শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

সিরিয়ায় জোড়া বোমা বিস্ফোরণে নিহত ২২

প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার হোমস প্রদেশে আইএসএর দুই দফা বোমা হামলায় অন্তত ২২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে হোমস প্রদেশের আল জাহরা এলাকায় বোমা হামলা চালানো হলে এসব ব্যক্তি নিহত হয়। প্রথমে আল জাহরার আবাসিক এলাকায় গাড়ি ভর্তি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা চালানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর আরেক ব্যক্তি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। সিরিয়ার সানা বার্তা সংস্থা এ খবর দিয়েছে। এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেইর আয-জোর শহরের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত আল-বাগালিয়া এলাকায় একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। জেহাদি সংগঠন আইএস এই হামলা চালিয়েছে বলে ওই সংস্থাটি দাবি করেছে।
এর আগে দাবি করা হয়, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় লাতাকিয়া প্রদেশের শেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিয়েছে সরকারি বাহিনী। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বিবিসি বলছে, চার বছর ধরে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাবিয়া শহরটি সেনাবাহিনী দখলে নিয়েছে। লাতাকিয়া প্রদেশে আলাউয়িত সম্প্রদায়ের শক্ত অবস্থান রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিজেও এই সম্প্রদায়ের মানুষ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, রাবিয়া পুনর্দখলে রুশ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলের পর শহরটির তিনদিক ৪৮ ঘণ্টা ঘিরে রেখেছিল প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী। তিনি আরো বলেন, রুশ বিমান হামলা প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। অবজারভেটরি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, রুশ কর্মকর্তা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সহায়তায় সরকারি বাহিনী দারোশা এবং আল-রাওদা গ্রাম দখল করে। এ সময় আল-নুসরা ফ্রন্টের সঙ্গে বড় ধরনের লড়াই হয়েছে বলেও অবজারভেটরি জানিয়েছে। আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আল-নুসরা ফ্রন্ট এবং বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাবিয়া শহরটি দখল করে রেখেছিল।
দাবি অনুযায়ী রাবিয়া যদি সত্যিই সরকারি বাহিনীর দখলে এসে থাকে তবে তা আসাদ সরকারের জন্য একটি বড় সাফল্য। দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি বলছে, রাবিয়া হাতছাড়া হওয়ায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের উত্তরাঞ্চল থেকে রসদ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ব্যবস্থা বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি সিরিয়ার সরকারপন্থি বাহিনী তুর্কি সীমান্তের দিকেও অভিযান চালিয়ে অগ্রসর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন