মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বুথিডং টাউনশিপে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। গ্রামবাসীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি খবর দিয়েছে, গুলি করতে করতে ২০০ সেনাসদস্য বুথিডংয়ে প্রবেশ করে। আরাকান আর্মির হামলার জবাব দিতেই সেনাবাহিনী তাদের গ্রামে প্রবেশ করে। ওই সশস্ত্র সংগঠনের দাবি, সেনাবাহিনী গ্রামের কাছে ৭০টি শেলিং করেছে। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় আরাকান আর্মির সাংগঠনিক উদ্যোগ। নিজেদের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সামনে আনতে চায় রাখাইন নৃগোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন। কারও ধারণা, এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা তিন হাজার। কেউ আবার মনে করেন, ৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের। ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের ফাঁড়িতে হামলা চালায় আরাকান আর্মির সদস্যরা। হামলায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত ও অপর ৯জন আহত হয়। এরপর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বিবৃতিতে সশস্ত্র ওই গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। জোরালো হয় সেনা-আরাকান আর্মি সংঘাত। ইরাবতির খবর থেকে জানা গেছে, রাখাইনের গ্রামগুলো ক্রমশ আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। চলমান সংঘর্ষে নতুন করে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষের জন্য কোনও অস্থায়ী শিবিরেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। ত্রাণ সরবরাহের কাজে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে খুব সীমিত সংখ্যক আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাকে। তার ওপর চলছে ধরপাকড়। একজন ভিক্ষু ও স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, গত সোমবার রাখাইনের রথেডং টাউনশিপ থেকে দুইজন শিক্ষকসহ চার জনকে আটক করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় আরাকান আর্মির সাংগঠনিক উদ্যোগ। নিজেদের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সামনে আনতে চায় রাখাইন নৃগোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন। কারও ধারণা, এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা তিন হাজার। কেউ আবার মনে করেন, ৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের। ইরাবতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন