আওয়ামী লীগ দেশকে নিলামে তুলেছে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব) ড. অলি আহমেদ (বীর বিক্রম। তিনি বলেন, বিএনপিকে গালি না দিলে আওয়ামী লীগের রাতের ঘুম হয় না। এই আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেনি। ওরা এখন রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেন না। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করায় দেশ নিলামে উঠেছে। একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে এটা কোথা থেকে এলো? এগুলো প্রধানমন্ত্রীর দেখা উচিত। ওই নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন, যারা হাজার হাজার কোটি টাকার পাহাড় গড়েছেন তারা এই অর্থ কোথায় পেলেন এর হিসাব নেওয়া উচিত।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লেবার পার্টি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কবর রচনা করছে।
লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এনডিপির চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের প্রমূখ।
খালেদা জিয়া এক টাকাও দুর্নীতি করেননি দাবী করে অলি আহমেদ বলেন, দুর্নীতিকারী এবং দ-প্রাপ্তরা মুক্তি পাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটকারীদের বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্্রীয় কোষাগারের টাকা লুট হয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। অথচ যিনি এক টাকাও দুর্নীতি করেননি সেই খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা হয়েছে। যে টাকার দুর্নীতির দায়ে তাকে জেলে রাখা হয়েছে তা তিনি দেখেনওনি। ওই টাকা ব্যাংকে দ্বিগুন হয়েছে। আসলে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না, শাস্তি দেওয়া হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তির মূল নেতৃত্বকে। কারণ জাতীয়তাবাদী শক্তি ধ্বংস হলে বর্তমান সরকার যা মনে চায় তাই করতে পারবে।
সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অব) অলি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে এ রকম অত্যাচার পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরাও করেনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, অংশগ্রহণমূলক হবে, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এ ধরনের ডাকাতি হবে এটা জানলে আমরা নির্বাচনে যেতাম না। অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ আওয়ামী লীগের কবর রচনা করছে মন্তব্য করে কর্নেল অলি বলেন, ৩০ তারিখের নির্বাচনে আওয়াামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করেছে আর আসল ভোট ডাকাতি করিয়েছে প্রশাসনকে দিয়ে।
আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যেক দিন বিএনপির নামে গালিগালাজ না করলে মনে হয় তাদের রাতে ঘুম হয় না। এটা তো রাজনৈতিক কথাবার্তা না। আপনারা কী করবেন সেটা ভাবেন। কারণ দেশ নিলামে উঠেছে। একাদশ নির্বাচনে সরকারি দল যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে সে টাকা কোথা থেকে এলো মানুষ জানতে চায়। আওয়ামী লীগের ওপর রাতের আধারে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ কখনও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেনি। তারা কোনও না কোনও সমস্যা বাঁধিয়ে সরকার গঠন করেছে। এ জন্য চরশ পরিণত ভোগ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন