আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করার পর ছেদ পড়েছিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির জীবন। সারাক্ষণই তাকে চলতে হয়েছিল নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টনীর মধ্যে। এর পরে ইরান তার মৃত্যুদন্ডের ঘোষণা তুলে নিলেও তার জীবনে আর স্বাভাবিকতা ফেরেনি। এভাবে তার জীবনের ৩০ বছর কেটে গেছে মৃত্যুদন্ডের ছায়ায়। খবর এএফপি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রুশদি বলেন, ‘আমি গোপনে বাঁচতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘তখন আমার বয়স ছিল ৪১। এখন ৭১। সব কিছু এখন ভালো যাচ্ছে। যদিও মৃত্যুদন্ড পুরনো বিষয়। এখন বরং আতঙ্কিত হওয়ার মতো অনেক বিষয় আছে।’
সালমান রুশদি ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ গ্রন্থে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করার কারণে তার বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেন ইরানের ধর্মীয় নেতা খামেনি। ওই সময় মুসলিম দেশগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। এরপর ১৩ বছর তাকে ভিন্ন নামে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারায় চলাফেরা করতে হয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি ছদ্মনাম ব্যবহার বন্ধ করেন। এর তিন বছর পর তেহরান তার মৃত্যুদন্ড বাতিল করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন