বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টিআইবির ট্রান্সপারেন্সি নেই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

‘বিশ্বে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম’ টিআইবি’র এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংস্থাটির কাজের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই প্রতিবেদনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণাসূচকে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৬ ধাপ অবনমন ঘটেছে। সূচকের ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী (ভালো থেকে খারাপ) বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯ নম্বরে। কোন পদ্ধতিতে টিআইবি এই ধারণাসূচক তৈরি করেছে তা তারা সুনির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট করেনি জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবি’র দুর্নীতির সূচক নিরূপণের মেথডোলজি কিছু তথাকথিত বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ীর মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের বিভিন্ন জায়গায় কিছু কমিটি আছে নানা নামে, সেই সমিতি বা কমিটির মাধ্যমে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা। তাদের মেথডোলজিটাই ক্রটিপূর্ণ। তারা যে পদ্ধতি ব্যবহার করে তা স্বচ্ছ নয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির সূচক তৈরির পদ্ধতিতে মধ্যেই ট্রান্সপারেন্সি নেই। এটা করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশ, দেশের জনগণ এবং সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে মাত্র।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অভিযোগ উত্থাপন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নির্বাচন নিয়ে যে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে সেটার সঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের ৮০ শতাংশ মিল। তাদের বক্তব্য দেখে মনে হয়েছে, বিএনপির হয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। দুদকও প্রশ্ন তুলেছে তারা প্রতিবেদন চেয়েছে। কোন পদ্ধতিতে প্রতিবেদন করেছে সেটা দুদক চেয়েছে। আশা করি টিআইবি ব্যাখ্যা দেবে।
টিআইবিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দুদককে জানান এবং সরকারের কাছে উপস্থাপন করুন, সরকার যথাপোযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দয়া করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এবং বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন না। আপনাদের কাজের পদ্ধতির মধ্যে যে ট্রান্সপারেন্সির অভাব আছে সেটা দূর করুন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ক্রটিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদ্ধতি এবং কিছু মানুষের মনগড়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি সমীচীন নয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজেই কালো টাকা সাদা করেছেন, তার অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছেন, তার দুই পুত্রের দুর্নীতি বিদেশে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশে এসে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। সেগুলো প্রমাণিত। এখন কোন কারণের ভিত্তিতে, কোন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে টিআইবির এই প্রতিবেদন তা বোধগম্য নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:৫৫ এএম says : 0
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সঠিক কথা বলেছেন এখানে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন শুধুমাত্র একটা পক্ষের ভিত্তিতেই করা। আমি কয়েক বছর আগে টিআইবির হেড অফিসের প্রধান যখন ঢাকা সফর করছিলেন তখনই আমি ওনার উপস্থিত কালিন সময়ে বলে আসছিলাম আপনাদের ঢাকা অফিসের সবাই পাকিস্তানীদের ভাবধারায় প্রভাবিত কারন এই সংস্থার জন্ম দিয়েছিল পাকিস্তানীদের দোসরেরা। তখন পাকিস্তানীদের দোসরদের ক্ষমতায় থাকার কারনে পাকিস্তানীদের লোকজনই সংস্থার কর্ণধার হয়েছিলেন। সেইজন্যেই আমি সংস্থার বিদেশী অংশীদারদের উদ্দেশ্য করেই বলেছিলাম আপনাদের সংস্থায় দুইধারার লোক নিয়োগ প্রয়োজন এবং আপনারা যখন মতামত সংগ্রহ করেন তখন দুই শিবির থেকেই মতা মত নিয়ে তারপর প্রতিবেদন তৈয়ার করেন সেটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে। কাজেই সেই প্রবাদ মনে পড়ে ‘চোরা শুনেনা ধর্মের কাহিনি’।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন