শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুলিশের দাবি মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ভাতা, ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন, আলাদা মেডিকেল কোরসহ উত্থাপিত সব দাবিই মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কল্যাণসভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত কল্যাণসভা দুপুর দেড়টায় শুরু হয়ে শেষ হয় আড়াইটায়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে পুলিশ সদস্যরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। সভায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেডিকেল কলেজ, আরও এক লাখ জনবল, পৃথক পুলিশ বিভাগ, একাধিক আইজিপি পদ ও চিফ অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করে সেটিকে ফোর স্টার জেনারেল পদমর্যাদায় উন্নীত করার দাবিও ছিল পুলিশের। তবে সেগুলো নিয়ে কল্যাণসভায় কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা।
কল্যাণসভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সব দাবিই মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু আজীবন রেশন দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কল্যাণসভা শুরুর পর প্রথমেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কনস্টেবল নাজমুন্নাহার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার দাবি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে পুলিশের অনেক সফলতা রয়েছে। কিন্তু পুলিশের কোনও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নেই। তিনি একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী এ দাবি মেনে নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের জন্য জমি দেখতে নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।
কুড়িগ্রামে কর্মরত এএসআই মো. মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশ সদস্যদের জন্য আজীবন রেশন দেয়ার দাবি করেন, যাতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরাও এ সুবিধা পেতে পারেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখবেন।
ডিএমপি ট্রাফিক সার্জেন্ট সিলভিয়া ফেরদৌস বলেন, এখন এক কাপ চায়ের দাম ১০ টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও বেশি। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগের সেই ২০-২৫ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাফিকরা এখন বর্তমানে ২০১১ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ৩০ ভাগ ভাতা পেয়ে থাকেন। বর্তমান (২০১৫ সালের) বেতন স্কেল অনুযায়ী সেই ভাতা দেয়ার দাবি জানান তিনি। এছাড়া গ্রেডভিত্তিক ভাতা বৃদ্ধিরও দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী এই ট্্রাফিক সার্জেন্টের দাবিও বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ওসি ইন্সপেক্টর আব্দুল আহাদ খান বলেন, চাকরিরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা মারা গেলে বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। গুরুতর আহত হলে পান মাত্র এক লাখ টাকা। এটাকে যথাক্রমে আট ও চার লাখ টাকা করার দাবি জানান তিনি। আর দায়িত্বরত অবস্থায় এবং অভিযানে গিয়ে মারা গেলে যথাক্রমে ১৫ লাখ ও আট লাখ টাকা দেওয়ারও দাবি জানান এই ওসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এ দাবিও মেনে নেন।
ডিএমপির এক কর্মকর্তার দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের আলাদা মেডিকেল কোরের দাবিও বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (20)
Salma Easmin Suvra ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
অবশর ও মৃত্য পুলিশ অফিসার এর সন্তান যারা
Total Reply(0)
Md Sahshaheenin ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
না নিয়ে জে আর কোন উপাই নাই পুলিশের দাবি
Total Reply(0)
Kobir Hossen Kobir ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
আগামীতেও পুলিশ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে চায়।এই দাবি মনে নিয়েছে।
Total Reply(0)
Salma Easmin Suvra ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
অবশর পুলিশ অফিসার ও সেপাহিদের অসহায় শিক্ষিত সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা কোরে দেন দয়া কোরে
Total Reply(0)
Abid Shorful Maklukat ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 1
আওয়ামী লীগ যদি পুলিশ লীগের দাবি না মানে তবে মানবে কে?হাজার হলেও একই সংগঠন ওরা
Total Reply(0)
RobinMollah Rajib ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
ছুটির এত হাহাকার। আর ছুটির কোনো কথাই আসলো না। হায়রে কপাল।ছুটির দিন সংখ্যা না বাড়ালে বিয়া করুম না
Total Reply(0)
জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
না মানার উপায় আছে নাকি!!!!!
Total Reply(0)
Jahangir Alam ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
পুলিশ ছাড়া আপনার একপা এগুনোর সাহস নাই। সুতরাং তাদের সব দাবি মানতে বাধ্য। না হলে তো মহা বিপদ সংকেত।
Total Reply(0)
Akbar Hossain ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মমতাময়ী মা,বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। একমাত্র আপনিই পারেন শতবছরের অযৌক্তিক অবিচার বৈষম্যপূর্ন শিক্ষা ব্যবস্হাকে চিরতরে দূর করতে।আমরা শিক্ষক সমাজ আজ স্বাধীনতার স্বপক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সদাজাগ্রত।আমরা চাই আপনি এই মেয়াদে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির প্রথা চালু করে শত বছরের অযৌক্তিক ব্যবস্থাপনাকে দূর করবেন।
Total Reply(0)
Nasimul Haque ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
দেশের সেনা বাহিনীকে বিলুপ্ত করে পুলিশের সকল সদস্য কে জেনারেলের মর্যাদা দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Rubel Hossain ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
নিতে তো হবেই, দেশ নির্ভর করছে পুলিশের উপর।
Total Reply(0)
Md Sohag Miah ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
পুলিশ এতবড় একটা উপকার করছে তার বিনিময় তো দাবী মানতেই হবে।
Total Reply(0)
Al Rahin ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
পুলিশের সব দাবি মেনে নেয়, মাগার জনগণের কোন দাবি মানে না কোন সরকার। ১৫% সরকারি চাকরিচীবিদের হাতে ৮৫% সাধারন মানুষ আজ জিম্মি
Total Reply(0)
Mahobubul Alam Mitu ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
অন্ততপক্ষে একটি দাবি মানা উচিৎ, আর সেটা মেডিকেল কলেজ। কারন ভোটের মাঠে জিতে এসে পুলিশ আর আওয়ামীলীগ উভয় মানুষিক ভাবে অসুস্থ। তাদের সু- চিকিৎসা দরকার
Total Reply(0)
B.M. Shaheen ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
পুলিশের সব চাওয়া পূরন করার পিছনে কারন আছে ক্ষতিয়ে দেখুন
Total Reply(0)
Aktar Ibn Wahab ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বেকারদের কিছু দাবি আছে। চাকুরী চাই। শিক্ষা জীবন শেষ।
Total Reply(0)
Selina Yesmin Shelly ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১:৪০ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দাবি কি শুধু পুলিশেরই। জনদাবী গণতন্ত্র। সেটার ব‍্যবসথা করুন। জনগণকে বুনো ঘাস ভেবে ,পার পাওয়া যাবে
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৯ এএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশদের সব কয়টা দাবি মেনে নিয়েছেন এটাই আমাদের দেখার বিষয়। তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে যা প্রয়োজন সেই ভিত্তিতে তাদের দাবী উত্থাপিত করে এবং প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবী মেনে নিয়েছেন। পুলিশ তাদের দাবী পুরনের পর তাদের উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে কিনা এটাই এখন আমাদের দেখার বিষয়। নিন্দুকেরা মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী সাথে সাথে তাদের দাবী মেনে নিয়ে এটাই প্রমানিত করলেন যে, পুলিশ যেটা বলেছিল দেশের রাজা পুলিশ সেটাই প্রমানিত হয়েছে। এখন পুলিশ তাদের অন্যায় অত্যাচার আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়ে সাধারন জনগণের ধফা রফা করবেন সাথে সাথে পুলিশ বানিজ্য চালু রাখবেন এটা বন্ধ করার ক্ষমতা কাওরো নেই। আজকের এই অনুষ্ঠানে নেত্রী হাসিনার নেয়া সিদ্ধান্তে আমি কোন দোষ দেখতে পাইনা কারন তিনি এখন বিশ্ব মানের একজন প্রশাসক কাজেই সারা বিশ্বে যেভাবে দেশের প্রধানরা করে থাকেন সেভাবেই তিনি তার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং এটাও বলেছেন যে, পুলিশের সকল দাবী মান হয়েছে এখন পুলিশের কাছ থেকে কোন আজুহাত শোনা হবে না তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখানে একটা কথা নিন্দুকেরা বলছেন যে, অতীতে দেখাগেছে সরকার প্রধানেরা (নেত্রী হাসিনা সহ) পুলিশদের ব্যাবস্থা নিতে পারেননি এবং সামনেও কিছুই করতে পারবেন না, কাজেই............ আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে ওয়াদা রক্ষা করার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
M A HAKIM CHY ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:০৩ এএম says : 0
jara mone kore polish shob kisor mol karon tara ekono jommo neini doniate . vole gele cholbena 1952 teke 1971 aowmileague porjonto politics dekle shob kiso boja jabe . jader oi time e jommo hoyni tara ki kore bojbe . tara to biaddobi sara tader ra kiorara ache ki .
Total Reply(0)
Nahid hasan ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:০৪ পিএম says : 0
পুলিশের সব দাবি না মেনে কি আর উপায় আছে পুলিশ ছিল বলেই তো সরকার আজ ক্ষমতায় আসতে পেরেছে এটা বুঝতে হবে উপকার কাকে বলে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন