শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওষুধ কোম্পানি পরিদর্শন প্রতিবেদন - দায়সারা ও অসঙ্গতির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাসান সোহেল : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে গঠিত বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দলের চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। ১৭১ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের পাতায় পাতায় বিভিন্ন কারখানার বিরুদ্ধে একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। চূড়ান্ত বন্ধের জন্য সুপারিশকৃত ২০টি কারখানার ১২টি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে রিপোর্ট জমার আগেই। অনেক প্রতিষ্ঠানে জিএমপি সুবিধা না থাকলেও প্রতিবেদনে সে সব কারখানার নাম নেই। এই প্রতিবেদন রাজনৈতিক ভাবে এবং প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত বলে মন্তব্য করেছেন অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তদের মতে, বিশেষজ্ঞ কমিটি অনেকটা দায়সারা ভাবে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। প্রতিবেদনে কারখানা পরিদর্শনের কথা বলা হলেও তৃতীয় পর্যায়ে বেশিরভাগ কারখানা পরিদর্শনে যান এক বা দুজন। এমনকি পরিদর্শনও হয় এক থেকে দু’মিনিট। প্রতিবেদনে বেশিরভাগ কারখানার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ উৎপাদন করা যাবে না মর্মে ঢালাওভাবে একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। অথচ ওই কারখানাগুলোতে ওই ধরনের ওষুধগুলো উৎপাদনই হয় না এবং ওষুধ প্রশাসন থেকে ওই জাতীয় ওষুধ উৎপাদনের কোন অনুমতি তাদের নেই। প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ওষুধ শিল্প সমিতিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে অনুপযোগী অভিযোগে অভিযুক্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ করেন টেকনো ড্রাগস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ। সেখানে তিনি জানান, পত্রিকায় বিশেষজ্ঞ দলের যে ৫ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে শুধু প্রফেসর আ ব ম ফারুক তার কারখানা পরিদর্শনে যান। তাও আবার বিকেল ৫টার পরে এবং তিনি ভেতরে প্রবেশ না করেই ফিরে আসেন। তিনি সভাপতির কাছে প্রশ্ন করেন, একটি ওষুধ কারখানা এ ধরনের পরিদর্শন করে কোন রিপোর্ট প্রদান করা যায় কিনা। এছাড়া তিনি এই রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, যেকোন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ দিয়ে কারাখানা পরিদর্শন করার পর একই রিপোর্ট পাওয়া গেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারখানা বন্ধ করে দেবেন।
টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২৩ শে জানুয়ারী ২০১০-এ সংসদীয় বিশেষজ্ঞ দল প্রথম পরিদর্শনের পর টেকনো ড্রাগসে জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী চলনসই বলে অনুমোদন দেয়। সেই সাথে আরোও অধিকতর জিএমপি উপযোগী ওষুধ উৎপাদনের যে সকল শর্তাদি প্রয়োগ করেছিল তা গত ৫ বছরে তার অধিকাংশই পূরণ করা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে বিশেষজ্ঞ দল কেন এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তা আমার বোধগাম্য নয়।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনের ৭নং পয়েন্টে টেকনো ড্রাগসকে সব ধরনের ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু একই প্রতিবেদনের ৯নং পয়েন্টে ৭টি কারখানায় জিএমপি সক্ষমতা বিবেচনা সাপেক্ষে ওষুধ উৎপাদনে বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দলের আপত্তি নেই বলে উল্লেখ করা হয়। যা একটি অপরটির সাথে সাংঘর্ষিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণমাধ্যমে সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে টেকনো ড্রাগস পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন। সেখানে মতামতে বলা হয়, উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের কার্যাদি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাদি কারখানায় বিদ্যমান আছে। এছাড়া প্রতিবেদনে কারখানার সামগ্রিক বিষয়বস্তু বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর একই ধরনের অভিযোগ করেছে এমএসটি ফার্মা। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম তসলিম হাসান স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদনে কারখানার প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হয়নি। কারখানায় ওষুধ উৎপাদনের সর্বাধুনিক সুবিধা রয়েছে। এ কারনে বিশেষজ্ঞ দল দুইবার নেতিবাচক মন্তব্য করলেও ওষুধ প্রশাসন প্রকৃত অবস্থা যাচাই করে আমদের অব্যাহতি দিয়েছে।
এমএসটি ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম তসলিম হাসান বলেন, বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন দায়সারা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, ১৫ বিঘা জায়গার ওপর বিদেশী বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কারখানা। যেখানে উচ্চ পর্যায়ের সকল সুবিধা বিদ্যমান। কিন্তু রাত ৮টায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় স্বল্প সময়ে কারখানা পরিদর্শন করে এই রিপোর্ট করা হয়েছে। অথচ ওষুধ প্রশাসন এই কারখানার জিএমপিতে সন্তুষ্ট হয়ে ওষুধ এক্সপোর্টের অনুমতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এমনকি প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
প্রতিবেদনে টঙ্গীতে অবসস্থিত গ্রীনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস-এ ২০১৪-এর ৮ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মতো পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞ দল। সেখানে বলা হয়েছে, এই কারখানায় শুধুমাত্র হেমোডায়ালাইসিস ফ্লুইড, ক্লোরহেক্সিডিন এন্টিসেপ্টিক এবং সেট্রিমিড এন্টিসেপটিক উৎপাদন করা হয়। সেখানে কোন প্রকার পেনিসিলিন অথবা সেফালসস্পরিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক এবং হরমোন জাতীয় কোন ওষুধ উৎপাদন করা হয় না। তাছাড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ওই ধরনের কোন ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদনও নেই। কিন্তু সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনের মতামতে বলা হয়েছে, কারখানার উৎপাদন পরিবেশ সন্তোষজনক নয়। কারখানার সমস্যাসমূহ দূরীকরন সাপেক্ষ পেনিসিলিন ও সেফালোস্পেরিন গ্রুপের এন্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েড/হরমোনজাতীয় ওষুধ ছাড়া অন্য ওষুধ উৎপাদনের সুপারিশ করা যেতে পারে।
গ্রীনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা শুধু ইলেক্ট্রোলাইট ফ্লইড উৎপাদন করে থাকি। অন্য কিছুই আমরা উৎপাদন করি না। তাছাড়া বিশেষজ্ঞ দল আমাদের কারখানার বিরুদ্ধে এ ধরনের মতামত কিভাবে দিয়েছেন বুঝতে পারছি না।
সংসদীয় কমিটি ২০টি ওষুধ কারখানার নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে। অথচ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনেক আগেই এরমধ্যে ১৮টি কোম্পানীর নিবন্ধন বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করে। যার মধ্যে ১২টি কারখানার নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ৬টি করাখানার নিবন্ধন বাতিল করা হলেও তারা উচ্চ আদালতে রিট করে অনুমোদ সাপেক্ষে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে এলোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদন করে এমন নিবন্ধিত কারখানার সংখ্যা ২৮০টি। এরমধ্যে ৪৩টি করাখানা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। অধিদপ্তরের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দো-বাংলা ফার্মা লি. প্রতিবেদনের ২য় গ্রুপে আছে। অথচ এটি ১ম গ্রুপে আসা উচিত ছিল। কারণ ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন থেকে ১১টি মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এরা উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে ফ্যাক্টরী চালু রেখেছে। কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলেও তারা বিভিন্ন উপায়ে মামলার তারিখ পিছিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত একাধিক কারখানা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতিবেদনের বেশিরভাগ অংশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংসদীয় কমিটির বিশেষজ্ঞ দলে ৫ সদস্যের হলেও ১৭১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মাত্র একজন সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রতিবেদনের প্রত্যেক পাতায় সকল সদস্যের স্বাক্ষর থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, পরিদর্শন করেই বিশেষজ্ঞ দল প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদন কারো পছন্দ নাও হতে পারে। সে অভিযোগ দিতে পারে। সঠিক না হলে তা রিভিউ করেও দেখা হতে পারে। তবে, বাইপাস সার্জারীসহ শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যেতে পারেননি বলে জানান। যদিও প্রতিবেদন তৈরির বিষয়ে সব কিছু জানেন বলে উল্লেখ করেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত পর্যবেক্ষন এবং একের পর এক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হয়। তারা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদল কিছুটা নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে তারা পক্ষপাতের দোষে দুষ্ট। কারণ যেসব কারখানা প্রশ্নবিদ্ধ তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টরের প্রভাবশালীরা প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা জানান, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ওষুধ শিল্প সমিতিকে এসব অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আদালতের আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।
সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র জানায়, সংসদীয় কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কারখানাসমূহ পরিদর্শন করেনি বা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। কয়েকটি ওষুধ কারখানা জিএমপি নীতিমালা অনুসরণ না করা সত্ত্বেও তাদের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদল উদাসীন আচরণ করেছে। পিপলস ফার্মাসিউটিক্যালস, হার্ডসন ফার্মাসিউটিক্যালস, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইথিক্যাল ড্রাগসসহ বেশ কয়েকটি কারখানা প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক পরিচালিত হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কোনপ্রকার বিধি-নিষেধ বা মন্তব্য না করায় কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্র জানায়, হার্ডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লি.-এর মালিক এস এম শফিউজ্জামান ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব হওয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার মন্তব্য করেননি। একই ভাবে দেশের বড় কয়েটি ওষুধ কোম্পানীর দু’একটি ইউনিট সনতন পদ্ধতিতে জিএমপি নীতিমালা ছাড়াই ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদল এসব প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে যাননি বা কোন মন্তব্যও করেন নি।
ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব হার্ডসন ফার্মাসিউক্যালস লি.-এর মালিক এস এম শাফিউজ্জামান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি ৩ বছর আগে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল তখনো কোন অভিযোগ ছিলো না। তখন আমি মহাসচিব ছিলাম না। তাছাড়া আমার কারখানার কোন ওষুধ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব থেকে মানহীন হিসেবে কখনো ফেরত আসেনি। তবে, গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
বিশেষজ্ঞ দলের জিএমপি-মূল্যায়ন বিষয়ক প্রতিবেদনের অসঙ্গতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রতিবেদন সম্পর্কে অধিদপ্তর কোন মন্তব্য করতে পারে না। তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয় নীতিগত ভাবে গ্রহণ করেছে। তবে, অবশ্যই পর্যাপ্ত পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাইয়ের পর সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা হবে।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর আ ব ম ফারুক এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে এটা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক, জাতীয় ইস্যু। কোন কোম্পানির সাথে ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তিনি বলেন, একটা প্রতিবেদন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। আমরা আমাদের পরিদর্শন করেছি। যাদের বিরুদ্ধে সুযোগ সুবিধা উন্নত করার মতামত দেওয়া হয়েছে তারা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধাচরণ করতেই পারে। প্রফেসর ফারুক বলেন, দেশের মানুষ উন্নত মানের ওষুধ চায়। সেটা নিশ্চিত করতেই এই প্রতিবেদন। এক্ষেত্রে যারা মান নিশ্চিত করতে পারবে না তাদের উৎপাদনে না থাকাই ভাল। একই সঙ্গে টেকনো ড্রাগসের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তাদের দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে রাত ৯টায় বের হয়েছি। আমার সাথে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ওষুধ শিল্প সমিতির লোকজনসহ অনেকেই ছিলেন। কোন রুমের কি অবস্থাও তাও লেখা হয়েছে প্রয়োজনে বিশদ রিপোর্টও প্রদান করতে পারবো। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, পরিদর্শক কমিটি যোগ্য। অনেক প্রতিষ্ঠান ছিলো, সবগুলো পরিদর্শন করা কঠিন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ড. মো. সাইফুল ইসলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন