শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভেঙে যাওয়ার হুমকিতে ব্রিটিশ সরকার চিকিৎসাখাতে ঘাটতিতে পড়বে ব্রিটেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যেই ব্রেক্সিটের সব কাজ গুছিয়ে আনতে হবে। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ব্রিটেনের পক্ষ থেকে নতুন করে তথ্য তাদেরকে জানানো হয়নি। এদিকে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট যাতে না হয় সে ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন ব্রিটিশ এমপিরা। নো ডিল ব্রেক্সিট ঠেকাতে পার্লামেন্টে তোলা একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিতে বাধা দেয়া হলে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তেরেসার মন্ত্রিসভারই ৪০ মন্ত্রী। সবদিক থেকে এ মুহূর্তে ফের কোণঠাসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রিটিশ শ্রম ও ভাতামন্ত্রী অ্যাম্বার রুড মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্রিটিশ সরকার যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে। ব্রেক্সিটের পর নিশ্চিতভাবেই ব্রিটেনের ওপর বেশকিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা কাটিয়ে উঠতে বহুদিন সময় লাগতে পারে। তেমনিভাবে বেক্সিটের পর দেশটির চিকিৎসা খাতে এর বড় প্রভাব দেখা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। স্বাস্থ্যর্কর্মী ও ডাক্তার নিয়োগ ও ওষুধ সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়। বিশেষ করে ব্রিটেনের ওয়েলসের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন এবং কৃষি ও কলকারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে তা নিয়ে বেশ উদ্বেগ জানিয়েছে এ রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ পাবলিক হেলথ ওয়েলস (পিএইচব্লিউ)। সেই সঙ্গে অতি দরকারি এসব স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা ব্রেক্সিট চুক্তির ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখার জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখা নিয়ে গত নভেম্বরে জোটটির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। গত ১৫ জানুয়ারি মে’র সেই ব্রেক্সিট খসড়া পরিকল্পনা পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটে কোনো রকমে (মাত্র ১৯ ভোটে) টিকে যান তেরেসা। এতে ণ্টসম্পূর্ণ নতুন একটি ব্রেক্সিট পরিকল্পনা’ নিয়ে ইউরোপকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ আসে তার হাতে। ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের প্রশ্নে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটাভুটির প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটিশ লেবার পার্টি। সোমবার রাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা নতুন ব্রেক্সিট প্রস্তাব উত্থাপনের পর পার্লামেন্টে দেয়া বিকল্প প্রস্তাবে এ দাবি জানানো হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে আইনপ্রণেতাদেরকে দ্বিতীয় গণভোটের বিষয়টি বিবেচনা করতে বললো লেবার পার্টি। সোমবার (২১ জানুয়ারি) প্ল্যান বি নামের সংশোধিত সে প্রস্তাব উত্থাপন করেন তেরেসা মে। সংশোধিত এ প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে ২৯ জানুয়ারি। আর তার আগে সরকারের পরিকল্পনায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিতে পারবেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা। সে অনুযায়ী, সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতেই একটি সংশোধনী দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। আল-জাজিরা জানায়, সংশোধনীতে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিস্থিতি ঠেকাতে পার্লামেন্টে ভোটাভুটির জন্য সরকারকে বাধ্য করার প্রস্তাব দিয়েছে লেবার পার্টি। এছাড়া ব্রেক্সিট প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করা হবে কি হবে না সে প্রশ্নে ভোটাভুটি এবং ইইউয়ের সঙ্গে একটি স্থায়ী শুল্ক সংঘ বজায় রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সোমবার পার্লামেন্টে সংশোধনী উপস্থাপন করে করবিন বলেছেন, ‹আমাদের সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে আইনপ্রণেতারা ব্রেক্সিট নিয়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থার নিরসনে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন এবং চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝামেলা প্রতিহত করতে পারবেন। লেবার পার্টির বিকল্প এ সংশোধনীকে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বিবেচনা করার এখনই সময়। এর মধ্য দিয়ে গণভোটসহ সব বিষয়ই আলোচনার টেবিলে থাকবে। বিবিসি, গার্ডিয়ান, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন