বরিশাল মহানগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান ও সন্নিহিত এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সুস্থ সামাজিক অবস্থাকে ব্যাহত করছে। সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উদ্যান পরিবেশ স্বাভাবিকের দাবি জানালেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার রাতে এখানে একটি নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা সকলকে আতঙ্কিত করছে। জানা গেছে, প্রায় ৩কোটি টাকা খরচ করে বিশাল এ উদ্যানটিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ একটি সব ধরনের মানুষের জন্য একটু শান্তি ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্যানটির উত্তর-পশ্চিম কোনে শিশুদের জন্য গ্রীন সিটি পার্ক নামে একটি ছোট শিশু পার্কও নির্মাণ করেছে সিটি করপোরেশন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় নির্বাচিত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের প্রচেষ্টায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের অর্থে এখানে দ্বিতীয় ওয়াকওয়েসহ বাতি স্থাপন ও বঙ্গবন্ধুর মুড়াল স্থাপন করা হয়। কিন্তু সা¤প্রতিক কালে এখানের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সমাজের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে উদ্বেগের কারন হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় জানান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রায় ৯একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ উদ্যানটিতে এতদিন ভ্রমন পিপাসু মানুষ সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্তই নির্বিঘে্ন হেটে বেড়াতেন। বিকেল হলে শিশু কিশোররা মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট সহ নানা ধরনের খেলাধুলায় মেতে ওঠে। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয় এ ময়দানে। এমনকি মহান স্বাধিনতা দিবস ও বিজয় দিবসে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে এ উদ্যাানেই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ সম্মিলিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেন বিভাগীয় কমিশনার। কিন্তু বর্তমানে এ উদ্যানটি নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কর্মকান্ডের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিকেল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত স্কুল ও কলেজগামী আড্ডা জমায়। মাঠের মধ্যে হেলিপ্যাডের অন্ধকারচ্ছন্ন স্থানটিও অনেক রাত পর্যন্ত যুবক-যুবতিদের আড্ডার নিরাপদ স্থলে পরিনত হয়েছে। এমনকি উদ্যানটির দক্ষিণ-পূর্ব কোনে আনসার অফিসের সামনের গেটটি মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকার সুবাদে সেখান থেকে সাইকেল ও মোটর বাইক প্রবেশ করে ওয়াকওয়েতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ওয়াকওয়েতে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধদের হাটতে গিয়েও আতংকে পড়তে হচ্ছে। অনেক রাতেই উদ্যানটির বিভিন্নস্থানে জন্মদিন পালনের নামে নানা ধরণের কুরুচিপূর্ণ ও অশোভন কর্মকান্ডে মেতে ওঠে কতিপয় যুবক-যুবতি। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন