শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নিরীহ মানুষকে হয়রানি করবেন না : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন ও জনবান্ধব হতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে কোনো নিরীহ মানুষ যেন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতেও বলেছেন তিনি। গতকাল সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হবে- এটাই আপনাদের কাছ থেকে আমি আশা করি। আমরা চাই, আমাদের পুলিশ বাহিনী হবে জনবান্ধব পুলিশ। সেভাবে আপনারা নিজেদের গড়ে তুলবেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অনুষ্ঠানস্থলে এলে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরকে পুলিশের একটি সুসজ্জিত ঘোড়সওয়ার শোভাযাত্রা স্বাগত জানায়। প্যারেড গ্রাউন্ড এলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় পুলিশের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। খোলা জিপে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে প্যারেড কমান্ডার পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানার নেতৃত্বে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পুলিশ বাহিনীকে এইটুকু বলব, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আপনাদের যে কথা বলেছেন, আপনারা বাংলাদেশেরই বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন- আজকে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা থাকা মানে হচ্ছে আপনাদের পরিবারের সদস্যদের শান্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একটা বিষয় লক্ষ রাখবেন, আপনাদের হাতে কোনো নিরীহ জনগণ যেন নির্যাতনের শিকার না হয় বা কোনো রকম হয়রানির শিকার যেন না হয়; বরং কোনো হয়রানি হলে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা এটা আপনাদের কর্তব্য। এটাই জনগণ আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। বিশ্বায়নের যুগে ক্রাইমেরও ধরন পাল্টে যাচ্ছে। সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদেরকেও সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। সবপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাডার কর্মকর্তাসহ সব পুলিশ সদস্যকে কর্মস্থলে যাওয়ার আগেই বুনিয়াদি ও মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের আমরা ব্যবস্থা করছি। এই প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাদক নির্মূলের যে অভিযান আমাদের চলমান, এটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে মানুষের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা একান্তভাবে প্রয়োজন। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে জরুরি সেবা (ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ) প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে, মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পুলিশের অনলাইনভিত্তিক সেবা প্রদান, মোবাইল অ্যাপস প্রবর্তন এবং তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণে বিভিন্ন সফটওয়্যার সংযোজন ও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল অর্গানাইজড ক্রাইম, মানিলন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম ও সমসাময়িক অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও পুলিশ সদস্যদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে ব্যয় হিসেবে ধরি না, জনগণ সেবা পাচ্ছে বলেই আমরা ধরে নেই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিগত দিনে বিভিন্ন আন্দোলনের সহিংসতা দমনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে গতকাল সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পান ৩৪৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদক পরিয়ে দেন।
এ ছাড়া অভিযান পরিচালনাকালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ডিবির ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিনকে এবং ২০১৫ সালে রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোলবোমায় আহত হয়ে মারা যাওয়া ডিএমপির কনস্টেবল শামীম মিয়াকে মরণোত্তর বিপিএম পদক দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এই বাহিনীতে লোকবল বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, সে সময় প্রতি এক হাজার ৩৫৫ জন মানুষের বিপরীতে একজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সেটি বেড়ে এখন প্রতি ৮০১ জনের বিপরীতে একজন হয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা, জনসংখ্যার অনুপাত ও ভৌগোলিক আয়তনসহ সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে পুলিশের জনবল আরো বৃদ্ধি করা হবে। অনুষ্ঠানে বার্ষিক কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ, বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুলিশ সদস্যদের পদক বিতরণ, নারী পুলিশ কল্যাণ সমিতির স্টল পরিদর্শন, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেড ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
পদক পেলেন ৩৪৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা
২০১৮ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীর ৩৪৭ জন সদস্য ও দুই নিহত পুলিশের পরিবারকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল(বিপিএম), বিপিএম(সেবা), প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক(পিপিএম) ও পিপিএম(সেবা) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাদের মেডেল পরানো হয়।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪০ জন বিপিএম ও ৬২ জন পিপিএম পদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম- বো এবং ১৪৩ জন পিপিএম- সেবা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে দু’জন মরণোত্তর বিপিএম পদক পাচ্ছেন। তারা হলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক জালাল উদ্দিন ও ঢাকা মেট্্র্রাপলিটন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল শামীম মিয়া। তাদের পরিবারের সদস্যদের মেডেল পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (24)
Sheikh Fazlur Rahman ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
প্রবাসী বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত যদি জনগণের কল্যাণে না আসে , নির্যাতন বন্ধে দেশ মাতা মুক্তির সংগ্রামে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে একটা কর্মসূচি দেওয়া হোক, প্রবাসীরা শুধু লেখালেখি শেয়ার কমেন্ট অনুতপ্ত হওয়া ছাড়া আর মনে হয় তেমন কিছু করার নেই। একটা কাজ করতে পারি রাষ্ট্রীয় ভাবে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধে এবং শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে প্রবাসে প্রত্যেক দূতাবাস এবং মানবাধিকার কমিশন অফিসের সামনে একদিন একই সময় সারা বিশ্বে কর্মসূচি দেওয়া জরুরি। তাহলে অনেকটা সফলতা আসবে নির্যাতন বন্ধে এবং সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় সকল রাজনীতিবিদ দের মুক্তি মামলা প্রতাহার আন্তর্জাতিক বিশ্বের নজরে আসে কি হচ্ছে বাংলাদেশে???তখন বাংলাদেশ সরকারকে বাধ্য করবে রাজনৈতিক ভাবে সমাধান কর না হয় দূতাবাস হটাৎ। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সবার নৈতিক দায়িত্ব। ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন আমাদের ঘেরাও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে।আমরা ৫০ লক্ষের অধিক প্রবাসী। আজ ঘোষণা দিবেন কালকেই বহু লোক হাজির। আমাদের রেমিটেন্সের টাকা দিয়ে সরকার বিরোধী দলের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। সকল প্রবাসী সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন না দেওয়া পযর্ন্ত এক সঙ্গে রেমিটেন্স বন্ধ করুণ। নেত্রীর মুক্তিতে একমাত্র প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Total Reply(0)
Rasel Sheikh ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
নিরীহ বলতে বাংলাদেশের পুলিশ মনে করে শুধু আওয়ামী লীগকে বাকি সবাইকে পুলিশ তাদের শত্রু মনে করে সেটাই সত্যি
Total Reply(0)
Abdul Alim ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
নরীহ মানুষকে হয়রানি করবেন না ,শুধু তাদের ভোট গুলো রাতে চুরি করে নৌকায় দিবেন ,যাতে ৫ বছর তাদের বাঁশ দেয়া যায় ।
Total Reply(0)
Faruq Faruq ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
নিজে ভালো হন পরে পুলিশ।
Total Reply(0)
Rahman Rana ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
তাহলে তো আওয়ামিলীগের কেউ আর চলমান শান্তিতে থাকতে পারবে না!
Total Reply(0)
Abdullah Bin Haque ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
শুধু আওয়ামীলীগ ছাড়া
Total Reply(0)
Abdullah Ali ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
পুলিশের যা রেকর্ড তার চেয়ে বলে দিন , যে মৃত, শারীরিক প্রতিবন্ধি, নিরীহ মানুষে যেন বাদ না যায়!
Total Reply(0)
Abdul Karim ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
Only oposit party Lukderke
Total Reply(0)
Mohammed Sohel ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
কোন নিরীহ আঃলীগ যেন হয়রানির শিকার না হয়"" কিন্তু প্রতিদিন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ"#ধর্ষণ_গুম_খুন_বিনা_বিচারে_জেল কাটছে" সেদিখে কোন খেয়াল নাই...
Total Reply(0)
ﺑﻼﻝ ﺣﺴﻴﻦ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
নিরীহ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, সেটা আগে ফিরিয়ে দেন, তারপর অন্য কথা বলেন
Total Reply(0)
MD Masud Howlader Holader ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
তারচেয়ে বল জে আওমীলীগ জেন হয়রানির শিকার না হয় করন এদেশে আওমীলীগ ই আর আমরা জনগন সবাই তো রহিনগা
Total Reply(0)
স্নিগ্ধ জ্যোৎসনার মায়াবী আলো ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
শুধু ৫ বছর পর পর ভোটের বাক্সটা ভরে দিবেন
Total Reply(0)
Md Jahid ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
শুধু বি এন পি জামায়াতের লোক হলে হয়রানি করবেন সমস্যা হবে না
Total Reply(0)
Sunny Hero ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
ভোট চুরির পদক পেল পুলিশ
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
এসব মুখের কথা। গায়েবী মামলা উদ্ভাবনের জন্য পুরস্কার দেওয়া উচিৎ যারা গায়েবী মামলায় কারাগারে তাদের মুক্তি দেন।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
হয়রানি তো নিরীহ,গরিব আর ক্ষমতাহীনদেরই করা হয়। আর এটা খুবই সহজ
Total Reply(0)
Shafiqul Islam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমণন্ত্রী এ বৎসর পুলিশবাহিনীর সদস্যদের ‘অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ’ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ৩৪৯ জন সদস্যের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন ।সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ১৪৩ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেওয়া হবে বলে জানানও হয়েছে । পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দেশের মানুষের স্বীকার করেতই বিগত ১০ বৎসরে সকল আইন সৃংক্ষলা বাহিনীর যে পরিমাণ উন্নতি হয়েছে তা অভূতপূর্ব । এটি সত্য যে কোন কিছুই শতভাগ সহজে এবং একসাথে করা কারও পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠেনা । যেমন কিছু সদস্য ইয়াবা ও মাদক ব্যবসাকারিদের সহায়তা করেছে বলে শোনা গেছে । আমরা এই অর্জনের জন্য মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী মহোদয়কে ও তার সরকার আইন শৃংক্ষলা বাহিনীর ভুয়সী প্রসংসা করি ।
Total Reply(0)
মোঃ মোশাহেদ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
"নিরীহ মানুষকে হয়রানি করবেন না", -মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার এই কথা যদি শুনতো, তাহলে আমি হলফ করে বলতে পারি আমাদের এই দেশটা তখন , "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্ম ভূমি " হতো।
Total Reply(0)
ahmed ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
হাজার হাজার মিথ্যা, গায়েবি মামলায় গ্রামে, গঞ্জে নিরীহ কৃষক শ্রমিক মানুষরা আজ ঘর বাড়ি ছাড়া । দিশেহারা হয়ে হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে । রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার কয়েক লক্ষ মানুষ । কারাগারগুলিতে ধারন ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশী মানুষ জেলে আছে । এই বিষয়ের একটা সমাধান চাই । মানবাধিকার কমিশন গায়েবি মামলাগুলি কেস টু কেস তদন্ত করে দেখতে পারে ।
Total Reply(0)
Md. Iman Ali Emon ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
পুলিশ কে আমরা এভাবে দেখতে চাই !একজন সাধারন মানুষ যে কোন জায়গায় যে কোন বিপদে পরলে যেন পুলিশ বলে আমি আপনার জন্য কি সহযোগিতা করতে পারি ? পুলিশ কে দেখে মানুষ ভয়ের পরিবর্তে যেন স্বস্তি পায় ।
Total Reply(0)
M. R. Hillol ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী অবশেষে আপনার নজরে আসলো দেশে নিরীহ মানুষেরা পুলিশ দারা হয়রানি হয়! যারা হয়রানির শিকার হয় তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করুন মোটা অংকের। দেখবেন হয়রানি কমে যাবে তরতরিয়ে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
Someone have to take the responsibility and we expect gross punishment for this !! But after 30th Dec, we may not expect good governance.
Total Reply(0)
Moniruzzaman ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:০১ এএম says : 0
জনগণের কল্যাণার্থে জারীকৃত কোন নির্দেশনা, আদেশ বা অনুরোধ আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে? এটাও হবে না।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:৩৫ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশদেরকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন ও জনবান্ধব হতে আহ্বান জানিয়েছেন। সাথে সাথে তিনি আরো বলেছেন পুলিশের হাতে কোনো নিরীহ মানুষ যেন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেও জোর দিয়েছেন। তবে এখানে তিনি এটা বলেননি যদি কোন পুলিশ সদস্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন না করে কিংবা নিরীহ মানুষকে যেভাবে এখন নির্যাতন বা হয়রানি করছে সেটা বন্ধ না করে তিনি পুলিশদের প্রতি কি ব্যাবস্থা নিবেন এটা তিনি বলেছেন কিনা আমি জানিনা তবে এই সংবাদে আমি পাইনি। এখানেও তিনি যে ভাবে কথা বলেছেন এটাই একজন প্রধানমন্ত্রীর কথা তবে নিন্দুকদের কাথানুযায়ী কথা এসে যায় সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের পুলিশ কোন দিনও তাদেরকে সাধারন মানুষের সেবক বা বন্ধু ভাবেন না এটাই বহু ভাবে প্রমানিত হয়েছে। এমনকি পুলিশের সদস্যারা প্রকাশ্যে জনগণের সামনে বলে থাকে “মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ।“ পুলিশের এই কথা নিয়ে প্রচুর লেখা লেখি হচ্ছে তখন থেকেই তারপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী এর উপর কোন ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিনা আমি পড়িনি। ............... আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে আল্লাহর হেকমত বুঝার, জানার ও সেইভাবে চলার জ্ঞান দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন