বাংলাদেশের খাবার বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে; যেখানে ৫০ জন বিদেশী বায়ার অংশ নেবেন। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ‘ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটি বাংলাদেশ এক্সপো’ নামের তিন দিনের এই প্রদর্শনী।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) র্যাডিসন হোটেলে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের খাবার এবং পর্যটন খাতকে দেশী-বিদেশী পর্যটক ও জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। প্রদর্শনী শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এর আয়োজন করছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি অ্যাসোসিয়েশন (বিহা) এবং ওয়েম বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্রদর্শনীতে ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটির বিভিন্ন সেক্টরের সাত দেশের ৭০ জন এক্সিবিউটর, ১৫০টি ব্র্যান্ড,২০০ জন ইন্টারন্যাশনাল ডেলিগেট এবং ৫০ জন হোস্টেড বায়ার অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালয়েশিয়া,মেসিডোনিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ইতালি এবং স্পেনের এক্সিবিউটর ও বায়াররা প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ জামান খান বলেন, গোটা বিশ্বেই বাংলাদেশি খাবার খুব জনপ্রিয়। কিন্ত ইউকে, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এ খাবারগুলো বাংলাদেশী রেসিপি ও শেফরা রান্না করলেও পরিচিত হচ্ছে ইন্ডিয়ান খাবার হিসেবে।
আমাদের এখন সময় এসেছে নিজের দেশের খাবারকে বহিঃবিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার। পর্যটন শিল্পকেও ভিন্ন মাত্রা দিতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের জন্য ‘টিন শেফ কমপিটিশন’ এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কাপলদের ‘ট্যুরিজম কাপল আড্ডা’র আয়োজন থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিহার সভাপতি এবং চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদের প্রধান নিবার্হী এইচ এম হাকিম আলী বলেন, আপনি যেখানেই বেড়াতে যান না কেন, খাবার ও থাকার বা ঘুমাবার জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশের মাটিতে গিয়েও আমরা দেশীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট খুঁজি; আর থাকার জন্য খুঁজি একটি ভালো জায়গা। এই দুটি বিষয় নিয়েই তাই আমাদের এই আয়োজন। এছাড়াও বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি এবং এফবিসিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন