বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পোশাক খাতে অস্থিরতা

ছাঁটাই নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে, ২৭ কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বেতন বাড়ানোর দাবিতে টানা আন্দোলনের মুখে পরিস্থিতি কিছুটা শীতল হলেও ছাঁটাইয়ের কবলে পড়েছে পোশাক খাত। এ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পোশাক খাতের কর্মীদের গণহারে ছাঁটায়ের কারণে যে কোন সময় শ্রমিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে। ‘শ্রমিক আন্দোলনের পর ২৭ কারখানায় ৭ হাজার ৫৮০ শ্রমিক ছাঁটাই’-শীর্ষক রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশে সম্প্রতিক শ্রমিক আন্দোলন শেষ হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণেই এ রকম ছাঁটাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের প্রধান বাবুল আখতার বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ২৭ কারখানা থেকে অন্তত সাত হাজার ৫৮০ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের অংশ নেওয়ায় এইচ এন্ড এম ও নেক্সটসহ অন্তত তিনটি ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি কারখানাতেও সম্প্রতি শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে রাজধানী ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টারের প্রধান কাজী রুহুল আমিন জানান, যেসব শ্রমিক স্লোগান দিয়েছে বা আন্দোলনের সময় কাজ বর্জন করেছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ও যাদের কোন রকম শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা এখন চাকরি হারাচ্ছে।
পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগ-উৎকন্ঠা রপ্তানি আয়সহ গার্মেন্টখাতে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমই) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদেশী সংগঠনগুলো সবসময়ই একটু বাড়িয়েই বলে থাকে। তিনি জানান, আমাদের কারখানা আছে ৩ হাজারের কিছু বেশি অথচ সংগঠনগুলো বলছে ৭ হাজারের বেশি। শ্রমিক আন্দোলনের পর ৪ হাজারেরও কম শ্রমিক চাকুরিচ্যুত হয়েছে। এটা হতেই পারে।
তিনি বলেন, কাউকে ছাঁটাই করা হয়নি। শ্রম আইনের ৫টি ধারা আছে, এই ধারা মেনে কেউ যদি শ্রমিককে বাদ দেয় তাহলে কিছু করার নেই। তিনি বলেন, একটি ফ্যাক্টরিতে যদি লোক না লাগে, আগামী মাসে বেতন দিতে না পারা এবং শ্রমিক যদি কোনো অন্যায় করে তাকে শোকজ করে, শোকজের উত্তর সন্তোষনজনক না হলে তাকে বাদ দিতে পারে। মোটকথা শ্রম আইনের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করার সুযোগ নেই ফ্যাক্টরিগুলোর।
যেসব শ্রমিকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ভাঙচুর ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্দে কোন মামলা হবে না বলে উল্লেখ করেন সিদ্দিকুর রহমান।
নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধেও মামলা-হয়রাণি করা হচ্ছে এ বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ রকম খবর আমার জানা নেই। যদি হয় তাহলে শ্রমিকরা বিজিএমইএ/কোর্ট অথবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে।
এদিকে কয়েকজন শ্রমিক বলেছেন, তারা শান্তিপ‚র্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য শ্রমিকদের একজোট করার প্রচেষ্টা চালানোর কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শ্রমিক বলেন, (ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের) তালিকায় আমার নাম শীর্ষে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় আমি প্রতিদিন কাজে গেছি। আমি কখনোই কোন ভাঙচুর বা অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার ও আমার সহকর্মীদের নাম তালিকায় আসার পেছনে কারণ ছিল, আমরা একটি জোট গঠনের চেষ্টা করছিলাম। বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক শিল্প রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। প্রতি বছর গড়ে পোশাক শিল্পের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশের আয় হয় আনুমানিক তিন হাজার কোটি ডলার।
এদিকে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেন, ক্রোনি গ্রুপ, ইস্ট ওয়েস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড ও মেট্রো নিটিং এন্ড ডায়িং মিলস লিমিটেড থেকে সম্প্রতি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুইডেন-ভিত্তিক এইচ এন্ড এম ও ব্রিটিশ ব্র্যান্ড নেক্সটের জন্য পোশাক তৈরি করে থাকে। শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে জানতে চেয়ে ক্রোনি ও মেট্রোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইস্ট ওয়েস্টের প্রধান প্রশাসক আমিনুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের সময় ৭ই জানুয়ারি বেশ কয়েকজন শ্রমিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর সব মিলিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানের ৮শ’রও বেশি শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে।
ইস্ট ওয়েস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান কোন অবৈধ বা অন্যায্য কাজ করছে না। তিনি বলেন, আমরা জানি, এমনটা করলে আমাদের ক্রেতারা এটা হালকাভাবে নেবে না। তারা এটা পছন্দ করবে না। বিদেশি ব্রান্ডগুলো জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এক ই-মেইল বার্তায় নেক্সট ব্র্যান্ড জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি স¤পর্কে অবগত। বাংলাদেশে তাদের নিজস্ব অডিট কর্মচারীরা এ বিষয়ে তদন্ত করছে। এ ছাড়া জারা, ম্যাঙ্গো, গেস ও সাকসসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ও মার্কিন ব্রান্ডগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে দেশের পোশাক শ্রমিকদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক রিটেইল চেইন ‘এইচ অ্যান্ড এম’ বলেছে, তারা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির পক্ষে হলেও ভাংচুর-সহিংসতাকে সমর্থন করে না। পোশাক খাতের নামি এই ব্র্যান্ড গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং এইচ অ্যান্ড এমের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের কল্যাণে তারা সব পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
বছরের শুরুতে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনার পর বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রেক্ষাপটে এইচ অ্যান্ড এমের এই বিবৃতি এল। যেসব কারাখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে কয়েকটি গার্মেন্ট এইচ অ্যান্ড এম এর জন্যও পোশাক তৈরি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রমিক অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টায় কারখানা কর্তৃপক্ষ, ইন্ডাস্ট্রিঅলসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এইচ অ্যান্ড এম বলছে, কারখানা থেকে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে তারা অবগত এবং সব পক্ষের সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে, যাতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য ও সঠিক কারণ নিশ্চিত করার বিষয়ে ওই চুক্তির সব পক্ষ সম্মত হয়। এ বিষয়টিতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি এবং গার্মেন্ট কারখানা, শ্রমিক সংগঠন ও ক্রেতাদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব পক্ষকে সব সময় শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানাচ্ছি এবং তা যাতে সম্ভব হয়, সেই চেষ্টায় নিয়োজিত আছি।
জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় পোশাক খাতের শ্রমিকরা আবার আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে, গতকাল রোববার গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায়। অথচ এ বিষয়ে একেবারেই নীরব ভ‚মিকা পালন করছেন মালিকপক্ষ। এতে বিক্ষোভের আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই খাতের সংশ্লিষ্টরাই।
গতকাল সকালে গাজীপুরের মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি করে আসছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি কর্ণপাত করেননি। এতে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গাজীপুর পোশাক শিল্প ও টেক্সটাইল শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় বাড়ি ভাড়া তুলনাম‚লক বেশি। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের দামও আগের থেকে বেড়েছে। বারবার মালিকপক্ষের কাছে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানায় টেক্সটাইল শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে বিটিএমএ এর সভাপতি ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী খোকন একাধিক বৈঠক করেছেন সদস্যদের সাথে। তবে এসব বিষয়ে একেবারেই চুপ রয়েছেন মালিকপক্ষ। বিটিএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, স্যার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না। তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন ওয়েবওয়্যার-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন বাড়ানোর দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর শ্রমিক ছাঁটাইয়ে বাংলাদেশে পোশাক খাতে অস্থিরতার আশংকা করা হচ্ছে। এতে ‘আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের মতে, এজন্য বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে অস্থিরতার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। একই সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, খুচরা ক্রেতা, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিলে সংঘাতময় পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশা পরিষ্কারভাবে দেশে শিল্প সংশ্লিষ্ট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়কে জোরালোভাবে তুলে ধরে। যখন শ্রমিকদের কথা শোনা হবে, যখন শ্রম বাজারের পক্ষগুলো শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধের সমাধান নিয়ে কাজ করবে এবং যখন নিয়মিতভাবে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠানো পর্যালোচনা (রিভাইস) করা হবে। তখনই এরকম পরিস্থিতির মতো একটি পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব। যাই হোক, গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশার বিষয়টি আমরা যদিও বুঝি এবং তাদের প্রতি পূর্ণ সহানুভ‚তিশীল, তবুও আমরা ভাঙচুর ও সহিংসতাকে শেষ উপায় হিসেবে উৎসাহিত করতে পারি না।
সব পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সংঘাতময় অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে উৎসাহিত করি। আমরা এমন ঘটনায় নিজেদের এভাবেই দেখতে চাই। এ জন্যই আমরা গ্লোবাল ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টের অধীনে গ্লোবাল ইউনিয়ন ইন্ডাস্টিয়াল ও সুইডেনের ট্রেড ইউনিয়ন আইএফ মেটঅল-এর সঙ্গে সৃষ্টি করেছি ন্যাশনাল মনিটরিং কমিটি। সংঘাতময় পরিস্থিতির একটি শান্তিপূর্ণ প্লাটফর্ম এটি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও এবং বৈশ্বিক ইউনিয়নগুলোর নির্দেশনার অধীনে আমরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিকে সমর্থন করি। এসব নির্দেশনায় প্রয়োজনে শ্রমিক ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বিত দর কষাকষির বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। সেই দর কষাকষি হলো শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
Farid ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪১ এএম says : 0
হীন স্বার্থ রাজনীতি দেশটাকে আজ ধবংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বাপের, কেউ স্বামীর - সোজা কথা পরিবারতন্ত্র চায় তারা। আর ও আছে স্বার্থবাদী কিছু চাটুকার। এক যোগে সবাইকে তাদের ত্যাগ করা উচিত।
Total Reply(0)
Muhammod Shafique ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪২ এএম says : 0
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে।
Total Reply(0)
Sayed Hasnain Mahruf ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম says : 0
ব্যাংক গুলার অব্সথা আরো খারাপ....কেউ ঋন নিয়ে পরিশোধও করে না।হায়রে দেশ
Total Reply(0)
Iskandar Mulla ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
100% রাইট
Total Reply(0)
HK M Rohmot Ullah ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
somossa nai, koti puron dewa hobe : awmilig
Total Reply(0)
Shafiq Ahmed ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম says : 0
No problem, order will come from India.
Total Reply(0)
ahmed ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 0
গার্মেন্টস মালিকরা আজ এমপি, মন্ত্রী হয়েছে । এই ক্ষমতায় শ্রমিকদের শোষণ নীতি শুরু করেছে । শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন যা কয়েক মাস আগেই সরকার, বিজিএমই ও শ্রমিক পক্ষ মিলে ঠিক করা হয়েছিল, যা শ্রম মন্ত্রণায় অনুমোদন করেছিল । আজ কেন সেই বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করার জন্য আন্দোলন করতে হবে ? গার্মেন্টস মালিকরা যদি বেতন না বাড়ায় , একযোগে চাকুরী ছেড়ে গ্রামে যেয়ে কৃষি কাজ, মৎস্য চাষ, ছাগল পালন, কুটীর শিল্পের কাজ করেন । এতে অনেক ভালো থাকবেন । তারপর দেখবেন গার্মেন্টস মালিকরা কারখানা কিভাবে চালায় !!
Total Reply(0)
Tanvir ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম says : 0
উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত দূর্নীতি আর দূর্নীতি। এই নীতির খেসারত দিতে হয় সাধারণ জনগণের। একটা পোশাক শ্রমিক কত টাকা বেতন পায়। কিন্তু সে সেই টাকায় ঢাকা ভালভাবে থাকতে পারে না। তার উপর সে যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম হয় তাহলে তো মরার উপর খারার ঘা। একজন এম.পি মন্ত্রী শ্রমিকদের রক্ত ঘাম করার টাকা দিয়ে টয়োটা চড়বে আর সেই শ্রমিক খালি পায়ে হাঁটবে এটা কেমন বিচার। পোশাক উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানি করা পর্যন্ত প্রতিটি সেক্টরে দূর্নীতি। সবক্ষেত্রে দূর্নীতি রোধ করতে হবে। তাহলে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আসবে। মন্ত্রী, এম.পি, আমলা, চাপরাশি, পিয়ন সবাই দূর্নীতির সাথে জড়িত। দেখার কেউ নেই।
Total Reply(0)
Mohamed A Rahman ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
এক কি কোনো স্থায়ী সমাধান আছে? এ সমস্যার সমাধান না হলে কারই মংগল হবে না, অশান্ত পরিবেশ দেশের জন্য অমংগলকর।
Total Reply(0)
রিদওয়ান বিবেক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
মালিকদের মিলিয়ন পাউন্ড আয় করে দেয়া শ্রমিকেরা বেঁচে থাকার তাগিদেই কয়টা পেনি বেশি চাচ্ছে যা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।
Total Reply(0)
Md.Ali Haider ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
পেটের দায়ে রাস্তায় নেমে আসা পোসাক শ্রমিকেদের আন্দোলনে ষড়যন্ত্র, উস্কানীদাতা না খুঁজে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হোক
Total Reply(0)
Sorwardi ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৬ এএম says : 0
I would like to request the government please handle this Worker dissatisfaction immediately. Otherwise it will be disaster of this industry.
Total Reply(0)
SShamsul Huq Tushar ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
এই বার নাকি দেশে ১৮০ জন ব্যবসায়ী এমপি হইছে তাদের অনেকের ই পোশাক কারখানা থাকতে পারে । সামলান এফ রহমান তাদের একজন । সালমান এফ রহমান কে জিজ্ঞেস করেন তিনি শ্রমিক দের সঠিক বেতন দেন কিনা ???
Total Reply(0)
Md Alif Islam ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৭ এএম says : 0
এই শ্রমিকদের দিয়ে টাকার পাহাড় করতেছে,হয়েছে বড় মালিক,দেশ টা চলে শ্রমিকের টাকায় আর এই শ্রমিক রা আজ অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নামলে মার খায়,,,, ধিক্কার ফকিরের চেয়েও অধম মালিকদের কে ধিক্কার সরকার কে।।
Total Reply(0)
কস্টের ফেরিওয়ালা ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
শ্রমিকদের রক্ত চুষে খাওয়া যেন মালিকদের জন্মগত অধিকার
Total Reply(0)
Nannu chowhan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৮ এএম says : 0
Labour's problem can be solved bye paying them their actual payments but police brutality is like we are under occupied forces even the female worker's was brutally beaten by male
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৩৮ এএম says : 0
পোষাক শিল্পের শ্রমিকদের নিয়ে খেলা করে একদল অল্প শিক্ষিত লোকজন তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এই নেতাগিরি করে। এদের বড় বড় নেতাদের বিদেশে ডলার একাউন্ট রয়েছে এবং দেশে বেনামীতে অনেক বাড়ি বা এপার্টমেন্ট রয়েছে। এরা আমার জানামতে মালিকদের এসোসিয়েশন থেকেও প্রচুর টাকা পেয়ে থাকে। আরো একটা বিষয় সরকারের দেখা দরকার সেটা হচ্ছে পোষক শিল্পের শ্রমিক ফেডারেশনে শ্রমিকদের বাহিরে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বহিরাগতদের নেয়ার আইন থাকা স্বত্বেও ফেডারেশনের কমিটি গুলো তদন্ত করলেই এর ব্যাতিক্রম দেখা যাবে। কাজেই আমার মনে হয় সরকারের উচিৎ হবে বহিরাগতদের আনুপাতিক হার কমিয়ে দেয়া এবং নিয়মিত ভাবে ফেডারেশনগুলোকে নজরদারির মধ্যে রাখা। আর এজন্যে শ্রম পরিচালক অধিদপ্তরের উপর সরকারের কড়া নজর দেয়া প্রয়োজন কারন আমার জানা মতে ফেডারেশনের নেতাদের সাথে শ্রম পরিচালক দপ্তরের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আমার বিশ্বাস তাহলে শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোন সমস্যা দেখা যাবে না। আল্লাহ্ আমামে সহ সবাইকে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মোতাবেক চলার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Md nazim uddin ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৫৬ পিএম says : 0
আমার পরিবারে আমি একমাত্র উর্পজনক্ষম ব্যক্তি মাস শেষে ওভারটাইম সহ ১১০০০হাজার টাকা বেতন পাই যা দিয়ে আমরা বাবা মা ভাই এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলতে পারি না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন