জিকির করা আল্লাহর নির্দেশ। নিয়মিত জিকির ছাড়া পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যায় না। জিকিরের দ্বারা অন্তরের ময়লা দূর হয়ে নামাজের খুশু-খুজু পয়দা হওয়ায়, ইবাদতে একাগ্রতা তৈরী হয়। নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াতকে জিকির বলা হলেও প্রিয়ন নবী (স.) এর ঘোষণা মোতাবেক উত্তম জিকির হচ্ছে কালিমায়ে তাইয়্যেবাহ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ”।
জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা কিভাবে জিকির করব, কত পরিমাণে করব এর জন্য পীরের হাতে বায়াত। তাই পীরের নির্দেশনা মোতাবেক নিয়মিত আল্লাহর জিকির করতে পারলে হিংসা-বিদ্বেশ দূর হয়ে অন্তর পরিষ্কার হবে নি:সন্দেহে এবং এর দ্বারা নিজেকে খাঁটি মানুষে পরিণত করা যাবে। এ জন্য ছারছীনা দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ্ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ) ও মুজাদ্দিদে যামান শাহ্ সূফী আবু জা’ফর মোহাম্মাদ ছালেহ (রহঃ) মুরীদানদের নিয়মিত জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মানুষের ভিতরের অংশ পরিষ্কার করার শ্রেষ্ঠ ঔষধ জিকির। জিকির অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যারা জিকিরকে অস্বীকার করে প্রকৃত পক্ষে তারা কুরআন সুন্নাহকেই অস্বীকার করছে। এ সব ভ্রান্ত চিন্তশীল লোকদের থেকে আমাদের সর্বদা সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
গত বুধবার ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদ্বয়ের ইন্তেকাল বার্ষিকী উপলক্ষে ছারছীনা দরবার শরীফ কর্তৃক আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ঈছালে ছওযাব মাহফিলের প্রথম দিন বাদ মাগরিব হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট ছাহেব জাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ উক্ত কথা বলেন। প্রতিদিন বাদ ফজর ও বাদ মাগরীব মাহফিলে আগত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদেরকে হযরত পীর ছাহেব কেবলা তা’লীম প্রদান করবেন।
মাহফিলে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেন- মাও মুহাঃ মামুনুল হক, মাওঃ মুহাঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওঃ আ.জ.ম ওবায়দুল্লাহ।
মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন