বর্নবাদী আচরণের দ্বায়ে আইসিসি কর্তৃক চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়া অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পিসিবির এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক তারকা ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম।
আকরাম বলেন, ডারবানে তৃতীয় ওয়ানডেতে সরফরাজ যে মন্তব্য করেছেন, তা না করলেও পারতেন। তবে পাকিস্তান দলে তার ভবিষ্যত বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা করাটা ভুল। সাবেক এ পেস গ্রেট বলেন,‘যেহেতু ৬ ফেব্রæয়ারি টি-২০ সিরিজের ফাইনাল খেলতে পারবে তাই সরফরাজকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ডেকে আনার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল।’ ‘সরফরাজ ভুল করেছে। তবে এটাও সত্যি যে বিশ্বের অন্য কারো চেয়ে পাকিস্তানীরা কোন মন্তব্য করলে সেটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয় এবং একটা ইস্যু তৈরি করা হয়।’
পিসিবির ক্রিকেট কমিটিতে থাকা সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘সরফরাজকে সমর্থন করার একমাত্র কারণ হচ্ছে সে (সরফরাজ) একজন যোদ্ধা এবং সাহসিকতার সঙ্গে তিন ফর্মেটেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
সর্বকালের সেরা পেসারদের অন্যতম আকরাম যোগ করেন, ‘সে এখনো শিখছে এবং দিনকে দিন সে আরো বেশি পরিপক্ক হবে, অধিকতর অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।’
এদিকে এক টুইটার পোস্টে সরফরাজ সহজে পার পেয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক পেসার শোয়েব আখতার, ‘একজন পাকিস্তানি হিসেবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার কাছে মনে হয় সেই সময়ের উত্তেজনায় সে এই কাজ করেছে। আমার মনে হয় সবার সামনে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
তবে শোয়েব আখতারের এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বলেই মনে করছেন সরফরাজ, ‘ তিনি (শোয়েব আখতার) আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সেটিকে সমালোচনা বলা যায় না। আমি আমার ভুল স্বীকার করেছি এবং শাস্তি গ্রহণ করেছি। আমি পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তারা ঠিকভাবে বিষয়টিকে মোকাবিলা করেছে।’ সরফরাজ বলেন, ‘আমি এতে তেমন কোনো সমস্যা দেখি না। আমি গত পাঁচ মাস ধরে ক্রিকেট খেলছি। এখন কিছুদিন বিশ্রাম নেব এবং তারপর পাকিস্তান সুপার লিগ খেলব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে প্রোটিয়া খেলোয়াড় আন্দিল ফেলুকুয়াওকে ‘কালো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন সরফরাজ। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের কাছে ক্ষমা চান তিনি। এমনকি ফেলুকুয়াওর সঙ্গে দেখা করেও ক্ষমা চেয়েছিলেন সরফরাজ। তথাপি আইসিসি সরফরাজকে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ করায় হতাশা প্রকাশ করেছে পিসিবি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন