শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়

টিআইবির আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সূচক-২০১৮ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:৫৯ এএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯

বিশ্বের ১৮০ দেশের মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় এবং এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১ দেশের মধ্যে চতুর্থ। গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতিতে বাংলাদেশের চার ধাপ অবনতির এই তথ্য প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) এক বছরে (২০১৫ সাল) বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচারের খবর প্রকাশের একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি এই তথ্য প্রকাশ করে।
টিআইবির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ১৩তম দেশের অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের দুর্নীতি সূচকে স্কোর ২৬। ২০১৮ সালে প্রকাশিত তালিকায় ২৮ স্কোর নিয়ে অবস্থান ছিল ১৭তম। ২০১৬ সালে অবস্থান ছিল ১৫তম। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় এবার এক নম্বরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। দ্বিতীয় সিরিয়া, তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যৌথভাবে দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া ও সুদান। ৮৮ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। বিশ্বের ১৮০টি দেশে দুর্নীতি নিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
জার্মানির বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইয়ের প্রকাশ করা দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৮ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবি’র উপদেষ্টা নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান এবং আউটরিট অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মন্জুর-ই-আলম।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতির সূচকে এক নম্বর দেশ আফগানিস্তান। ১৬ স্কোর পেয়ে দেশটির অবস্থান ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী ১৭২তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ২৬ স্কোর নিয়ে যার অবস্থান ১৪৯তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ ভূটান। ৬৮ স্কোর নিয়ে ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী দেশটির অবস্থান ২৫ নম্বরে। এরপর ৪১ স্কোর নিয়ে ভারত ৭৮, ৩৮ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা ৮৯, ৩৩ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান ১১৭তম, ৩১ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে নেপাল ও মালদ্বীপ ১২৪তম অবস্থানে। টিআইবি’র কাছে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, কীভাবে এবং কী কী কারণে দুর্নীতি বেড়েছে তা দেখতে চাই। ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না দিলে সেই রিপোর্ট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। উই ওয়ান্ট টু স্পেসিফিকেশন। মুখের কথায় নম্বর করা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালে ০-১০০ স্কেলে ২৬ স্কোর পেয়ে ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। যা ২০১৭ এর তুলনায় ৪ ধাপ নিম্নে এবং ঊর্দ্ধক্রম অনুযায়ী ১৪৯তম; যা ২০১৭ এর তুলনায় ৬ ধাপ অবনতি। এছাড়া ২০১৭ সালের তুলনায় বাংলাদেশের স্কোর ২ পয়েন্ট কমেছে, যা বিব্রতকর। একবছরেই দুই পয়েন্ট স্কোর কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। সূচকে অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। আর এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১ দেশের মধ্যে অবস্থান চতুর্থ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের সিপিআই অনুযায়ী ৮৮ স্কোর পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ডেনমার্ক। ৮৭ স্কোর পেয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং ৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে চারটি দেশ ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে সর্বনিম্ন ১০ স্কোর পেয়ে ২০১৮ সালে তালিকার সর্বনিম্নে অবস্থান করছে সোমালিয়া। ১৩ স্কোর নিয়ে তালিকার সর্বনিম্নের দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদান। ১৪ স্কোর পেয়ে তালিকার সর্বনিম্নের তৃতীয় দেশ হিসেবে রয়েছে যথাক্রমে ইয়েমেন ও উত্তর কোরিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক দুর্নীতি পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৮ সালের সিপিআই অনুযায়ী বৈশি^ক দুর্নীতি পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। সূচকে অন্তর্ভুক্ত ১৮০ দেশের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের অধিক দেশই ৫০ এর কম স্কোর পেয়েছে। এবারের সিপিআই অনুযায়ী ৬৮ স্কোর এবং ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে ২৫তম অবস্থান নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ভুটান। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ভারত, যার স্কোর ৪১ এবং অবস্থান ৭৮। এরপরে শ্রীলঙ্কা ৩৮ স্কোর পেয়ে ৮৯তম অবস্থানে রয়েছে। ৩৩ স্কোর পেয়ে ১১৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান এবং ৩১ স্কোর পেয়ে ১২৪তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে মালদ্বীপ। অন্যদিকে, ৩১ স্কোর পেয়ে ১২৪তম অবস্থানে রয়েছে নেপাল। এরপর ২৬ স্কোর নিয়ে ১৪৯তম অবস্থানে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের পরে ১৬ স্কোর পেয়ে ১৭২তম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ নিম্নক্রম অনুসারে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সিপিআই সূচক অনুয়ায়ী ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ষষ্ঠবারের মতো এবারও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
নির্ণয়ন পদ্ধতির ক্রমবর্ধমান উৎকর্ষতা ও সূচকের সহজীকরণের জন্য টিআই ২০১২ সাল থেকে নতুন স্কেল ব্যবহার শুরু করে। ১৯৯৫ সাল থেকে ব্যবহৃত ০-১০ এর স্কেলের পরিবর্তে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ২০১২ সাল থেকে ০-১০০ এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতি অনুসারে স্কেলের ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়। যে দেশগুলো সূচকে অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের সম্পর্কে এই সূচকে কোনো মন্তব্য করা হয় না। সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশই এখন পর্যন্ত সিপিআই-এ শতভাগ স্কোর পায়নি। দুর্নীতির ব্যাপকতা সর্বনিম্ন- এমন দেশগুলোতেও কম মাত্রায় হলেও দুর্নীতি বিরাজ করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের মত আমরা সর্বনিম্ন অবস্থানে না থাকলেও বাংলাদেশ আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের অবস্থান এখনও অত্যন্ত দুর্বল এবং বৈশি^ক গড়ের তুলনায় অত্যন্ত নিচে। অথচ বাংলাদেশের ফলাফল আরো অনেক ভালো হতে পারতো। যে কারণে বাংলাদেশের ফলাফল ভালো হয়নি তার অন্যতম হচ্ছে আমাদের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার বা রাজনৈতিক ঘোষণা থাকলেও তার বাস্তব প্রয়োগ হয় না। উচ্চ পর্যায়ে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে খুব কম ক্ষেত্রেই তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়। প্রশাসন ও রাজনীতিতে স্বার্থের দ্ব›দ্ব ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। এছাড়া ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক খাতে দুর্নীতির বিচারহীনতা, সারাদেশে ভূমি, নদী, খাল দখলের প্রবণতা, রাষ্ট্রীয় ক্রয় খাতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, ক্রমবর্ধমান এবং বিব্রতকরভাবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অর্থ পাচার এবং রাষ্ট্রীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক প্রভাব ভালো স্কোর না হওয়ায় প্রভাব রেখেছে।
রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও প্রয়োগ ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় মন্তব্য করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা দিয়েছেন; তবে এই ঘোষণার কার্যকর ব্যবহার, প্রয়োগ এবং কারো প্রতি ভয় বা করুণা প্রদর্শন না করে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কৌশল প্রণয়ন অপরিহার্য। বহুমুখী ও সময়াবদ্ধ এমন একটি কৌশল স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে পরীবিক্ষণসহ বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ অবশ্যই দুর্নীতি কমে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, সিপিআই সম্পর্কে যথাযথ ধারণার অভাবে অনেক সময় ‘বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত বা বাংলাদেশের অধিবাসীরা সবাই দুর্নীতি করে’ এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। যদিও দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণ- সর্বোপরি, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে কঠিনতম অন্তরায়। তথাপি বাস্তবে দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সিপিআই নির্ণয়ে টিআইবি কোনো ভূমিকা পালন করে না। এমনকি টিআইবি’র গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্য বা বিশ্লেষণ সিপিআই-এ প্রেরণ করা হয় না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের টিআই চ্যাপ্টারের মতোই টিআইবিও দুর্নীতির ধারণা সূচক দেশীয় পর্যায়ে প্রকাশ করে থাকে। সিপিআই ২০১৮ এর জন্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র হিসেবে ৮টি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে। জরিপগুলো হলো: বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট ২০১৭, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে ২০১৮, গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস্ ২০১৭, বার্টেলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স ২০১৭-১৮, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট রুল অব ল ইনডেক্স ২০১৭-১৮, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি রিস্ক গাইড ২০১৮, ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস ২০১৮ এবং ভ্যারাইটিস অফ ডেমোক্র্যাসি প্রজেক্ট ডেটাসেট ২০১৮ এর রিপোর্ট।
দুই বছরব্যাপী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত সর্বনিম্ন ৩টি ও সর্বোচ্চ ১৩টি (অঞ্চল ও দেশভেদে জরিপের লভ্যতার উপর নির্ভর করে) জরিপের সমন্বিত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ২০১৮ সালের এই সিপিআই প্রণীত হয়েছে। জরিপগুলোতে মূলত ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট খাতের গবেষক ও বিশ্লেষকবৃন্দের ধারণার প্রতিফলন ঘটে থাকে। সিপিআই অনুযায়ী দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে ব্যক্তিগত সুবিধা বা লাভের জন্য ‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার’। আর যে সকল জরিপের তথ্যের ওপর নির্ভর করে সূচকটি নিরূপিত হয় তার মাধ্যমে সরকারি ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাপকতার ধারণারই অনুসন্ধান করা হয়। সূচকের তথ্য সংগ্রহে মূলত চারটি ধাপ অনুসৃত হয়। সেগুলো- উপাত্তের উৎস নির্বাচন, পুনঃপরিমাপ, পুনঃপরিমাপকৃত উপাত্তের সমন্বয় এবং পরিমাপের যথার্থতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ। সিপিআই নির্ণয়কালে জরিপের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সর্বোচ্চ মান এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৯, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালের সিপিআই-এও নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৩তম অবস্থানে ছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Abdul Moin ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:০৭ এএম says : 0
দুর্নীতির সূচকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে বাংলাদেশ! উন্নয়নের জোয়ারে দুর্নীতিরও উন্নয়ন হয়েছে! অল্পের জন্য বিশ্বসেরা হতে পারলো না! আগামী বছর এক নাম্বার হবে!
Total Reply(0)
Abdul Jalil ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:১৯ এএম says : 0
দুর্নীতিতে এমন অবনতির পরেও বাংলাদেশে দুদক থাকাটা জাতীর জন্য লজ্জাকর।
Total Reply(0)
Ziared Rahman ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:২০ এএম says : 0
আগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে তার পরে দুর্নীতি বা ঘুসখোরদের সাথে সাথে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে, কম করে হলেও লাখ খানেক মানুষের চাকরি থেকে বিদায় দিতে হবে, এই ভাবে চলতে হবে দীর্ঘ দিন তার পরে আবার বেবস্থা নিতে হবে পরিস্থিতি দেখে, খুব শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে।
Total Reply(0)
MD Neloy ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯, ৩:৪৪ এএম says : 0
জবাব দিতে হবে আল্লাার কছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন