দণ্ডের ব্যাপারটা কী আগেই টের পেয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো?
আগের রাতে নিজ দল জুভেন্টাস পয়েন্ট টেবিলের তলানীর দল কিয়েভোকে ৩-০ ব্যবধানে হারালেও গোলের দেখা পাননি পর্তুগিজ তারকা। পুরো ম্যাচে ছিলেন নিজের ছায়ার আড়ালে। ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেন পেনাল্টি মিসের মাধ্যমে। পরের দিন মাদ্রিদের কোর্টে কর ফাঁকির মামলায় কি আদেশ আসছে সেটা আঁচ করতে পেরেই কী খেলায় মনোযোগ দিতে পারেননি ‘সিআর-সেভেন’? যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে রোনালদোর শঙ্কাটাই সত্যি হয়েছে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে ২৩ মাসের জেল সঙ্গে ১৮.৮ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছেন স্প্যানিশ আদালত।
অবশ্য স্প্যানিশ কর কতৃপক্ষের সঙ্গে আগেই সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন রোনালদো। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে হাজিরা দেয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহনযোগ্য হয়নি। এরপর আদালত ভবনের ভেতর গাড়ি নিয়ে প্রবেশের আবেদন করেন বাইরে সংবাদমাধ্যমের চাপ এড়াতে। সেটাও গ্রহণ করেননি স্প্যানিশ আদালত। বান্ধবীর সঙ্গে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে তাই নিজ দণ্ডাদেশ শ্রবন করতে হয়েছে রোনালদোকে।
অবশ্য স্প্যানিশ আইনে দুই বছরের কম সাজা হলে এবং সাজাকারী অহিংস প্রকৃতির হলে জেলে থাকতে হয় না। এদিক দিয়ে রক্ষা রোনালদোর। তবে জরিমানার পুরো অর্থই তাকে পরিশোধ করতে হবে। বিচারকের দেওয়া রায় রোনালদো মেনে নেওয়ায় আদালতে তাকে মাত্র কয়েক মিনিট উপস্থিত থাকতে হয়। তার আইনজীবী জানান, রোনালদোর তারকাখ্যাতি থাকায় প্রধাণ প্রবেশদ্বার এড়ানো তার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন ছিল। রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়কালে স্প্যানিশ সরকারকে নিয়ম মেনে ট্যাক্স দেননি পাঁচ বারের বর্ষসেরা। এজন্য ২০১৭ সালে তার নামে মামলা হয়। প্রথম দিকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আস্বীকার করেন রোনালদো।
স্প্যানিশ কর আইনের জটিলতার ফাঁদে রোনালদো একা পড়েননি। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের নিয়ে এই তালিকা করলে সেটা দীর্ঘই হবে। রোনালদোর সঙ্গে একই দিনে একই দণ্ড হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের আরেক সাবেক খেলোয়াড় জাবি অ্যালোনসোরও। তবে সাবেক স্প্যানিশ ও বর্তমান বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডারকে জরিমানা করা হয়েছে ২ মিলিয়ন ইউরো।
একই মামলায় জেল ও জরিমানা হয়েছিল লিওনেল মেসিরও। কিন্তু ইমেজ স্বত্তে¡র কারণে শুধুমাত্র জরিমানার অর্থ দিয়েই পার পেয়েছিলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টিাইন তারকা। জরিমানা গুনতে হয় সাবেক বার্সা তারকা নেইমারকেও।
কর ফাঁকির মামলার সুরহা হলেও রোনালদোর ঘাড়ে এখনো ঝুলছে লাস ভেগাস আদালতে ধর্ষণ মামলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন