একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে জামালপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা. পূরবী রাণী দেবনাথ। বর্তমানে বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহীম মেডিকেলে কলেজের চক্ষু বিভাগের ইউনিট প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. পূরবী।
ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় ডা. পূরবী ছাত্র লীগ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপকমিটির সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সংস্কৃতি ও আপ্যায়ন সম্পাদক, অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষেদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়তা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, লায়ন্স ক্লাব ৩১৫/এ২ লালবাগ ঢাকার সভাপতি।
ছাত্রলীগের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার (১৯৮৮-১৯৯৪) মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেশে ও বিদেশে পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা।
রাজনীতিতে কেন আসতে চান এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. পূরবী বলেন, আমি হুট করে রাজনীতিতে আসতে চাইছি বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। আমার বাবা নরেশ চন্দ্র দেবনাথ ছিলেন বিএসসি শিক্ষক। একাত্তর সালে আমি ছোট। কিন্তু বাবার মুখে আওয়ামী লীগ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একাত্তরের গল্প শুনে আমি বড় হয়েছি। বাবা মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠকের ভূমিকা পালন করায় পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্মমভাবে আমার ঠাকুরদা ও ঠাকুমাকে হত্যা করে। বাড়িঘরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ সময় প্রাণে বেঁচে যায় পরিবারের অন্য সদস্যরা।
তিনি আরো বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট জাতির জনককে হত্যার পর আমি দেখেছি আমার বাবার কষ্টটা। দীর্ঘদিন বাবা স্বাভাবিক হতে পারেননি। কোন কিছুর প্রত্যাশা করে নয়, মনের এবং বিবেকের তাড়নায় আমি ছাত্র জীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির এই রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকতে চাই। জনগণের কল্যাণে কাজ করার ব্রত নিয়েই চিকিৎসা পেশায় এসেছি। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে দেশবাসীর সেবা করতে চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন