শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে সর্বত্র পাট- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:১৫ পিএম

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে সর্বত্র পাটের ব্যবহার করা হবে। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট আমাদের আদিকালের পণ্য। পাটের টাকা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ হয়েছিল। কারণ পাকিস্তান আমাদের পাটের টাকা ঠিকমতো দিতো না। আর সেই পাট এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এটা হতে পারে না। সারা বিশ্বে এখন প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যবহার হচ্ছে। আমাদেরও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের পণ্যের ব্যবহার করা হবে।

সরকার কাঁচা পাট রফতানির কথা ভাবছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কাঁচা পাট রফতানির কথা ভাবছে সরকার। এর সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাট চাষিকে বাঁচাতে সরকার এই উদ্যোগ নেবে। এছাড়া বিজেএমসি জুট মিলগুলোকে ঠিকমতো টাকা দিতে পারেনি। যার কারণে অনেক মিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকেও মিল মালিক বা রফতানিকারকরা ঋণ সুবিধা পান না। সেটার বিষয়ে সরকার কাজ করছে। এছাড়া যেসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সরকার সবার সঙ্গে আলোচনা করবে।

এদিকে, এন্টি ডাম্পিংয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত এন্টি ডাম্পিং করছে। এটা করা হয় দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর জন্য। তারা তাদের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সেটা করতে পারে। এর পরও বৈদেশিক বাণিজ্যিক যুক্তি থাকায় ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আমরা ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরপর এন্টি ডাম্পিং বিষয়ে বলা হবে আগামীতে হবে নাকি এমনই থাকবে।

এছাড়া বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের সঙ্গে অপর এক আলোচনাসভায় গোলাম দস্তগীর বলেন, তামাক বর্জন করে দেশে তুলার চাষ বাড়ানো হবে। যেখানে তামাক চাষ করা হয় সেখানে মানুষ যেন তুলা চাষ করে সেটার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর তামাকের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে। এতে করে দেশের ট্যারিফও বাড়বে।

মন্ত্রী আরও বলেন, তুলা শিল্পকে বাঁচাতে সরকার কাজ করবে। কারণ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা ব্যবহার করা হয়। তুলা না থাকলে আমাদের শিল্পখাতে অনেক সমস্যা হবে। বৈদেশিক আয় কমে যাবে। সেজন্য আমরা তুলা চাষ বৃদ্ধি এবং একই সাথে বৈদেশিকভাবে কিভাবে আরও বেশি আয় করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ কটন এসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন