সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। বুধবার এ দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে তারা এ আলোচনা করেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। বুধবার সকালে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অঞ্চলটির পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। ইদলিবের অধিকাংশই নুসরা ফ্রন্টের নিয়ন্ত্রণে। মস্কো ও আঙ্কারা সেখানে একটি যুদ্ধাবস্থামুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইদলিবে তারা কিছু পদক্ষেপ নিতে চান। তবে কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। এরদোগানকে পাশে রেখে পুতিন বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এখানে বহু সমস্যা আছে। যেগুলো আমরা দেখতে পেয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তুর্কি অনেক চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আঙ্কারা ও মস্কোকে আরও বেশি উদ্যোগ নিতে হবে। সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নিজেদের ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন পুতিন। তবে কবে কখন এ সম্মেলন হবে তা নিশ্চিত করেননি। অপরদিকে, সিরিয়ার ওপর ‘স্বেচ্ছাচারী’ হামলা বন্ধ করতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ইহুদিবাদী সেনারা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বেশ কিছু অবস্থানে নতুন করে হামলা চালানোর পর মস্কো তেল আবিবের প্রতি এই আহ্বান জানাল। ইহুদিবাদী ইসরাইল বহুদিন ধরে সিরিয়ার সরকারি অবস্থানে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। তেল আবিব দাবি করছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশটিতে সক্রিয় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে দমন করার জন্য সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে ইরান। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার মস্কোয় বলেন, “স্বাধীন দেশ সিরিয়ার ওপর স্বেচ্ছাচারী হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।” তিনি বলেন, এ ধরনের হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাই কেবল বাড়বে। রয়টার্স, পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন