মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্বের নিরাপদ এয়ারলাইনসের তালিকায় বিমান বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ পিএম

আকাশপথে কোনো বিমান সংস্থা নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ সেই রেটিং প্রতি বছর করে থাকে এয়ারলাইন রেটিংস ডটকম। এ বছর যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দিক দিয়ে পাঁচ তারকা পেয়ে বিশ্বের সেফটি এয়ারলাইনস তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
তথ্যমতে, বিশ্বের ৪০৫টি বিমান সংস্থার তথ্য ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরাপদ এয়ারলাইনসের তালিকা তৈরি করেছে এয়ারলাইন রেটিংস। এক্ষেত্রে ১২টি পৃথক মানদন্ড ব্যবহার হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সরকারি, বিশ্ব এভিয়েশন গভর্নিং বডি ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনগুলোর অডিট। এছাড়া প্রতিটি এয়ারলাইনের উড়োজাহাজের বয়স ও লাভজনকের হারের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়া ও গুরুতর ঘটনার রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, এ স্বীকৃতি বিমানের জন্য বড় অর্জন। বিমান সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করে, এ স্বীকৃতি তারই বহিঃপ্রকাশ। বিমান সবসময় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এ জন্য বিমানে করপোরেট সেফটি কোয়ালিটি বিভাগ চালুর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী সেফটি মেজারমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আইয়াটা অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় তিন তারকা পেয়েছে বিমান। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কালো তালিকাভুক্ত না হওয়ায় পূর্ণ তারকা পেয়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী এ বিমান সংস্থা। গত ১০ বছরে দুর্ঘটনা এড়াতে পারায় ও কোনো আরোহীর মৃত্যু না হওয়ায় আরেকটি পূর্ণ তারকা পেয়েছে বিমান।
জানা গেছে, আইয়াটা অপারেশনাল সেফটি অডিটে টানা ছয়বার উত্তীর্ণ হয়েছে বিমান। নিয়মিত ফ্লাইট ডাটা মনিটরিং করে আকাশপথের ঝুঁকিগুলো সমধানে কাজ করে পাইলটদের সর্তক হতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, সারাবিশ্বে পাইলটদের কী কী ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয় সেসব তথ্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অন্য এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ডাটা পাওয়ার জন্য আইয়াটার সঙ্গে একটি চুক্তিও করা হয়েছে।
তবে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমোদন না থাকা ও আইকাওয়ের আটটি নিরাপত্তা প্যারামিটার সম্পন্ন না করায় দুটি তারকা পায়নি বিমান।
এফএএ অনুমোদন না থাকা ও আইকাওয়ের নিরাপত্তার প্যারামিটার সম্পন্ন না করা প্রসঙ্গে শাকিল মেরাজ বলেন, এ দুটি বিষয়ে এয়ারলাইনস হিসেবে বিমানের একার কিছু করার নেই। দেশের এভিয়েশন অথরিটি ও এয়ারলাইনসের যৌথ পদক্ষেপ থাকতে হয়। সিভিল এভিয়েশন অথরিটির সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে বিমান।
১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিমান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উপহার দেওয়া ডিসি-৩ উড়োজাহাজ দিয়ে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। বিমানের এয়ারলাইন কোড ‘বিজি’। এর উড়োজাহাজগুলো হলো কিউ-৪০০, ৭৩৭-৮০০ ও ৭৭৭-৩০০ইআর, ৭৮৭-৮।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন