপনার দলের লোকজন এবং আপনার বিশ্থত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের কি হল ? ২) শেয়ার বাজারের অর্থ কেলংকারির কি হল ? ৩) টনকে টন কয়লা চুরির কি হল ?
Total Reply(0)
Liton ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
আমাকে ফাটাকেষ্ট বানিয়ে দিন।সাধারণ চোর থেকে শুরু করে মিনিস্টার পর্যন্ত সবাইকে সোজা করে দেব। আগামী ইলেকশনে আপনার দলের পোষ্টারও লাগবে না জয় লাভ করতে।আসলে দুর্নিতিবাজরা কখনওই সরকারের অংশ হতে পারে না।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এখন ক্ষমতায় এসেছেন।েএখন কোন পিছু টান নেই। তাই শক্ত হাতে দুর্নীতি দমন করুন। আপনি হয়ে উঠোন আরেক মাহাথির।
Total Reply(0)
Sabbir Hossain ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
মন্ত্রী, এমপিদের হলফনামায় তাদের সম্পদের বিবরন দেখুন, এবং ১~৫ বছর পরের সম্পদ দেখুন। এটা বিগত দশ বছরের থেকে ও হিসাব করতে পারেন।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
আমাদের বাংলাদেশের গর্ব আমাদের বাংলাদেশের আজীবন প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনার কোনদিন দুর্নীতি করেন নি কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি তার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় আমি তাকে স্বাগত জানাই
Total Reply(0)
এস দেওয়ান ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 0
ঘুস ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না । এই ঘুস বন্ধের জন্য বিগত ১০ বছরে কী করলেন এবং আগামী ৫ বছরে কী করবেন দয়া করে তা জনগণ কে জানিয়ে দিন । এ ছাড়া সরকারি অফিসে ঘুস ছাড়া কোনো কাজ করানো যায় না । সাধারণ মানুষের সমস্যা এখানেই ।
Total Reply(0)
Mohammed ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০২ এএম says : 1
আপনার দুর্নীতি বিরোধী সংগ্রাম নিম্নুক্ত পর্যায় গুলো থেকে শুরু করতে পারেন : ১. নির্বাচন কমিশন ২.বিচার বিভাগ ৩.আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৪.জনপ্রশাসন তবে উপরে উল্লেখিত প্রতিষ্টান গুলোকে ব্যবহার করে চরম দুর্নীতি গ্রস্ত একটি নির্বাচনের মাধ্য দিয়ে সরকার প্রধান হয়ে এই কাজ টি কি আপনি করতে পারবেন?
Total Reply(0)
Moazzma H ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
প্রযুক্তির ব্যবহারই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইর প্রথম অস্র । বিলিং, ফর্ম-ফিলাপ, কর প্রদান, টেন্ডার সব জায়গা থেকে, হিউমান ইন্টারফেসটা সরিয়ে কম্পিউটার বসিয়ে দিতে হবে । একদিকে দুর্নীতিবাজরা ঘুষ চাওয়ার কাওকে খুঁজে পাবেনা, অন্যদিকে অফিসে যাওয়ার যাতায়াত, বসে থাকা থেকে সেবা গ্রহনকারীদের সময়ের সাশ্রয় হবে যানজট কমবে । আমেরিকাতে এইভাবেই তৃণমূল লেভেলে দুর্নীতি-মুক্ত করা হয়েছে । ইতিমধ্যে অর্জিত সাফল্য অন্যান্য ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করতে হবে ।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, সাধারণ মানুষ যারা তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যে দুর্নীতির শিকার হলো, সেই দুর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবেন?
Total Reply(0)
Tuhin ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 0
আপনাকে দিয়েই সম্ভব এতে কোন সন্দেহ নাই । তবে প্রায় প্রকল্প তেই ২ হাজার কোটি টাকা হঠাৎ করে ৪ হাজার হয়ে যায় , যেটার কোন যৌক্তিক ব্যখ্যা আমরা দেশবাসী পাই না । অবশ্যই এর পিছনে কোন অনিয়ম থাকতে পারে । আমাদের দেশের টাকার প্রতিটির সঠিক ব্যবহার আমরা চাই ।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৩ এএম says : 1
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যত দুর্নীতি হয়েছে আগে এর বিচার দিয়ে শূরু করুন, তাহলেই বুঝবো আপনারা আসলেই এ বিষয়ে আন্তরিক কি না । আমি মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি এবং ক্রেষ্টে ২ নম্বরীর কথা বলছি আর তা বুঝতে পারছেন আশা করি।
Total Reply(0)
তাসলিমা বেগম ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি আপনার একজন কট্টর সমালোচক। আপনার অনেক কিছুই আমার পছন্দ হয়না। কিন্তু কথা দিচ্ছি আপনি যদি সত্যিই আগামী ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রায় বন্ধ করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনাকে কুর্নিশ জানাতে আমি দ্বিতীয়বার ভাববো না। দুর্নীতি দমনে আপনার সাফল্য কামনা করি আর আপনার সাথেই আছি।
Total Reply(0)
Aminul ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে যথেষ্ট আন্তরিক। তাই বিনীত অনুরোধ করছি যে দুদকের মাধ্যমে সকল মন্ত্রী এমপি ও সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নিন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কাউকেই ছাড় দিবেন না। মনে রাখবেন যে কোন দুর্নীতিবাজই প্রয়োজনের সময় আপনার পাশে থাকবেনা। কারণ দুর্নীতিবাজ মাত্রই স্বার্থপর।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
এখানে প্রধানমন্ত্রী যেসব কথা বলেছেন সবই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই সত্য কথা বলেছেন এবং এসব সমস্যা সমাধান কিভাবে হবে তারউপরও তিনি ব্যাবস্থা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যখনই সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কোন কাজ করার নির্দেশ দেন সেটাই তখন আইন হয়ে যায় দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মান্যকরাই হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ। আর তাই সরকার প্রধানের (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশ পালন করতে গিয়ে কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব পরে সরকার প্রধানের উপর। কিন্তু আমি দেখে আসছি এযাবৎ আমাদের দেশের মন্ত্রীদের থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর কথাও সরকারি কর্মকর্তারা শুনে না তারা তাদের মনমত কাজ করে কিন্তু ফেসে যান মন্ত্রীরা সহ প্রধানমন্ত্রীও। তবে এবার নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই একটা কথা প্রধানমন্ত্রী বার বার বলে আসছিলেন যে, অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেনা। এই নির্দেশটা দেশের প্রধান রাষ্ট্রপতিও একই শুরু বলেছেন অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবেনা। আর আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনি প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ মান্য করায় আজ আমরা একটা সুস্থ সরকার পেয়েছি এবং তাদের ক্ষমতা নেয়ার সাথে সাথেই তাদের কর্মতৎপরতার উপর আস্তা জন্মাতে শুরু করেছে। আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসারপর জল দস্যু দের থেকে শুরু করে খুলনা বিভাগের সন্ত্রাসীদেরকে যেভাবে পুনর্বাসন করে সেসব এলাকার আধিবাসিদেরকে সরকার শান্তি দিতে সক্ষম হয়েছে সেই একই ভাবে আজ নেত্রী হাসিনা দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণাণালয় প্রদর্শনের সময় যে নির্দেশনা দিয়েছেন এটা যদি আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা অপশক্তিকে যেভাবে প্রতিহত করেছে সাথে সাথে পূর্বে জলদস্যু সহ সন্ত্রাসীদের যেভাবে পুনর্বাসিত করেছে সেই ভাবে যখন এই দুর্নীতিবাজ দেরকে প্রতিহত করে তাদেরকে পুনর্বাসিত করতে সক্ষম হবে তখনই আমাদের সমাজ কুলষ মুক্ত হবে ইনশ’আল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে আরও বলেছেন, সারাদেশে বিভিন্ন কারনে অনেক মামলার জট রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং একই সাথে তাবলীগ জামায়াতের দু’গুরুপের মধ্যে দন্দের দ্রুত নিরসনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। আমি ওনার এই নির্দেশ শুনে খুবই আনন্দিত হয়েছি কারন আমরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই আমরা মামলায় তারিখের পর তারিখ চাই না। সাথে সাথে ধর্ম নিয়ে আলেমদের খেলাও বন্ধ হোক এটাও আমরা চাই, ধর্ম নিয় আমি এর আগে কোন সরকার প্রধানকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখিনি কারন আমার মনে হয় তারা ধর্মকে ভয় পেত তাই ধর্ম থেকে তার দূরেই থেকেছে এবং একশ্রেনীর আলেমরা সেই সুযোগে তাদের মন মাফিক কাজ করে সাধারণদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে সক্ষম হতো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন ধার্মিক ব্যাক্তিত্ব এবং ধর্ম বুঝেন তাই তিনি দেশের সবচেয়ে বৃহত্তর ধর্মীয় সংস্থা তবলীগ নিয়ে কাজ করতে সাহস পেয়েছেন। আল্লাহ্‌ নেত্রী হাসিনাকে আরও দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ দান করে দেশকে সুন্দর ভাবে শাসন করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Nannu chowhan ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৩৫ এএম says : 1
Je deshe shorkar khomotai oposhin hoy durniti o vote jaliatir maddhome,shei deshe shorbo khtrei durniti hobe etai shavabik,shorkar jodi shot nishto jongoner voter maddhome khomotai ashe shekhane durniti domon durniti mokto korar kotha bolata shovonio...
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন