দেশের লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে থাকা দখলদার ও ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা এবং বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ায় আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রায় চার লেন প্রশস্তকরণের কাজ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সারাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক দখলমুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে সড়কে ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সেজন্য সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছি, সাত দিনের নোটিশে মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখলমুক্ত করতে হবে। এখনই এই কাজটি আমাদের করতে হবে। পরে নানা রাজনৈতিক চাপ আসে, চাপের মুখে কাজ করা যায় না। মন্ত্রীর নির্দেশের পর ১৬ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও শিমরাইল মোড় এলাকার তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সওজের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমান ফারুকী। ।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, ‘মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান নিয়মিত কাজ। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সড়ক ও সেতুমন্ত্রীর নির্দেশের পর অভিযানের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন