শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনতে গড়তে হবে বৃহত্তর ঐক্য- মীর্জা ফখরুল

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৩২ পিএম | আপডেট : ৩:০৫ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯

বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন , ৩০ ডিসেম্বর দেশে প্রকৃত পক্ষে কোন নির্বাচনই হয়নি, হয়েছে নির্বাচনের নামে প্রহসন । ওই নির্বাচন আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছি । এই নির্বাচনী প্রহসন প্রমাণ করেছে , ১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপি তথা ২০ দলের অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক । তিনি বলেন , আমার কাছে কারাবন্দী নেত্রীর নির্দেশনা এসেছে , নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে । সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে । ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট এবং এর বাইরে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে ,তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলতে হবে বৃহত্তর ঐক্য । এই মুহূর্তে দেশকে গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করায় হবে আগামী দিনে আমাদের মুল কাজ ।’
মীর্জা ফখরুল বুধবার বেলা ১টায় রংপুর ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার হোটেল মম ইন এর কনফারেন্স রুমে বগুড়া সদর বিএনপি আয়োজিত স্থানীয় নেতা কর্মিদের সাথে এক শুভেচ্ছা সভায় এই আহ্বান জানান। বগুড়া সদর থানা বিএনপি সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের পরিচালনায় আয়োজিত এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম । সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র এ্যাডঃ মাহবুবুর রহমান , সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জি এম সিরাজ .ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ।
শুভেচ্ছা সভায় মীর্জা ফখরুল বলেন, দেশে এখন এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে । দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ , মন খুলে কথা পর্যন্ত বলতে পারছেনা। নির্বাচনের আগে সারাদেশে দলের নেতা কর্মিদের ওপর যে দমন পীড়ন অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে , নির্বাচনের পরও তা’ অব্যাহত রয়েছে । এখন কোথাও কোথাও বিএনপি নেতা কর্মিদের দোকানপাটও দখল করা হচ্ছে । তিনি বলেন , নির্বাচনে তথাকথিত মহা বিজয়ের পর আওয়ামীলীগ বড়বড় কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ধর্ষিতা নারীকে দেখেতে গেলে হাসপাতালে এত মানুষ উপস্থিত হয় যে সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলনা। নোয়াখালী সহ যেখানেই গিয়েছি , সেখানেই নেমেছে জনতার ঢল। এবারের ভোটে অনেক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীও ভোট দিতে পারেনি। গণতন্ত্র ও ভোট প্রিয় ৯৯ শতাংশ মানুষই এখন আওয়ামীলীগের বিপক্ষে চলে গেছে ।
তিনি বলেন , গ্লোবাল পলিটিক্সে এখন গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে আমাদের নতুন করে পথ চলা ঠিক করতে হবে । শহীদ জিয়ার দেখানো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের দলকে জেলা , উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে হবে ।’
মীর্জা ফখরুল ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ফেরার পথে অনুষ্ঠিত এই সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫০ পিএম says : 0
এখানে আমি বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আল্মগীরের সাথে কিছু বিষয়ে একমত আবার তার মূল বিষয়ে দ্বিমত পোষন করছি। আমি জানি আমার দ্বিমতে বিএনপির কিছু আসে যায়না আবার সততার সাথে বিচার করলে অবশ্যই আমার কথার মূল্যায়ন করতে হবে এটাই হচ্ছে নিয়ম। দেশের বেশীর ভাগ বুদ্ধিজীবি ও দেশপ্রেমিকেরা চান দেশে একটা শক্তিশালী রাজনৈতিক দল স্বাধীনতার মন্ত্রে গড়ে উঠূক এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের একমাত্র দল আওয়ামী লীগের সাথে সঠিক ভাবে প্রতিদন্দিতা করুক যাতে করে আওয়ামী লীগ তাদের খেয়াল খুশিমত কোন কাজ করতে না পার। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে আমার মনে হয় বিএনপি চাইলে তারা তাদের নীতির কিছু পরিবর্তন করে আমাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) চাহিদামত একটা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিশালী দ্বিতীয় দল হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য ’৭৫ সালে পাকিস্তানের দোসরেরা ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই দেশে পাকিস্তানিদের মুখ উজ্জল করার জন্যে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে জন্ম নেয় বিএনপি। ’৭৮ সালে জিয়া মিয়া রাজাকারদেরকে নতুন ভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে শুরু করে তার আসোল ষড়যন্ত্র। জিয়া মিয়া প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধাদের মূল দাবী বাঙালি জাতীয়তাবাদ এটাকে করে ফেলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ শুরু হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এক মানষিক যুদ্ধ। জিয়া মিয়া পাকিস্তানের বড় দালাল গোআযমকে পাকিস্তানি নাগরিক হিসাবে ভিসা দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনেন তার পরামর্শ নিয়ে পাকিস্তানের নীতি ও উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্যে। কাজেই আমি বলতে চাই, আমাদের ফখরুল সাহেব শেষাংশে বলেছেন শহীদ জিয়ার দেখানো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির বিষয়টি মাথায় রেখে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আমি এই কথাগুলোকে প্রত্যাখ্যান করছি, যদি বিএনপি দেশের বিরোধী দল হতে চায় তাহলে তাঁকে এই নীতি ছাড়তে হবে। কারন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এটা পাকিস্তানিদের একটা এজেন্ডা মুক্তিযুদ্ধকে প্রত্যাখ্যান করার জন্যেই কায়দা করে বাঙালী জাতীকে বাংলাদেশী জাতীতে রূপায়িত করে মুক্তিযুদ্ধকে বিলীন করার একটা পায়তাড়া। দ্বিতীয় মন্ত্র বহুদলীয় গণতন্ত্র সেসময়ে জিয়া মিয়া পাকিস্তানিদের দল জামাতকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করার জন্যেই এই যুক্তি দিয়েছিল। আমাদের সবার মনে রাখা দরকার বাংলাদেশের জন্মের পর জাতীর জনক দয়া করে দেশদ্রোহীদেরকে বাংলা ভাষী হবার কারনে সাধারন ক্ষমা করেছিলেন কিন্তু একমাত্র গোআযমের নাগরিকত্ব বাতীল করেছিলেন সাথে সাথে জামাতী ইসলাম দলকে একেবারে নিষিধ্য ঘোষনা করেছিলেন। এরপর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করাও নিষেধ ঘোষনা করেছিলেন যা আইনে প্রণয়ন করা হয়েছিল। তারপরও জিয়া মিয়া কায়দা করে গোআযমকে পাকিস্তানি নাগরিক হিসাবে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দেয়। এরপর তার স্ত্রী খালেদা বিবি গোআযমকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে তার সন্তানদেরকে সামরিক বাহিনীর পদস্ত কর্মকর্তা বানান। একই সাথে জামাতকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নীতি আবিস্কার করেছিল এটাই সত্য। কাজেই আমাদেরকে গোআযম এবং তার পরিবার ও জামতের সাথে জড়িত লোকজনদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তাহলেই আমরা রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বাধীনতার উপর বিশ্বাসী হলাম এটাই সত্য। আর এটা করতে হলে আমাদেরকে জিয়া মিয়ার দেখানো পথ থেকে সড়ে আসতে হবে এটাই মহা সত্য। ’৭১ সালে আল্লাহ্‌ পাকিস্তানিদের সাথে সাথে দোসরদেরকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা অনুমতি দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। কাজেই আমি যদি মুসলমান হই তাহলে আল্লাহ্‌র অনুমোদনকেই মেনে নিয়ে আমাকে চলতে হবে। আর সেই জন্যে বর্তমানে নেত্রী হাসিনার দেয়া ঘোষনা অপশক্তিকে .... রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না সেটাকেই বাস্তবায়িত করতে হবে। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন