পরিকল্পনা মন্ত্রী এম,এ মান্নান বলেছেন, বাগেরহাটে নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দরটি বাণিজ্যিক ভাবে অত্যন্ত লাভজনক হবে। কারণ মংলা বন্দর, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ শিল্প এলাকা, পাশে রয়েছে বাগেরহাট ও খুলনা শহর। এইটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরের কাছে বিমান বন্দর নেই তা ভাবাই যায়না। এখানে বিমান বন্দর হওয়া যৌক্তিক বলেই আওয়ামী লীগ সরকার দ্রুত এই বিমান বন্দরটি নির্মাণ করতে চায়। এই বিমান বন্দরটি নির্মাণে ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে। চারিদিকের নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাজ শুরু হয়েছে। এখান মুল কাজ হবে রানওয়ে নির্মাণ করা, সেটা অত্যন্ত কঠিন কাজ, কিন্তু আমরা পারি এবং করছিও। যেখানে আমরা পদ্মা সেতু করছি, দ্রুত খানজাহান আলী বিমান বন্দর বিমান বন্দর করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, আমরা চাইবো এই কাজটা হোক। ফিরে গিয়ে এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, বিমান মন্ত্রী ও সচিবের সাথে আমি কথা বলবো। সবাই মিলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এ বিমান বন্দর গড়ে তুলবো।
বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লায় নির্মাণাধীন খানজাহান আলী বিমান বন্দর পরিদর্শন কালে পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খুবই আগ্রহ রয়েছে, তিঁনি নিয়মিত নির্মানাধীন এই বিমান বন্দরের খোঁজ খবর নেন। এখানে বিমান বন্দর খুব প্রয়োজন। যশোরে নেমে এখানে আসতে প্রায় দ্ইু আড়াই ঘন্টা সময় লেগেছে। যদি এটা থাকতো তাহলে সরাসরি এখানেই নামতে পারতাম। সময় অনেক কম লাগতো।
বিমান বন্দর কাজের অগ্রগতি পারর্দশনকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী সাথে ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পাল ও মোংলা-রামপাল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলমসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন