শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আবুধাবীতে ভ্রমণে এসে ইসলাম গ্রহণ করলেন ডাচ নারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:০৬ পিএম

ইসলাম সম্পর্কে ইউরোপিয়ান ও পশ্চিমাদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যার ফলে তাদের অনেকেই মুসলমানদেরকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। কিন্তু ইসলামকে কেউ যখন কাছে থেকে দেখে ও এর সম্পর্কে জানতে পারে, এর প্রতি সে আকৃষ্ট হয়। এমনই হয়েছে এক ডাচ নারীর ক্ষেত্রে। নেদারল্যান্ডের এই নারী পর্যটক মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত সৌন্দর্য দেখতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মুসলমানে রুপান্তরিত হলেন। তার নাম ক্রিস্টিয়ানো ডাফানো। তিনি আমিরাতের পর্যটন পুলিশের মূল্যবোধ, পর্যটকদের প্রতি তাদের স্বাগতসূচক আচরণ ইত্যাদি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
চলতি মাসের ৯ তারিখ শনিবার আবুধাবী পুলিশ দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, ক্রিস্টিয়ানো ডাফানো নামের এই ডাচ নারী ইসলাম ধর্মকে তার জীবনে ধারণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন এবং তিনি এতে খুবই খুশি বলে জানিয়েছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের উদ্দেশ্যে শাহাদা (কালেমা শাহাদাত) আবৃত্তির পরে ক্রিস্টিয়ানো দাফানো তার নাম পরিবর্তন করে নাউরা রেখেছেন।
দুবাই পুলিশ দপ্তরের বিবৃতিতে আরো যুক্ত করা হয় যে, ক্রিস্টিয়ানো মূলত দেশটির শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ সম্পর্কে দুবাই পর্যটন পুলিশের নিকট তথ্য জানতে চান এবং একই সাথে মসজিদটি ভ্রমণের আগ্রহ দেখান।
এর পরে দুবাইয়ের পর্যটন পুলিশ শুধুমাত্র ক্রিস্টিয়ানোকে দিকনির্দেশনাই দেয়নি, বরং তাকে শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের স্থানীয় অঞ্চলের পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে সংযুক্ত করে দেয় যাতে করে তারা ক্রিস্টিয়ানোর জন্য মসজিদটি ভ্রমণের ব্যবস্থা করে এবং একই সাথে তাকে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সৌহার্দ সম্পর্কে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়।
আবুধাবী পুলিশের ডেপুটি পরিচালক আহমাদ আলমাজরোই ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পুলিশ ফোর্স এ দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পেশাদারিত্বমূলক সৌহৃদ্য দেখাতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং সদা প্রস্তুত।’
এদিকে ক্রিস্টিয়ানো ডাফানো তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আবুধাবীর পুলিশ কর্মকর্তাদের মনোভাব তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করেছে।’
প্রসঙ্গত, আবুধাবীর পুলিশ দপ্তর ক্রিস্টিয়ানো ডাফানোকে ‘যায়েদ’ নামের ইংরেজি ভাষার একটি বই উপহার দেয়। বইটিমূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের জীবনী নিয়ে রচিত। শেখ যায়েদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৌহার্দ, আধুনিকতা, স্থিতিশীল এবং একই সাথে একে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে গড়ে তোরার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সূত্র: খালিজটাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
সাইফ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৩৯ পিএম says : 0
আল্লাহুআকবার, আল্লাহুআকবার, আল্লাহুআকবার,
Total Reply(1)
shamim ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৬ পিএম says : 4
Islam is best
Nannu chowhan ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৭:৫২ পিএম says : 0
Maash Allah.Islamer moddhe jeno oni shanti khoje pan...
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন