শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ অগ্নি সংযোগ

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:০৬ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাংচুর অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে সোমবার বিকেল তিনটায় বিদ্যুতের দালাল ও মধুপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদেরকে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ দিতে এক প্রতিবাদ সভা আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যানের বাসা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ওই সময় চেয়ারম্যান সমর্থকদের হাতে ১০ম শ্রেণির রাকিব ও ৮ম শ্রেণির ফহিম আহত হয়। এ খবর অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে বিদ্যালয় ক্যাম্পাস সহ মধুপুর বাজার এলাকা। বিক্ষোভদ্ধ ছাত্ররা ওই বাজারের কৃষিব্যাংকের সামনে থাকা মঞ্চ ভেঙে ফেলে। ছাত্রদের আন্দোলনে যোগদেয় কিছু অভিভাকও। বাজার এলাকার সকল সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। ওই সময় যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে চেয়ারম্যানের বাড়িতেও। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট।
দুপুর ১টায় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে রুমানা তোয়া। ওই সময় তিনি ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিদ্যালয় ও বাজার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মগটুলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মোহাম্মদ বদরুজ্জামান মামুন জানান, ছাত্রদের সাথে তার কোন বিরোধ নেই। সভা আহ্বান করা হয়েছিলো বিদ্যুতের দালালদের দৌরাত্বের বিরুদ্ধে পাশাপশি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বিনাবেতনে অধ্যয়নের সুযোগ ও শিক্ষার মান উন্নয়নের দাবি নিয়ে। তিনি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই বিষয়টি সভায় সংযোক্ত করেছিলেন। যেহেতু সভায় বিদ্যালয়ের অভিভাকরাও উপস্থিত হবেন। বিষয়টি ভিন্নখ্যাতে নিতে প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ উস্কেদেয়।
প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, রোবার বাজারে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে তাকে লাঞ্চিত করেন চেয়্যারম্যান মামুন। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা চেয়ারম্যানের বাসা ঘেরাওয়ের বিষয়টি তিনি জানেনা বলে জানান। ঘটনার সময় তিনি স্কুলে ছিলেন না। গত বছরের ১৬ অক্টোবর নতুন করে স্কুল পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেয় বোর্ড। পরবর্তীতে একটি মালার প্রেক্ষিতে জেলা জর্জ আদালত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে। ২৯জানুয়ারী বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি দাবি করে সকল শিক্ষার্থীর বেতন মওকুফ ঘোষণা করে চেয়ারম্যান। এতে শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন