বিগত সংসদ নির্বাচনে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। কিন্তু সরকার পক্ষ, প্রশাসন, মিডিয়া ও কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলকে তাদের পক্ষে নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছে পরিকল্পিতভাবে। এ নির্বাচনে ইসলামিক দলগুলো ধর্মপ্রাণ মুলসমানদের আগ্রহ ধরে রাখতে পারেনি। মূলত দেশি-বিদেশী, ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিসমুহের ষড়যন্ত্রের কারণে ইসলামিক দলগুলো কোনোভাবেই নির্বাচনী ঐক্য তৈরি করে নিজেদের জনসমর্থন প্রদর্শনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিসমুহের চক্রান্তের শিকার হয়ে রয়েছে। মাঠ যেভাবে খোলা ছিল তাতে ইসলামী দলগুলো নির্বাচনী ঐক্য গড়ে জনমত গঠনের প্রচেষ্টা নিলে স্বার্থক হতে পারত। কেননা ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ছিল প্রকাশ্যে বা গোপনে সরকারের সমর্থক।
এসুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বিতীয় প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবর্তীণ হলে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী একটি আশ্রয় খুজে পেত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেশের বৃহত ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে সফলতা অর্জন করতে পারেনি। ২০০১ সালে মুফতি ফজলুল হক আমিনী ইসলামী দলগুলোকে তার পক্ষে এনেছিলেন, হেফাজতে ইসলাম ইসলামী অঙ্গনের সমর্থন পেয়েও একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্লাটফ্রম গড়তে ব্যর্থ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন