উত্তর : ইমামতি বা নামাজ জায়েজ হওয়ার জন্য হাঁটু থেকে নাভি পর্যন্ত ঢেকে থাকে, এমন কিছু পরলেই হয়। শোভনীয়ভাবে নামাজ আদায় করতে চাইলে গোটা দেহ, দুই হাত ও মাথা ইত্যাদি সবই জামা, পাঞ্জাবি, পায়জামা, লুঙ্গি ও টুপিতে আবৃত করতে হবে। ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার পথে কাবলি পাঞ্জাবি কোনো বাধা নয়। তবে মসজিদের ইমামের জন্য কেবল বৈধতার সীমারেখা বরাবর চলাই যথেষ্ট নয়। তার জন্য ধর্মীয় উন্নত রুচিবোধ ও শোভনীয় আচরণবিধি মেনে চলারও প্রয়োজন রয়েছে। যা সাধারণ মুসল্লিদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। এ ধর্মীয় মর্যাদাসম্পন্ন পদবির বৈশিষ্ট্য ও গুরুত্ব বিবেচনায় যদি কোনো বিজ্ঞ আলেম, সামাজিক ভাবগাম্ভীর্যহীন (অথচ অবৈধ নয়) কোনো পোশাক ইমাম সাহেবের জন্য অশোভনীয় মনে করেন, তবে তা অন্যায় হবে না, এটাও শরিয়তেরই অন্যতম বিবেচ্য দিক। ইসলামে মুসলিম জনসমাজের আচরিত প্রতিটি সুন্দর রীতি-পদ্ধতিরই বিধিগত মর্যাদা রয়েছে। ‘বৈধ বা অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে সবকিছু নির্দ্বিধায় সমাজে চালানো যায় না। উদাহরণস্বরূপ, ধূমপান করা শরিয়তে অবৈধ নয়। মুসলিম সমাজে এর প্রচলনও অত্যধিক। তাই বলে মসজিদের ইমাম বা প্রখ্যাত আলেমগণের ধূমপান করা কি আমাদের সমাজ ভালো চোখে দেখবে? এ ধরনের আরো অনেক বিষয় আছে, চিন্তা করে দেখলেই মূল ব্যাপারটি বুঝে আসবে।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন