শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারা

ভারতে বোরখা পরে মন্দিরে গরুর গোশত নিক্ষেপ করতে গিয়ে আরএসএস’র হিন্দু যুবক হাতেনাতে আটক

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে একটি মন্দিরে গরুর গোশতের টুকরা ছুড়তে গিয়ে আটক হয়েছে সারদেশাই রাজদীপ নামের এক হিন্দু যুবক। বোরখা পরিহিত অবস্থায় মন্দিরে গরুর গোশত ছুড়তে গিয়ে ধরা পড়া ওই যুবক ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একজন সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।
আটকের পর যুবককে নিয়ে আজমগড়ের রাস্তায় মিছিলও বের করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নির্জন ওই মন্দিরের ভেতর গরুর গোশতের টুকরা নিক্ষেপ করে পালানোর সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে বোরখা পরা এক ব্যক্তি।
আবরণ উন্মোচনের পর পোশাকের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক যুবকের মুখম-ল। স্থানীয়দের দাবি উগ্র হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠী আরএসএস সংঘের কর্মীরা বেশ কিছুদিন ধরেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করে মুসলিমদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকতে পারে।
সমির গুপ্তা নামের একজন টুইটে দাবি করে বলেন, ওই ব্যক্তি কট্টর আরএসএস সমর্থক ও কর্মী। বেশকিছুদিন ধরেই হিন্দুদের পবিত্র স্থান কলুষিত করার চেষ্টার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকে সেই ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে বিভিন্ন মন্তব্যে। মন্তব্যকারী অনেকের মতেই ভারতে গরুর গোশত নিষিদ্ধ হওয়ার পর হিন্দু মন্দির চত্বরে গো গোশত নিক্ষেপ করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেয়ার ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটছে।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে এমন ঘটনা ঘটার পেছনেও এমন কোন রহস্য থাকতে পারে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া অভিযোগের জেরে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর জন্য হিন্দু মৌলবাদীদের সমালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনেক হিন্দু ধর্মালম্বীদেরও মন্তব্য করতে দেখা যায় । প্রসঙ্গত, বাড়িতে গো-হত্যা করেছেন, এমন অভিযোগের জেরে উগ্র হিন্দুদের গণপিটুনিতে নিহত হন বিসরাখা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ ইকলাক (৫৮)। তদন্তে জানা গেছে, স্থানীয় মন্দিরের ঘোষণার জেরেই ইকলাখের বাড়িতে চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। পুলিশের দাবি, জেরায় মন্দিরের পুরোহিত স্বীকার করেছেন যে তাকে ওই ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছিল দুই যুবক।
জানা যায়, গণপিটুনি ও তার জেরে হত্যার অভিযোগে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে গরুর গোশতের উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশের দাবি, খুনের পেছনে গো-হত্যার কারণ দর্শিয়েছিল মারমুখি জনতা। ঘটনায় মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
অাল অারাবী ১৪ মে, ২০১৬, ১১:৪৬ এএম says : 0
আর সেই ভারত বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস তাড়াবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন