বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৯কর্ণফুলীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শুরু হচ্ছে অভিযান

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ এএম

অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে এ অভিযান শুরু করবে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রায় আড়াই হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও অর্থ বরাদ্দের অভাবে এতদিন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা যায়নি। তবে অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে ভ‚মিমন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা উচ্ছেদ অভিযানে যাচ্ছি। সোমবার থেকে কর্ণফুলীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা দেবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদী। দখলে, দূষণে এ নদীর অবস্থা এখন বেহাল। এ পরিস্থিতিতে কর্ণফুলীকে দ্রুত দখলমুক্ত করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। নগরীর নেভাল অ্যাকাডেমি সংলগ্ন নদীর মোহনা থেকে মোহরা এলাকা পর্যন্ত অংশে ২০১৫ সালে জরিপের কাজ শেষ করা হয়। জরিপে নদীর দুই তীরে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনটি ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে দাখিল করা হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেন। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভ‚মি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর আরও কয়েকবার অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি। ফলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানও শুরু করা যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন