বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সেনা-এএ সংঘর্ষে পালাচ্ছে হাজার হাজার আরাকানি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যকার তীব্র লড়াইয়ের ফলে চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপ থেকে বিতাড়িত প্রায় আড়াইশ’ সদ্য বাস্তুচ্যুত আরাকানি ও জাতিগত চিন প্রতিবেশী দেশে প্রবেশ করেছে। উদ্বাস্তুরা খাবার, পোশাক ও আশ্রয়ের সঙ্কটে রয়েছে। অনেক উদ্বাস্তু শিশু মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে সাহায্য কর্মীরা জানিয়েছেন। মেডিক্যাল ও অন্যান্য সাহায্যকর্মীরা গ্রুপটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় তা কঠিন মনে হচ্ছে। মানবাধিকার কমিশনের সদস্য উইন থিন ইরাবিতকে বলেন, তিনি সপ্তাহান্তে উদ্বাস্তুদের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। তারা থুইসা পারা নামে পরিচিত ঘন বনে একটি গ্রামে অবস্থান করছে। স্থানটি রেমাক্রি বিজেপি ক্যাম্প থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে। তিনি বলেন, উদ্বাস্তু লোকজন জানিয়েছে যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী খা মং ওয়া গ্রাম ও কিন থা লিন গ্রামে অগ্নিসংযোগ করেছে গত সপ্তাহে। রোববার ১২৪ জন জাতিগত চিন বান্দরবান জেলার রুমা টাউনশিপে উপস্থিত হয়েছে। পরদিন ১২৬ জন আরাকানি একই এলাকার বিভিন্ন গ্রামে এসে পড়ে। উইন থিন বলেন, আমরা গাড়ি বা নৌকায় করে তাদের কাছে যেতে পারছি না। একমাত্র উপায় হলো ট্রেকিং। রুমা থেকে সেখানে যেতে প্রায় এক দিন লেগে যায়। রুমার প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন কাজ। তারা বেশ কষ্টকর অবস্থায় রয়েছে। উইন থিন বলেন, গ্রুপটির সাথে ৬০টি শিশু রয়েছে। এদের কয়েকজন সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া। শীতের মধ্যেও তাদের কাছে কম্বল বা গরম পোশাক নেই। রুমার আরেক অ্যাক্টিভিস্ট আয়ে তুন বলেন, তিনি রেমাক্রি অঞ্চলে আরাকানি ও চিন লোকদের কাছে গিয়েছিলেন। উদ্বাস্তুরা যাতে সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারে, সেজন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় মার্মারা তাদের খাবার দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করছে। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো ধরনের সহায়তা করছে না। তবে তাদেরকে মিয়ানমারে তাড়িয়েও দেয়া হচ্ছে না। তুন বলেন, স্থানীয় মার্মা ও পাহাড়ি লোকজন আরকানি ও চিনাদের পরিচিত। তারা উদ্বাস্তুদের সহায়তা করছে। তিনি বলেন, আরাকানি গ্রামবাসীরা প্রথমে কিয়াততাও ও পেলেতওয়া গ্রামে গিয়েছিল। কিন্তু লড়াই অব্যাহত থাকায় তারা পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন